ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। পান পাতার অসাধারন কিছু উপকারিতা
মুখশুদ্ধি হিসাবে ব্যবহৃত এই পাতাটির মধ্যে রয়েছে এমন কিছু গুনাবলি যা শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। তাই এবার থেকে মুখশুদ্ধি হিসাবে নয় খান শরীরকে সুস্থ রাখতে।কি কি গুনাবলিতা রয়েছে পান পাতায়?
১. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করেঃ
পান পাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে।বিশেষ করে লাল রঙের পান পাতা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।কারন এর মধ্যে উপস্থিত ট্যানিন নামে এক সক্রিয় মলিকিউল যাতে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক উপাদান থাকে। পান পাতায় উপস্থিত নানা ধরণের পলিফেলন যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং অগ্নাশয়ের কোষগুলিকে বর্জ্য পদার্থ মুক্ত করতে সাহায্য করে।এছাড়াও এছাড়াও পান পাতায় উপস্থিত অ্যালকালয়েড রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।তাই পান পাতা ডায়াবেটিস রোগীদের পক্ষে খুবই উপকারি।
২. মুখের নানা রকম সমস্যা দূর করতে সাহায্য করেঃ
পান পাতা চেবানোর সময় মুখে ভিতর স্যালাইভা উৎপাদন করে যা ওরাল ব্যাক্টেরিয়া রোধ করে এবং পিএইচ লেভেলের ভারসাম্য বজায় রাখে।এছাড়াও মুখের ভিতরের ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে পান পাতার বিকল্প নেই।
৩. হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করেঃ
পানের রস হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। কারন পান পাতায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি -মাইক্রোবিয়াল উপাদান যা অম্বল, গ্যাস কমাতে সাহায্য করে যার ফলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে পান পাতার ।
৪. ক্ষুধাভাব বাড়ায়ঃ
পান পাতা হজম ক্ষমতা বাড়লে ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও তাই পেট জ্বালা বা অম্বল গ্যাসের সমস্যাও থাকে না।যার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই খাওয়ার ইচ্ছে শক্তি বেড়ে যায়।
৫.ক্যান্সার রোধ করতে সাহায্য করেঃ
পান পাতা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।কারন পান পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-মিউটাজেনিক ও অ্যান্টি-ক্যান্সার উপাদান যা ক্যান্সার রোধ করতে সক্ষম।
৬.ক্ষত সারাতের সাহায্য করেঃ
ক্ষত সারাতে পান পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এর অক্সিডেটিভ উপাদান ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তোলে। ক্ষত স্থানে কিছু পরিমাণ পান পাতার রস লাগিয়ে নিন। এরপর ব্যান্ডেজ করে বেঁধে রাখুন। এভাবে ২-৩দিন থাকুন। দেখবেন ক্ষত সেরে গেছে।