মাকড়সার জাল, কাঁটাযুক্ত গাছের মতো যে জিনিস গুলি বাড়িতে রাখা উচিৎ নয়
নিউজ ডেস্ক – শুধুমাত্র ইট বালি সিমেন্ট দিয়ে তৈরি হয় একটি বাড়ি। সেটিকে ঘর করতে প্রয়োজন হয় বহু জিনিসের। যার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো বাস্তুশাস্ত্র। অনেকেই বিষয়টি গ্রাহ্য না করলেও এটি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ একটি বাড়ির ক্ষেত্রে। কারণ অনেক সময় দেখা গিয়েছে মানুষ অজান্তেই এমন কিছু কাজ করে বশে যার জন্য অশুভ শক্তির সঞ্চার হয় বাড়িতে। বাস্তুশাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়িতে দু’রকমের শক্তি বা এনার্জি থাকে। একটি হচ্ছে শুভশক্তি যথা গুড এনার্জি এবং অপরটি হলো অশুভ শক্তি এবং ব্যাড এনার্জি।
যদি কোন ব্যক্তির বাড়িতে অশুভ শক্তি সঞ্চার করে সেক্ষেত্রে তাদের গৃহস্থের অমঙ্গল হয়। যেমন একদিকে পারিবারিক কোন্দল লেগে থাকে ঠিক সেইভাবে আর্থিক স্তরে হোক কিংবা বন্ধু মহলেও যথেষ্ট প্রভাব পড়ে বাস্তুশাস্ত্রের জন্য। কার্যত এই বিষয়টি বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় এমন বহু জিনিস রয়েছে যেখান থেকে বাড়িতে ব্যাড এনার্জির সৃষ্টি হয়। সেই বিষয়েই প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
১) বিশেষ কিছু ছবি – বিষয়টি তুচ্ছ হলেও বিশেষ কিছু ছবির জন্য গভীর এফেক্ট পরে বাড়িতে। বাস্তুশাস্ত্র মতে কোন যুদ্ধের পেন্টিং কিংবা দুঃখের ছবি অথবা হিংসা খুনোখুনি এবার অপসুর আরেক প্রাণীকে খাচ্ছে এরকম হিংসাত্মক মূলক ছবি বাড়িতে রাখলে অজান্তেই খারাপ প্রভাব পড়ে আমাদের আশেপাশের মানুষের উপর। সেই কারণে যদি এনার্জি সৃষ্টি হয় সেক্ষেত্রে জীবনের উপর বিশেষ প্রভাব পড়ে এবং চলার পথে বহু বাধা আসে।
২) নটরাজের মূর্তি – অনেকেই ঘর বাড়ি সাজানোর জন্য নটরাজের মূর্তি কিনে থাকেন। কিন্তু খেয়াল করে দেখবেন শিব ঠাকুরের রণচণ্ডী রুপ হলো নটরাজ। সেক্ষেত্রে বাড়িতে যেতে কোন রকম তাণ্ডবের সৃষ্টি না হয় তাই নটরাজের মূর্তি বাড়িতে সাজিয়ে না রাখাই ভালো। তবে যারা মৃত শিল্পী তাদের ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। তাদের ক্ষেত্রে নটরাজের মূর্তি নাট্যশালার কিংবা নাচের রুমে রেখে দেওয়াই শ্রেয়।
৩) কাঁটাযুক্ত গাছ – লোকভাষা মধ্যে যেমন বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে ক্যাকটাস এর মত কাঁটাযুক্ত গাছ থাকলে নানাবিধ রোগ ব্যাধির প্রকোপ বাড়ে। ঠিক সেইভাবেই নেগেটিভ শক্তির প্রবাহ বৃদ্ধি হয়। সেক্ষেত্রে বাড়ির ছাদে কিংবা ব্যালকনিতে এই কাঁটাযুক্ত গাছ না রেখে কোন বাগানে রাখাই উপযুক্ত বলে মনে করেন বাস্তুতন্ত্র বিশেষজ্ঞরা।
৪) মাকড়সার জাল – কোন বসতবাড়ির ক্ষেত্রে মাকড়সার জাল কিংবা কোন ধুলো পরিষ্কার করে বাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। কিন্তু সে ক্ষেত্রে যদি কারোর বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে মাকড়সার জাল তৈরি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত নানা ঝামেলা শুরু হতে পারে। পাশাপাশি নেগেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী তো বলা রয়েছে অপরিষ্কার থাকলে তার গ্রহের দশা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা একটি সুস্থ জীবনের উদাহরণ।
৫) আসবাবপত্র – অনেকের বাড়িতেই স্টোররুমে বহু আসবাবপত্র পড়ে থেকে থেকে ধুলোয় ভর্তি হয়ে যায়। আর সেই আসবাবপত্র গুলিকে নিজের বাসা বানিয়ে ফেলে বহু পোকামাকড়। কিন্তু এক্ষেত্রে বাস্তুশাস্ত্র বলছে যদি এরকম আসবাবপত্র থাকে যেগুলো দীর্ঘ বছর ধরে পড়ে রয়েছে সেক্ষেত্রে বাড়িতে বাজে প্রভাব পড়ে। তাই যে আসবাবপত্রগুলো ইস ব্যবহারের প্রয়োজন নেই এবং ভাঙা সেগুলি বাড়ি থেকে অপসারণ করা বুদ্ধিমানের কাজ।
৬) অব্যবহৃত ইলেকট্রনিক আইটেম – বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে ভেঙ্গে যাওয়া বা অব্যবহৃত ইলেকট্রনিক গ্যাজেট যেমন মোবাইল, কম্পিউটার, চিটার সহ একাধিক জিনিস যেগুলো বাতিলের খাতায় পড়ে গিয়েছে সেগুলো বাড়িতে না রাখাই ভালো। এই জিনিসগুলো বাড়িতে থাকলে গৃহস্থের অন্দরে একটা খারাপ প্রভাব ফেলে। স্বাভাবিকভাবেই জীবনে কোন বাজে শক্তির প্রভাব পড়বে গতিপথ এমনি টালমাটাল অবস্থায় চলে আসে।
৭) ছিঁড়ে যাওয়া পুরনো মানিব্যাগ – অনেকে নিজের পছন্দের মানিব্যাগ ফিরে গেলেও ফেলে দেন না সেটা বাড়িতেই যত্ন করে স্মৃতি হিসেবে রেখে দেন। কিন্তু এই কাজ আগামী দিনে মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। যাদের ছেঁড়া মানিব্যাগ ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে উঠেছে তারা সেটা ফেলে দিন এবং যারা ছেড়া মানিব্যাগ ব্যবহার করছেন সে তাহলে সেটাও বাতিল করুন। কারণ সে রাপার্স ব্যবহার করলে ব্যাপক পরিমাণে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। এছাড়াও অনেক সময় দেখা গিয়েছে ছেঁড়া মানি ব্যাগ ব্যবহার না করলেও আর্থিক সংকট থাকে। ক্ষেত্রে নিজের মানিব্যাগে একটা রুপোর কয়েন, একটা মা লক্ষ্মীর ছবি ও অশ্বত্থ গাছের পাতা রেখে দিলে সেটি লাভদায়ক হয়।