লাইফস্টাইল

হৃদরোগ, হাইপারথাইরয়েডিজম, হাইপোগ্লাইসিমিয়া ও সোশ্যাল ফোবিয়ার মতো সমস্যা থাকলে প্যানিক অ্যাটাকের প্রবণতা বাড়তে পারে। ‘প্যানিক অ্যাটাক’ তৎক্ষণাৎ কি করবেন?

প্যানিক অ্যাটাকের লক্ষণ হঠাৎ করেই দেখা দেয়। কোনো বিষয় নিয়ে চিন্তায় বা চাপে থাকলে এমনটা হতে পারে।  এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে মৃত্যুর ভয়ও খুব কাজ করে। তার মনে হতে থাকে সে মারা যাবে। এমন কেউ আপনার সামনে এলে বা থাকলে কী করবেন? জেনে নেওয়া যাক। 

প্যানিক অ্যাটাক কী?

হঠাৎ কোনো ঘটনা দেখে বুকে ধড়পড়ানি শুরু হয়। এ ছাড়া শরীরে ঘাম হওয়া, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হওয়া। তারা ভাবতে শুরু করে তারা মরে যাবে। মারাত্মক ঘটনা না হলেও ওই ব্যক্তির মনে হতে থাকে তার ভয়ংকর বিপদ সামনে।

তবে পুরুষদের তুলনায় নারীদের প্যানিক অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এই সমস্যা হওয়ার কোনো বয়স নেই যেকোনো বয়সেই সমস্যা হতে পারে। কিন্তু বেশি বয়সে প্যানিক অ্যাটাকের প্রবণতা বাড়তে পারে।

চিকিৎসকদের বেশিরভাগ অংশ বলেছেন, হৃদরোগ, হাইপারথাইরয়েডিজম, হাইপোগ্লাইসিমিয়া ও সোশ্যাল ফোবিয়ার মতো সমস্যা থাকলে প্যানিক অ্যাটাকের প্রবণতা বাড়তে পারে।  

 এতে আপনার কি করনীয়? 

  • চোখের সামনে এমন কিছু হলে তার চোখে-মুখে জলের ঝাপটা দিন। একটু জলও পান করান। ঠাণ্ডা জল প্যারাসিম্প্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে। এ ছাড়া তার হাত বা পা ঠাণ্ডা জলে ডুবিয়ে রাখলে আরাম পাবে।  
  • আক্রান্ত ব্যক্তি বসতে চাইলে একটি নিরাপদ জায়গা দেখে তাকে বসান। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে এই অ্যাটাক হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে প্রথমে কোথাও বসান। তারপর তাকে ধীরে ধীরে জিজ্ঞেস করুন, কোন পাঁচটি বস্তু তিনি দেখতে পাচ্ছেন তার চারপাশে।‌ 
  • এরপর ভেবে দেখুন, কোন চারটি জিনিস ছুঁতে পারছেন। এরপর প্রশ্ন করুন, কোন তিনটি আওয়াজ শুনতে পাচ্ছেন এবং কোন দুটি জিনিসের গন্ধ নিতে পারছেন। শেষ প্রশ্ন করুন, কোনটির স্বাদ নিতে পারছেন। এভাবেই প্রশ্ন করুন ও উত্তর পাওয়ার মাধ্যমে তার দুশ্চিন্তা দূর করুন। এভাবে সাহায্য পেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *