নিরিবিলি ঘুরতে ভালবাসেন? ঘুরে আসুন এই ৫ টি বিশেষ স্থান থেকে
নিউজ ডেস্ক – বর্তমানে জীবনের যাঁতাকলে পড়ে জীবন উপভোগ করতেই ভুলে গিয়েছে মানুষ। তাই প্রতিদিনই ঘোড়ার রেসের মতো প্রতিযোগিতায় জেতার আশায় প্রতিনিয়ত ছুটে চলেছে। তবে এই ব্যস্ততম জীবনকে কিছুক্ষনের জন্য ভুলে গিয়ে আসল জীবন উপভোগ করতে অনেকেই ছুটে যান প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে। ঠিক সেইরকমই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অন্যতম ও অদ্বিতীয় উদাহরণ হল মানালি। জীবনের কোলাহল থেকেই দূরে এসে অনেকেই এই পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে আসে আবার অনেক নবদম্পতির তাদের জীবনের নতুন শুরু করতে মানালিকেই বেছে নেয়। এই জায়গাটি প্রাকৃতিক সমাহারে ভরপুর থাকার কারণে অনেক চলচ্চিত্রও হয়ে থাকে এই স্থানে।
মানালি যাওয়ার সহজ রাস্তা হচ্ছে কলকাতা থেকে কালকা মেইল ট্রেনে প্রথমে সিমলা আসতে হবে। এরপর সেখান থেকে মানালি চলে আসতে হবে। আবার চলার দিল্লি থাকেন তারা দিল্লি থেকে সরাসরি মানালি যেতে পারে। এই হিমশৈলের শহরে বেশ কিছু আকর্ষণীয় স্থান গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো —
১) রোথাং পাস – মানালির অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হচ্ছে রোথাং পাস। মানালি থেকে এর দূরত্ব ৫১ কিমি। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা সুন্দর রাস্তা সহ এখানে চোখে পড়বে শ্বেত শুভ্র শৈলের সাড়ি ও রেহালা জলপ্রপাত। এখানে স্কেটিং ও টবগ্যানিং করার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এখানে ডিসেম্বর থেকে জুন মাস পর্যন্ত ভারী তুষারপাত হওয়ার কারণে পর্যটকদের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
২) সোলাং ভ্যালি — রোংথা পাস যাওয়ার পথেই পড়ে সোলাং ভ্যালি। এখানকার নৈসর্গিক সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এখানে রয়েছে প্যারাসুটং, প্যারাগ্লাইডিং, স্কেটিং, জরবিং, বাঞ্জি এবং জিপ লাইনের মতো নানা রকম বিনোদনের ক্রিয়া-কলাপ।
৩) কুলু — মানালির এই রাজ্যটি অধিকাংশ দেবদেবীর প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রস্থল। এখানে রয়েছে মূলত মহাদেবের মন্দির ও দেবী মন্দির। এছাড়াও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত নাদার ক্যাসেল, হাঙ্গিং ব্রিজ ও সামাস লেক।
৪) মণিকরণ — এটি একটি তীর্থস্থান রূপে পরিচিত। কুলু থেকে মানিকরণের দূরত্ব মাত্র ৪৪ কিমি।
৫) হিড়িম্বা দেবীর মন্দির — ইতিহাসের পৌরাণিক গাঁথা মহাভারতে ভীম পত্নী হিড়িম্বাকে উৎসর্গ করে এই অঞ্চলটিতে ১৫৫৩ সালে মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছিল। বছরের অধিকাংশ সময় এখানে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে।
অন্যতম দর্শনীয় স্থান গুলি হল মান্ডি, গুলাবা, মানু মন্দির, মানালি স্যাংচুয়ারি এবং জানা জলপ্রপাত।