সাধারণ ত্বকের যত্নে সাহায্য করে। গাঁদা ফুলের কিছু কার্যকারিতা
নিউজ ডেস্কঃ আমাদের সকলের অত্যন্ত পরিচিত ফুলগুলির মধ্যে গাঁদা অন্যতম। বাড়ির সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য অনেকেই হলুদ রঙের এই ফুলটি টবে লাগিয়ে বাড়িতে রাখেন । অত্যন্ত পরিচিত এক ফুল হওয়া সত্ত্বেও আমরা অনেকেই গাঁদা ফুলের উপকারিতা গুলির কথা জানিনা। সুন্দর ত্বক পেতে আমরা কতকিছুই না ব্যবহার করি অথচ আমাদের হাতের কাছে থাকা গাঁদাফুল কেউ ব্যবহার করে না ।জানলে অবাক হবেন গাঁদাফুল ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করা থেকে শুরু করে ত্বকের উজ্জলতা ফিরিয়ে আনা সহ অসংখ্য কাজে লাগে । তাই দেরি না করে আসুন জেনে নেওয়া যাক গাঁদা ফুলের উপকারিতা গুলি
উজ্জ্বল ত্বক পেতে
ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে গাঁদাফুল অত্যন্ত ভালো কাজ দেয় ।ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে প্রত্যেকদিন একটি গাঁদাফুল পেস্ট করে তার সাথে দুই টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে মুখে ও গলায় লাগিয়ে অপেক্ষা করুন 10 থেকে 15 মিনিট ।এরপর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেললেই দেখবেন ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে পেয়েছেন অনেকটাই ।
এছাড়াও ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে গাঁদা ফুলের সাথে ব্যবহার করতে পারেন কমলালেবুর রস।এতেও ফল মিলবে একই রকম ।
সাধারণ ত্বকের যত্নে
অয়েলি স্কিন বা রুক্ষ ত্বকের যত্নের জন্য আমরা নানা প্রোডাক্ট ব্যবহার করি তবে অপরদিকে স্বাভাবিক ত্বকে যত্ন নেওয়া টা হয় বেশ কম। কিন্তু এটা ঠিক নয়।এই ধরনের ত্বকে সমস্যা অন্যান্য ত্বকের থেকে কম হয় ঠিক ই তবে অযত্নের ফলে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এই ধরনের ত্বকেও দেখা যায় নানা রকম সমস্যা।আর এই সমস্ত সমস্যা দূরীকরণ করতে চাইলে আজ থেকেই ব্যবহার শুরু করুন গাঁদাফুলের ।
একটি পাত্রে 2 চা চামচ দই, 2 চা চামচ গাঁদা ফুলের পেস্ট ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে, মিশ্রণটি মুখে 30 মিনিট লাগিয়ে অপেক্ষা করুন ।এরপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন মুখ ।নিয়মিত এই ফেসপ্যাকের ব্যবহার আপনার ত্বককে ক্ষতিকারক সূর্যরশ্মি থেকে যেমন রক্ষা করবে তেমনি আপনার ত্বকের আদ্রতা বজায় রেখে ত্বককেও করে তুলবে সুন্দর ।
টোনার হিসাবে
প্রতিদিনের রূপচর্চার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো টোনারের ব্যবহার ।প্রতিদিন মুখ ফেস ওয়াশ দিয়ে ধোয়ার পর সবসময় টোনার ব্যবহার করা উচিত ।তবে, তার জন্য টাকা খরচ অরে বাজারচলতি টোনার না কিনে আপনি বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন গাঁদা ফুলের টোনার।
1 লিটার জলে 7 থেকে 8 টি গাঁদা ফুলের পাপড়ি ফেলে জলটি প্রথমে ভালো করে ফুটিয়ে নিন ।এরপর তার সাথে এক চামচ মধু ও এক চামচ বাদাম তেল মিশিয়ে মিশ্রণটি ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে রেখে দিন । নিয়মিত মুখ ধোয়ার পর এটি ফ্রিজ থেকে বার করে ব্যবহার করা শুরু করুন ত্বকে।দেখবেন নিয়মিত ব্যবহারে বিবর্ণ ত্বকের হারানো শ্রী ফিরে এসেছে অচিরেই ।
নরম ও মসৃণ ত্বক পেতে
ত্বকের যত্নে গাঁদা ফুল যে অত্যন্ত ভালো কাজ দেয় তা তো অবশ্যই কিন্তু সেই সাথে শরীরের বাকি ত্বকের যত্নেও এটি কিন্তু অতুলনীয় ।স্নান করার সময় বালতিতে এক কাপ শুকনো গাঁদা ফুল এর পাপড়ি ও দুই চামচ অলিভ অয়েল একসাথে মিশিয়ে স্নান করলে কয়েকদিনেই ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও নরম ।
ট্যান দূর করতে
গরম কালে রোদের মধ্যে বাইরে বেরোলে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির প্রভাবে ত্বক হয়ে ওঠে কালো এবং ত্বকের বিভিন্ন অংশে দেখা যায় ছোপ ছোপ দাগ ।আরে এই ট্যান একবার ত্বকে দেখা গেলে তা উঠানো খুবই অসুবিধাজনক হয়ে ওঠে।তবে, চিন্তার কোন কারণ নেই। খুব সহজেই গাঁদার পাপড়ি ব্যবহার করে দূর করা যায় এই ট্যান।
নিয়মিত গাঁদা ফুলের পাপড়ি বেটে তা গোটা মুখে ও অন্যান্য ট্যান পরা অংশে লাগিয়ে রাখলে ক্রমে দূর হয়ে যায় ট্যান এবং ত্বকের হারিয়ে যাওয়া উজ্জলতা ফিরে আসে পুনরায় ।
বলিরেখা দূর করতে
বলিরেখা দূর করে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে অত্যন্ত ভালো কাজ দেয় গাঁদা ফুল।নিয়মিত ত্বকে গাঁদার রস ব্যবহার করলে ত্বক হয়ে ওঠে টানটান এবং ত্বকে থাকা বলিরেখা ও আস্তে আস্তে অদৃশ্য হয়ে যায় ।