অফবিট

এখানকার মাটি সবসময় ভেজা থাকে। লাইবেরিয়ার অজানা কিছু তথ্য

নিউজ ডেস্ক- দেশের একটি পুরুষ আইনসম্মতভাবে কমপক্ষে চারটি বিবাহ করতে পারেন। আফ্রিকা মহাদেশের পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত লাইবেরিয়া একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র।লাইবেরিয়ার উত্তরে সিয়েরা লিওন ও গিনি, পূর্বে কোত দিভোয়ার, এবং দক্ষিণ ও পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর।। এই দেশের রাজধানী ও সবথেকে বড় শহর হল মনরোভিয়া। লাইবেরিয়ার সরকারি ভাষা ইংরাজি। 

লাইবেরিয়া দেশের কিছু অজানা তথ্য হলো-

1. পুর আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে লাইবেরিয়া এমন একটি দেশ যে দেশ বহু সিভিল ওয়ার এর সঙ্গে জড়িত ছিল। 

2. লাইবেরিয়া একটি বিপদজনক দেশ। দেশটিতে অপরাধের সংখ্যা খুব বেশি। এখানে রাতে কেউ একা বাড়ি থেকে বেরোতে সাহস পায়না। 

3. লাইবেরিয়া দেশের একটি পুরুষ আইনসম্মতভাবে কমপক্ষে চারটি বিবাহ করতে পারেন। 

4. লাইব্রেরিয়ান স্থানীয় মানুষেরা হাতি, শিম্পাঞ্জি, বাঁদর, চিতাবাঘ, গন্ডার জলহস্তী ইত্যাদির মাংস খেয়ে থাকে। এবং এই সকল জীব জন্তুর মাংস অন্য eদেশে রপ্তানি করে। যদিও জন্তু-জানোয়ারের মাংস খাওয়া এখানে আইন বিরোধী।

5. লাইবেরিয়া একটি দরিদ্র দেশ ।65 শতাংশ মানুষ এখানে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে । এবং 60 শতাংশের বেশি মানুষ দিনে এক ডলারেরও কম উপার্জন করে। 

6. দেশটিতে শিক্ষার হার মাত্র 47 শতাংশ। দেশটির প্রায় অর্ধেকের বেশি মানুষের কাছে এখনো শিক্ষার আলো পৌঁছায় নি।

7. ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর মতে লাইব্রেরীর 45% পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুর মৃত্যু হয় পুষ্টির অভাবে হয়। এছাড়াও লাইবেরিয়া দেশে ছড়িয়ে রয়েছে নানান রোগ। 2014-2016 মধ্যে এই দেশে 10 হাজার মানুষ এবোলায় আক্রান্ত হয়েছিল এবং 4 হাজার মানুষের এবোলার কারণে মৃত্যু হয়েছিল।

8. লাইবেরিয়ার শাপো নেশনাল পার্ক যা আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম রেইনফরেস্ট, এখানে আবহাওয়া যেমনই হোক না কেন এখানকার মাটি সবসময় ভেজা থাকে। 

9. দেশটির আইন ব্যবস্থা অনেক খারাপ। এছাড়াও এই দেশে প্রচুর পরিমাণে জালিয়াতি হয়। এমনকি দেশটিতে ভোট হওয়ার সময় ও জালিয়াতির মাধ্যমে সরকার নির্বাচন হতে দেখা গেছে। 

10. লাইবেরিয়া একসময় আমেরিকার উপনিবেশ থাকায় এই দেশে আমেরিকান কিছু প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। লাইবেরিয়া রাজধানী মনরোভিয়া নামকরণ করা হয়েছিল আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট জেমস মনরো নাম অনুসারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *