পৃথিবীর সবথেকে অলুক্ষনে দম্পতির কোন দেশে থাকে জানেন? এই দম্পতিকে অলুক্ষনে বলার পেছনে কি কারন রয়েছে?
নিউজ ডেস্কঃ আমাদের চারপাশে এমন অনেক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে যার কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। এই ঘটনা গুলি কেবল যে রহস্যজনক তাই নয় এর মধ্যে কিছু ঘটনা আমাদের মনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করে যে ভাগ্য বলে সত্যিই কি কিছু আছে? আমাদের জীবন কি ভাগ্যের উপরে নির্ভর করে ?এই সমস্ত প্রশ্ন আপনার মনেও ভিড় জমাবে আজকের এই অদ্ভূত ঘটনাটি সম্পর্কে জানলে। রহস্য ঘনীভূত হয়েছে ইংল্যান্ডের এক দম্পতিকে ঘিরে ।জানলে অবাক হবেন তারা ২০০০ সাল থেকে ঘটা তিন তিনটে ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন ।তাও যে সে ঘটনা নয় নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ার এ হামলা ,মুম্বাইয়ের তাজমহল হোটেলে সন্ত্রাসবাদী হামলা, লন্ডনের সিরিজ বোমা। এই তিনটে সন্ত্রাসবাদি আক্রমণের সময় তারা উপস্থিত ছিলেন ঘটনাস্থলে।
এখন নিশ্চয়ই মনে প্রশ্ন জাগছে এমন পোড়া কপাল কার? কারা এই দম্পতি?
ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের বাসিন্দা জেসন ও জেনি কেয়ার্ন লরেন্স দম্পতির কথা হচ্ছে এখানে। 3 টি ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী হওয়ার পর অবস্থা এখন এমনই যে অনেকেই তাদের অলুক্ষনে দম্পতি বলতে শুরু করেছেন।এমনকি তারা নিজেও বাইরে কোথাও ঘুরতে যেতে ভয় পেতে শুরু করেছেন ।
ঘটনার সূচনা প্রথম 2001 সালের সেপ্টেম্বর মাসের 11 তারিখে যেদিন নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ার ভেঙে পড়ে সন্ত্রাসবাদে আক্রমণে ।ইংল্যান্ড থেকে আমেরিকা ঘুরতে আসা এই দম্পতি চোখের সামনেই দুটি প্লেন এসে ভেঙে পড়ে টুইন টাওয়ারের গায়ে ।চার হাজার মানুষের প্রাণ নেওয়া এই সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই যেন তাদের ও অভিশপ্ত জীবনের শুরু।
এরপরে কেটে গেছে বেশ কিছু বছর ।সবকিছু ভুলে নতুন করে জীবন শুরু করার পর দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে লন্ডনে। 2005 সালে বিশেষ কাজে ওই দম্পতি লন্ডনে গিয়েছিলেন ।আর সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ব্যাপার হল তারা যে জায়গায় ছিলেন সেখানেই তিনটি ট্রেন ও একটি বাসে আত্মঘাতী হামলা চালায় কিছু সন্ত্রাসবাদে যাতে মৃত্যু হয় 52 জনের অথচ জীবন্ত সাক্ষী হিসাবে রয়ে গেছেন জেসন ও জেনি।
পরপর দুটি ঘটনার পর অনেকেই এই দম্পতিকে নিয়ে বেশ কৌতুহল দেখাতে শুরু করে ঠিকই তবে নিছক ই কোইনসিডেন্স বলেই ভেবে নেওয়া হয় গোটা ব্যাপারটা ।তবে একটি বা দুটি নয় তৃতীয় আর এক দুর্ঘটনা অপেক্ষা করছিল এই দম্পতির জন্য ।2008 সালে ভারত বেড়াতে আসেন তারা ।আর অদ্ভুত ব্যাপার তারা যে হোটেলে ছিলেন সেই তাজ হোটেলেই ঠিক তাদের চোখের সামনেই সেদিন সন্ত্রাসবাদের হামলায় মারা যান 164 জন ।অথচ এবারও সুস্থ অবস্থায় ছিলেন তারা ।
এভাবে পরপর তিনটি এত বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা তাদের চোখের সামনেই হয়ে যাওয়ার ফলে বহু মানুষ তাদের অলুক্ষনে বলতে শুরু করেছে ঠিক ই তবে এই দম্পতি নিজেদেরকে কিন্তু এমনটা ভাবেন না ।তাদের বিশ্বাস যে তাদের ভাগ্য তাদের টেনে নিয়ে যায় এই সমস্ত জায়গায় ।তবে একে কিন্তু পুরোটা দুর্ভাগ্য ও বলা যায় না কারণ এত বড় ঘটনার সাক্ষী হয়েও তারা কখনো কিন্তু আহত হননি । এই দম্পতিকে নিয়ে রয়েছে নানা কৌতূহল কিন্তু এখনো তার কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।