অফবিট

ভারতে ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহার আদৌ হবে?

নিউজ ডেস্ক – বর্তমানে ক্রিপ্টোকারেন্সি তথা ডিজিটাল মুদ্রা অর্থনৈতিক বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। দেশের অর্থলগ্নি বিভাগের আধিকারিক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলেই ইচ্ছুক এই পরিষেবা পেতে। কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করায় যেমন  ভাল দিক রয়েছে ঠিক সেরকমই রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি। ক্রিপ্টোকারেন্সি দেশে বাস্তবায়িত রূপ দেওয়ার আগে বহুবার এর সর্তকতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে একাধিকবার সাবধান বাণী শুনিয়েছেন এস ই বি আই, আর বি আই-য়ের গভর্নর সহ একাধিক উচ্চ পদাধিকারীরা। 

বর্তমানে বাজারে ক্রিপ্টোর চাহিদা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে   যে তার মুখ ছাড়িয়ে উঠতে পারছে না দেশের কেন্দ্রীয় স্তরের ব্যাক্তি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষরা। তবে অধিকাংশ ব্যক্তিই ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সি তথা ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহার করতে ইচ্ছুক তারা। কিন্তু ডিজিটাল পদ্ধতিতে এটি কিভাবে ব্যবহার করা যায় বা কি কি পদ্ধতি রয়েছে তা নিয়ে অবগত নয় সিংহভাগ মানুষই। মূলত কোন কোন পদ্ধতি উত্তীর্ণ করলে কি ব্যবহার করা যাবে তাই নিয়েই  আলোচনা করা হয়েছে । 

ভারতের ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করার কয়েকটি প্রাথমিক স্তর হল  ~ 

১/  ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করতে গেলে সর্বপ্রথম Wikihow. Com – এই  লিংক এর তথ্য অনুযায়ী প্রথমে একটি স্টোরেজঃ গঠন করতে হবে আর ডিজিটাল মাধ্যমে। যেমন কোন অনলাইন ওয়ালেট কিংবা কোনো তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে বিটকয়েনের মতো মুদ্রাগুলি সঞ্চয় করা যেতে পারে। 

২/ প্রথম ধাপে স্টোরেজঃ গঠন করা হয়ে গেলে দ্বিতীয় ধাপে এক্সচেঞ্জ পরিষেবা সুযোগ নিতে হবে। অর্থাৎ ক্রিপ্টোকারেন্সি ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহারের সহজ পদ্ধতি এক্সচেঞ্জ সার্ভিসের আওতায় একাউন্ট তৈরি করতে হবে। আর সেই অ্যাকাউন্ট তৈরির জন্য বিশেষ কিছু ব্যক্তিগত তথ্যাদি প্রয়োজন হতে পারে। 

৩/ তৃতীয় পদ্ধতিতে ক্রিপ্টোর জন্য বর্ধিত  অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়ে যাওয়ার পর সে একাউন্ট সচল করতে ব্যাংকের সঙ্গে ডিজিটাল মাধ্যমে সেটির লিঙ্ক সংযুক্ত করতে হবে।  মূলত ব্যাংকের সঙ্গে লিংক যোগ করার পরই ব্যবহার করা যেতে পারে ডিজিটাল মুদ্রার পরিষেবা। 

তবে ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কঠোর সাবধানতা অবলম্বন করা একান্ত প্রয়োজন। এর সতর্কতাবাণী ইতিমধ্যে দিয়ে দিয়েছে সরকার। ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহারে একাধিক ঝুঁকিপূর্ণ দিক থাকলেও এর মোহ  ত্যাগ করা  খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশবাসীর জন্য। কবে সর্ব দিক বিবেচনা করে দেশে যাতে ক্রিপ্টোকারেন্সি পরিষেবা চালু করা যায় তার জন্য ইতিমধ্যেই সাংসদে ক্রিপ্টোর বিষয়ে একটি বিল পেশ করার কথা  ইতিমধ্যেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *