অফবিট

ভারতবর্ষের যে হোটেলের কলঙ্কময় ইতিহাস এখনও পিছু ছাড়েনি

ওয়েব ডেস্কঃ বিশ্বে এরকম অনেক হোটেল আছে যাদের  নাম শুনলেই ভয়ে গা ছম ছম করে ওঠে। এই সমস্ত হোটেলকে কেন্দ্র করে শোনা যায় নানা রকম ভর্তি কর্মকাণ্ড।যদিও বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে আমাদের বিজ্ঞানমনস্ক মন সহজে মানতে চায় না এ সমস্ত ভৌতিক গল্প কথা তবুও এমন অনেক কিছুই আমাদের চারপাশে ঘটে যেগুলোর আমরা সঠিক ব্যখ্যা খুঁজে পাই না। ভৌতিক হিসেবে কুখ্যাত হোটেল গুলির মধ্যে বেশিরভাগই অবশ্য এক গৌরবান্বিত ইতিহাসের সাক্ষী কিন্তু, পরবর্তীকালে ঘটনাচক্রে এই হোটেলগুলিই হয়ে উঠেছে এক কলঙ্কময় ইতিহাসের সাক্ষী। ভারতের তাজমহল প্যালেস  হল এরকমই একটি হোটেল।

ভারতের সবচেয়ে বড় ও বিলাসবহুল হোটেলগুলোর মধ্যে একটি এই  তাজমহল প্যালেস নির্মাণ করেন জামশেদজি টাটা ১৯০৩ সালে মুম্বাইয়ের কোলাবা অঞ্চলে। তাজমহল প্যালেস তৈরীর পেছনে কারণ টিও বেশ চমকপ্রদ । ব্রিটিশ অধীনস্থ ভারতের  মুম্বাইয়ের ওয়াটসন হোটেল ছিল ভারতের সবচেয়ে বিলাসবহুল  হোটেল। শোনা যায়  একবার জামশেদজি টাটা ওয়াটসন হোটেলে ঢুকতে গেলে সেখানকার কর্তৃপক্ষ তাকে হোটেলে প্রবেশ করতে দেয়নি । আর এ ঘটনায় ক্রুুদ্ধ হয়েই জামশেদ টাটা সিদ্ধান্ত নেন নিজে এক বিলাসবহুল হোটেল তৈরির । এই হোটেলটির নির্মাণ পরিকল্পনার দায়িত্বে ছিলেন বিখ্যাত  ব্রিটিশ আর্কিটেক্ট  ডব্লিউ এ চ্যাম্বারসের । তবে অদ্ভুত ব্যাপার হলো ,জামশেদজি টাটার সাধের এই হোটেল তৈরি হওয়ার পর তা জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হলেও  চেম্বারের আর কোনোদিন কোনো হদিস মেলেনি।

তাজমহল প্যালেসে রাত্রিযাপন করা অনেক অতিথির মতে হোটেলের পঞ্চম ফ্লোরে  সাদা চুল ও দাড়ি যুক্ত এক ব্রিটিশ ব্যক্তির অবয়ব ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়,এছাড়াও সর্বক্ষণই হোটেলে কোন না কোন ভুতুড়ে কাজ কারবার নাকি ঘটতেই থাকে ।কিন্তু কে সেই বৃটিশ ব্যক্তি ?মনে করা হয় তা আসলে ডব্লিউ এ চেম্বার এর ই অতৃপ্ত আত্মা । কথিত আছে, চেম্বারস যেভাবে তাজমহল প্যালেস হোটেলের নকশা এঁকেছিলেন, নির্মাণ কর্মীরা পুরোপুরি তা অনুসরণ না করায়  হোটেলের নির্মাণ চেম্বারসের মনের মতো হয়নি আর এতেই ব্যথিত হয়ে তিনি  হোটেলের পঞ্চম ফ্লোরের বেলকনি থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেন।

তবে গৌরবময় তাজ হোটেলে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটে ২০০৮ সালে। মুম্বাইতে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদি হামলা হলে ভিড় হোটেলটির পরিণত হয় এক রণক্ষেত্রে । ভয়ঙ্কর এই হামলায় মারা যান  প্রায় ১৬৭ জন। আর তারপর থেকেই ভৌতিক হোটেল হিসাবে কুখ্যাত হয়ে উঠেছে এই হোটেল। এখানে রাত্রি যাপন করি  অনেকেই বলেছেন অজানা এক ভয়   রাতে তারা ঘুমোতে পারছিলেন  না এমনকি রাতে ঘুমানোর পরে তাদের অনেকে দুঃস্বপ্ন দেখেন যে চারিদিকে গোলাগুলির আওয়াজ চলছে এবং বহু মানুষের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *