অফবিট

ভীষণ সুন্দরী এবং ক্ষমতাশিল। লঙ্কাধিপতী রাবনের পত্নী কতোটা ক্ষমতার অধিকারী জানেন?

নিউজ ডেস্কঃ মন্দোদরীর কথা তো আমরা সবাই জানি যে তিনি ছিলেন লঙ্কারাজ রাবণের স্ত্রী। এছাড়াও তিনি ছিলেন একজন অপূর্ব সুন্দরী পবিত্র এবং ধার্মিক এক নারী। কিন্তু আপনারা কি জানেন যে মন্দোদরী আসলে কে ছিলেন? কি জানেন না তো। মন্দোদরীর এই অজানা পরিচয়ের কথা বেশিরভাগ মানুষই জানে না।

পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী একদিন মধুরী নামক এক অপ্সরা কৈলাস পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তখন মাতা পার্বতী কৈলাস উপস্থিত ছিলেন না।সেই সুযোগে ওই অপ্সরা শিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেষ্টা করছিলেন। যথারীতি মধুরীর জালে পড়ে যায় মহাদেব।

এরপর পার্বতী কৈলাসে ফিরে আসে দেখেন মধুরীর শরীরে শিবের ভস্ম লেগে আছে। এই দেখে পার্বতী প্রচণ্ড ক্রোধিত হয়ে যায় মধুরীর উপর এবং ক্রোধের বশে পার্বতী তাঁকে অভিশাপ দিয়ে ব্যাঙে রূপান্তরিত করে দেন এবং বলে যে  বাকি জীবন এভাবে কাটাতে হবে তাঁকে।

শিব তখন এই ঘটনার এমন পরিণতি দেখে পার্বতীকে অনুরোধ করে অভিশাপ ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য।পার্বতী রাজি হলেন। তবে জানান যে  ‘১২ বছর পর পূর্বাবস্থায় ফিরে আসতে পারবেন মধুরী।’

অসুররাজ মায়াসুর এবং তাঁর স্ত্রী হেমার দুই সন্তান ছিল মায়াবী এবং ধুন্দুভী। তবে তাদের দুই সন্তান থাকা সত্ত্বেও বহুদিন ধরে একটি কন্যা সন্তানের জন্য প্রার্থনা করছিলেন।সেই সময় অসুররাজ মায়াসুর এবং তাঁর স্ত্রী হেমা কন্যা হিসাবে মধুরাকে পেলেন।তবে মাধুরিকে মেয়ে হিসাবে পেলেও মাধুরী ব্যাঙের রূপে থাকার কারনে দুজনেই আক্ষেপ করছিলেন।আর সেই সময় মধুরী তার নিজের রূপে ফিরে পায়।মায়াসুর এবং হেমা তার কন্যার এমন অপূর্বরূপ দেখে খুশী হলেন।আর তখন তাঁরা তাদের মেয়ের নাম রাখলেন মন্দোদরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *