মধ্য আমেরিকার তৃতীয় সবথেকে বড় শহর। নিকারাগুয়া অজানা কিছু তথ্য
নিউজ ডেস্ক: এই দেশের স্বচ্ছ জলে সার্ক অস্তিত্ব রয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগর ও ক্যারিবিয়ান সাগরের মধ্যবর্তী একটি দেশ হল নিকারাগুয়া যার মোট আয়তন প্রায় 1 লক্ষ 30 হাজার 375 কিলোমিটার। যা USA নিউইয়র্ক রাজ্য থেকে একটু বড়। এবং এখানকার জনসংখ্যা প্রায় 6, 465, 445 জন। এবং এর রাজধানীর নাম মানাগোয়া।
নিকারাগুয়া দেশ সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য হলো
1. নিকারাগুয়া হলো একটি ভৌগলিক বৈচিত্রে পূর্ণ দেশ। প্রশান্ত মহাসাগরের উপরে তৈরি আগ্নেয়গিরি যা এখনও সক্রিয় রয়েছে, এই আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত পদার্থ পার্শ্ববর্তী এলাকায় জমে যাওয়ার ফলে এই দেশের মাটি খুবই উর্বর যা চাষের পক্ষে অত্যন্ত উপযোগী। যার ফলে এই দেশে খুব চাষবাস হয়।
2. নিকারাগুয়ার রাজধানী তথা সবথেকে বড় শহর হল মানাগুয়া। যা মধ্য আমেরিকার তৃতীয় সবথেকে বড় শহর।
3. মধ্য আমেরিকার মধ্যে নিকারাগুয়ায় হলো একটি মাত্র দেশ যেখানে ক্রাইম রেট অনেক কম।
4. নিকারাগুয়ার অধিবাসীদের সোর্স অফ ইনকাম হলো কৃষিকাজ,পর্যটক এবং কলকারখানা।
5. নিকারাগুয়ার অধিবাসীদের মোটামুটি তরুণ বলা চলে। এখানে 36% পপুলেশন 14 বছরের নিচে এবং এবং প্রায় 22 শতাংশ মানুষ 15 থেকে 24 বছর বয়সের মধ্যে। এবং 40 শতাংশ মানুষ 25 থেকে 54 বছরের মধ্যে। তাইএই দেশটিকে তরুণ-তরুণীদের বললে ভুল হবেনা।
6. নিকারাগুয়া দেশের বহু পরিমাণের টোব্যাকো উৎপাদন করা হয়। এবং এই টোব্যাকো রপ্তানি এ দেশের অর্থনীতির একটি বিশেষ অংশ।
7. এখানকার মানুষেরা প্রচুর ভুট্টা খেয়ে থাকে এবং স্প্যানিশ ও প্রাক কলম্বিয়ান সভ্যতার মিশ্রনে তৈরি খাবার লক্ষ্য করা যায়। চাল ও রেড বিন্স দিয়ে তৈরি গেলপিন্টো এই দেশের জাতীয় খাবার।
8. নিকারাগুয়ার প্রচলিত পেল ড মেও নাচ হল তাদের লোকনৃত্য। এবং এই নাচের ধরন অন্য সকল নাচ থেকে ভিন্ন। এই নাচের সময় গান, গিটার ও অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে থাকে। নাচ এই দেশের মানুষদের কাছে ছুটির দিনের একটি অংশ।
9. আমরা সাধারণত চিঠি লেখার সময় বা নিজেদের ঠিকানায় রাস্তা, পারা বা গলি কে উল্লেখ করি কিন্তু নিকারাগুয়ায় এর পরিবর্তে কোন চার্চ বা বিল্ডিংকে উল্লেখ করা হয়।
10. একমাত্র নিকারাগুয়া দেশের স্বচ্ছ জলে সার্ক অস্তিত্ব রয়েছে। পৃথিবীর সবথেকে বড় শার্ক বুল সার্ক এই দেশেই একমাত্র পাওয়া যায়।