লাইফস্টাইল

হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করে। আমলকীর অসাধারন কিছু কার্যকারিতা

আজকালকার ব্যস্ত জীবনে চুলের যত্ন প্রায় নেওয়া  হয় না বললেই চলে।  সেই কারণে দিন দিন অনেকেরই চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে অথবা অনেকেই খুশকির সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু হাতের কাছে আমলকি থাকলে এই সমস্ত সমস্যা থেকে আপনি নিস্তার পেতে পারেন। 

চুলের সমস্যার সমাধান করা ছাড়াও আমলকির অনেক অন্যান্য গুনও রয়েছে।

জেনে নেওয়া যাক আমলকির গুনাগুন-

  • দাঁতের মাড়ি রোগ স্কার্ভি দূরীকরণে

              স্কার্ভি দাঁতের মাড়ির খুব পরিচিত একটি রোগ। সাধারণত শরীরে ভিটামিন ‘সি’-এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়। এ রোগ হলে দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া, মাড়িতে ঘা হওয়া, শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া, চামড়ার নিচে রক্তক্ষরণ হওয়া, চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে যায় এবং হাড়ের মধ্যে পরিবর্তন দেখা দেয়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। তাই কেউ যদি প্রতিদিন মাত্র ১-২টি আমলকি খায় তাহলে সে এসব থেকে পরিত্রান পেতে পারে।

  • আলসার চিকিৎসায়

              সাধারণত লোকজন গ্যাস্ট্রিক বা আলসার বলতে যা বুঝিয়ে থাকেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় তাকে বলে পেপটিক আলসার। নিয়মিত আমলকি খেলে পেটের এই আলসার দূর হয়।

  • কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলস চিকিৎসায়

             আমলকীতে সলিউবল ফাইবার থাকে। এটি শরীর থেকে টক্সিক উপাদান বের করে দিতে সাহায্য করে এবং হজমে সাহায্য করে। এর রস কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পাইলস রোগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।

  • ক্ষুধামন্দা দূর করতে আমলকি

                খাওয়ার আগে মাখন ও মধুর সঙ্গে আমলকির গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে ক্ষুধামন্দা দূর হয়। 

  • দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে

            আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। তাই দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এই ফলটি। এছাড়া, চোখ লাল হওয়া, চুলকানো ও চোখ দিয়ে জল পড়া রোধেও এটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আমলকির রসের সাথে মধু মিশিয়ে পান করলে তা চোখের জ্যোতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

  • গলা ব্যথা এবং ঠান্ডা দূর করতে

              আমলকির গুঁড়োর সাথে মধু মিশিয়ে দিনে ৩-৪ বার খেলে তা গলা ব্যথা এবং ঠান্ডা দূর করতে সাহায্য করে। 

  • হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে

             আমলকি খেলে তা খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে ধমনীর ব্লক খুলে দিতে সাহায্য করে। নিয়মিত আমলকি খাওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে থাকে।

  • রক্তের সুগার কমাতে

              গবেষণায় দেখা গেছে যে, আমলকিতে পলিফেনল রয়েছে যা রক্তে অক্সিডেটিভ শর্করা থেকে শরীর রক্ষা করে। এটি শরীরে ইনসুলিন শুষে নিতে সাহায্য করে যা ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে।

  • দেহের চর্বি কমাতে

           ওজন হ্রাস করতে আমলকির সাহায্য নিতে পারেন। এটি নিয়মিত খেলে শরীরের প্রোটিনের স্তর বৃদ্ধি করে, যা দেহের চর্বি কাটতে সাহায্য করে।

  • হাড় মজবুত করতে

            আমলকিতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালশিয়াম রয়েছে। যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।

  • রক্ত পরিষ্কার করতে

             রক্ত পরিষ্কার করতে আমলকি বেশ কার্যকর। এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান যা শরীর থেকে টক্সিন উপাদান সব দূর করে দেয়। নিয়মিত আমলকি খেলে তা রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে।

  • চুলের যত্নে ও খুশকির সমস্যা দূর করতে

              আমলকি চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে। চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য এটি একটি অপরিহার্য উপাদান। আমলকি খেলে শুধু চুলের গোড়াই শক্ত হয় না, চুল দ্রুত বেড়ে ওঠে। চুলকে খুশকিমুক্ত ও কম বয়সে চুল পাকা রোধে আমলকি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *