অফবিট

যদু বংশীয়র হাতেই শ্রী কৃষ্ণের যাদব বংশ শেষ! কি কারন ছিল এর পেছনে?

ওয়েব ডেস্কঃ একলব্যের কথা আমরা মহাভারতেই শুনতে পায়। তবে তার পরিচিতি হিসাবে বেশি কিছু জানা যায় না। কারন একলব্যের মহাভারতের যুদ্ধের আগেই মৃত্যু হয়। তবে একলব্যকে অর্জুনে সমান ধনুকধারি যোদ্ধা হিসাবে মনে করা হয়ে থাকে। আপনারা অনেকেই জানেন না যে একলব্য কে ছিলেন এবং তার মৃত্যু কিভাবে ঘটেছিল?

একলব্য ছিলেন এক রাজা হিরণ্যধনু এবং তার স্ত্রী সুলেখার পুত্র ছিলেন। তার পিতা ও মাতা তার নাম অভিদুমান রেখেছিলেন এবং তাকে বাইরের লোকেরা অভয় নামে ডাকতেন। তিনি তার শিক্ষা নিশাত কুলীয় এক গুরুর কাছ থেকে নিয়েছিলেন এবং  ছোটবেলা থেকে তার অস্ত্রসস্ত্র চালনা এবং অস্ত্র শিক্ষাগ্রহনের দিকে আগ্রহ ছিল। এর জন্যেই তার গুরু তার নাম রাখেন একলব্য।

একলব্য উচ্চশিক্ষার জন্যে দ্রোণাচার্যের কাছে যান। তবে দ্রোণাচার্য শুধুমাত্র ব্রাহ্মন এবং ক্ষত্রীয়দের শিক্ষা দিতে তাই তিনি একলব্যকে শিক্ষা দিতে পারবেন না বলে ফিরিয়ে দেন। তবে একলব্য তার রাজ্যে ফিরে না গিয়ে জঙ্গলের মধ্যে দ্রোণাচার্যের একটি মূর্তি বানিয়ে তার সামনে ধনুরবিদ্যার চর্চা করতে থাকে যার ফলে সে খুব পারদর্শী হয়ে ওঠে।

একদিন একলব্য ধনুক নিয়ে চর্চা করতে থাকে তখন একটি কুকুর চিৎকার করায় তার চর্চায় অসুবিধা হলে সে কুকুরটিকে ধনুকের তীর দিয়ে এমনভাবে তার মুখ বন্ধ করে দেয় যে যাতে কুকুরটির কোন ক্ষতি না হয়। ওই কুকুরটি ছিল দ্রোণাচার্যের এবং দ্রোণাচার্য কাছে কুকুরটি আসলে দ্রোণাচার্যের কুকুরটির এইরকম বাঁধা মুখ দেখে বুঝতে পারে যে এটি একটি বড়ো ধনুরধারীর কাজ।

তখন দ্রোণাচার্য ওই ব্যাক্তি খোঁজে এবং যে সেটি ছিল একলব্য। তারপর তাকে দ্রোণাচার্য এমন ধনুরশিক্ষা পেয়েছে কথা থেকে জানতে চাইলে একলব্য দ্রোণাচার্যের ওই মূর্তিটিকে দেখিয়ে বলে যে আপনিই তো আমার গুরু। তারপর দ্রোণাচার্য তার স্বার্থসিদ্ধ করার জন্য একলব্যে তার ডান হাতের আঙুল গুরুদক্ষিনা হিসাবে চান।

একলব্য তাকে গুরু হিসাবে মানতেন বলে তার ডান হাতের আঙুল দান করেন। একলব্য ধনুরবিদ্যায় এতটা পারদর্শী ছিলেন যে তার বুড়ো আঙুল ছাড়ায় তিনি জরাসন্যের পক্ষ থেকে যাদবসেনাদের সাথে যুদ্ধ করেছিলেন এবং যাদবসেনাদের ধ্বংস করতে আরম্ভ করেন। তাই শ্রীকৃষ্ণ যদুবংশীদের রক্ষা করতে গিয়ে একলব্যের বধ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *