ভীমের নাতি কতোটা শক্তিশালী ছিল জানা আছে?
নিউজ ডেস্কঃ দ্রৌপদী, কুন্তী, গান্ধারী এরা কে বলুন তো? এই উত্তরটি সবারই জানা। এবার বলুন তো আহিল্যাবতী কে? কি জানেন না তো।এই নারীকে চেনা তো দূরের কথা এই নামটিই বেশিরভাগ মানুষের কাছে অজানা।কিন্তু এই নারীও মহাভারতের দ্রৌপদী, কুন্তী, গান্ধারীর মতো এক মহিয়সী নারী।যার জন্যই বেচে রয়েছে পান্ডবপুত্র ভীম। তাই এই নারীর ক্ষমতা কিন্তু মহাভারতের অন্য নারীদের থেকে কিছুটা কম নয়। তিনি কাব্যের মধ্যে থেকেও মানুষের কাছে অপরিচিত। এবার নিশ্চয়ই কৌতূহল হচ্ছে যে কে এই আহিল্যাবতী?
আহিল্যাবতী হলেন নাগরাজ বাসুকীর কন্যা। আমাদের সবারই মনে আছে যে ছেলেবেলায় ভীমকে দুর্যোধনের বিষ খাইয়ে জলে ফেলে দিয়েছিল এবং ডুবতে ডুবতে ভীম পাতালে নাগলোগে এসে পৌঁছেছিলেন।তখন এই আহিল্যাবতীই তাঁর পিতাকে অনুরোধ করে ভীমের প্রাণ রক্ষা করেছিলেন।তবে তার এই একটায় পরিচয় নয় কিন্তু তিনি নাগরাজ বাসুকীর কন্যা হওয়ারা সাথে তিনি ভীমের পুত্র ঘটোৎকচের স্ত্রী। তবে তার সাথে ঘটোৎকচের বিবাহ হওয়ার পিছনে রয়েছে একটি কাহিনী।
একবার নাগকন্যা আহিল্যাবতী দেবাদিদেব মহাদেবের বাগান থেকে ফুল চুরি করে। এবং তিনি ভেবেছিলেন যে , মহাদেব যেহেতু নাগেশ্বর, তাই তিনি জানতে পারলেও কিছু বলবেন না হয়তো। তবে অন্য কেউ জানতেও পারবে না। কিন্তু এই ঘটনাটি মহামায়া জেনে যাওয়ায় তিনি এই অপরাধের জন্য আহিল্যাবতীকে অভিশাপ দেন মানবী হয়ে জন্মানোর এবং সেই জন্ম তার সাথে ঘটোৎকচের বিবাহ হবে।
ঘটোৎকচ এবং আহিল্যাবতী বিবাহ হয় এবং আহিল্যাবতী বারবারিক নামক পুত্রসন্তান জন্ম দেন। বারবারিক ছিলেন এক মস্ত বীর যার কাছে রথি মহারথিরা হার মেনে যাবে। তবে তাঁকে যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী করে ছিলেন তার মাতা আহিল্যাবতী।এছাড়াও বারবারিক মহাদেবের কাছে থেকে তিনটি শক্তিশালী বাণ এবং অগ্নি একটি ধনুক উপহার হিসাবে পেয়ে ছিল। বারবারিক ছাড়াও খাটুশ্যাম নামেও পরিচিত তিনি।