অফবিট

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ছবি আঁকতে পারে পৃথিবীর কোন চিত্রশিল্পী?

নিউজ ডেস্ক – শিল্পী কথাটির মানেই প্রকৃতি প্রেমিক। কারণ প্রকৃতি ছাড়া কোন শিল্পী বাস্তবে শিল্পীতে রূপান্তর হতে পারে না। শিল্পী হতে গেলে প্রকৃতির মাঝে বিস্তার করা একান্তই প্রয়োজন। আর বিষয়টা যদি চিত্রশিল্পীর ক্ষেত্রে হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। প্রকৃতি আর চিত্রশিল্পীরা একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে। অভিজ্ঞ চিত্রশিল্পীদের অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় চোখ বন্ধ করেও এক নিমিষেই একটি বাস্তবের জিনিস কাগজের পাতায় নামিয়ে দিতে পারেন তারা। তবে বর্তমানে এমন এক শিল্পীর পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে যিনি মাত্র চার বছর বয়স থেকেই ঘুমন্ত অবস্থায় নিজের শিল্প সত্তাকে জাগ্রত করে তুলেছিলেন। হ্যাঁ এটা কোন বুজরুকি নয়  বাস্তব ঘটনা। যার কার্যকলাপ দেখে অবাক হয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরাও ‌। এমনই এক অভিনব বা জনপ্রিয় চিত্রশিল্পীর নাম চিত্রকর লী হ্যাডউইনের।

এই বিরল প্রতিভা সম্পর্কে লী জানিয়েছেন যখন তার চার বছর বয়স ছিল তখনই নিজের হাতেই রঙের ছোঁয়া দিয়েছিলেন লী। সবিস্তারে বলতে গেলে তিনি জানিয়েছেন শৈশবকালে একদিন রাতের বেলায় শুয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু হাতের কাছে রং থাকায় স্বপ্নবিলাসী চিত্রশিল্পী নিজের প্রতিভা দিয়ে সুন্দর চিত্রের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে সকালবেলা উঠে সেই চিত্র দেখে নিজেই অবাক হয়েছিলেন। তখনই তিনি নিজের প্রতিভা সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। তিনি জানতে পারলেন  ঘুমন্ত অবস্থায় যে চিত্রটি তিনি এঁকেছেন জাগ্রত অবস্থায় তা অঙ্কন করা  তার পক্ষে কখনোই সম্ভব হতো না। সেই সময় কাল থেকেই বর্তমানে ৪০ বছরে দাঁড়িয়ে যে কটা চিত্র এঁকেছেন সবকটি ঘুমন্ত অবস্থায়। এমনকি সেই চিত্রগুলি এক্সিবিশনেও উঠেছে।

এই চমকপ্রদ চিত্রশিল্পীর বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত দিয়ে বলেছেন ঘুমন্ত অবস্থায়  চিত্র শিল্পের যে সত্বা তার মধ্যে জন্ম নেয় জাগ্রত অবস্থায় নির্জীব অবস্থায় থাকে। যার কারণে স্বপ্নবিলাসী শিল্পী ঘুমন্ত অবস্থায় তুলির টানে একাধিক চিত্রে প্রাণ দিতে পারেন। যেটি জাগ্রত অবস্থায় এক আলাদা সত্ত্বা থাকে তার মধ্যে। এই প্রতিভার দরুন এক মানুষের মধ্যে দুই আলাদা সত্ত্বার মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। কিন্তু বিষয়টি বিরল হলেও এক অবিশ্বাস্য ব্যাপার গোটা জগৎবাসীর কাছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *