অফবিট

এই মন্দিরে যেতে হলে মাছ ,মাংস, মদ্যপান, পেয়াজ ও  রসুন কিছুই খাওয়া যায়না

আমরা সবাই জানি যে যেখানে ভগবানে বাস সেখানে খারাপ শক্তি অর্থাৎ ভূত প্রেত থাকতে পারে না।তবে আপনারা কি জানেন যে এমন কয়েকটি মন্দির আছে যাদের মধ্যে একটি হল মেহেন্দিপুর বালাজির মন্দির যেখানে ভগবান বিরাজমান রয়েছে কিন্তু তাও ভূত প্রেতদের সমাগম ঘটে।বলা হয় যে এই মন্দিরে শুধুমাত্র সাধারন মানুষ যান না যাদের মধ্যে অশুভ  শক্তি থাকে তাদেরকে ওই অশুভ শক্তিদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যেই নিয়ে যাওয়া হন।তার মানে ওখানে যাওয়া মানে ভগবানে সাথে ভূত প্রেতেও দেখা পাওয়া এবং দেখতে পাবেন আরও কিছু জিনিস যা দেখে আপনি আঁতকে উঠবেন।তাই এই স্থানে যাতে গেলে কিছু নিয়ম মানতে হয় না হলে পড়তে পারেন অশুভ শক্তির গ্রাসে। 

রাজস্থানের তসার জেলায় অবস্থিত মেহেন্দিপুর বালাজি মন্দির। এই মন্দিরে পূজিত হন বালাজি মহারাজ হলেন রাম ভক্ত  হনুমানজি ।এবং ওনার সাথে রয়েছে ওই মন্দিরে  প্রেত রাজ ও কাল ভৈরব ।এই  প্রেত  রাজাই ভুতদের দণ্ড দেন । কথিত আছে যে  প্রেত রাজা ও বালাজি মহারাজ আরাবল্লি পর্বতে  প্রকট  হয়েছেন  ভূত , পিশাচ ও ব্ল্যাক মেজিকের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করতে ।তাই এই মন্দিরে ভূত পিশাচ আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ করে তুলতে পারেন এই মন্দিরের পুরোহিতরা।তাই যদি কোন  মানুষকে যখন অশুভ  শক্তি নিজের বশে করে নেয়  তখন তাদের এই মন্দিরে নিয়ে আসা হয়। তাই এই মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করলেই এমন কিছু জিনিস আপনাদের চোখে পড়বে যাতে আপনাদের আত্মা কেপে উঠবে। এই মন্দিরে যখন  সকাল সন্ধায় আরতি শুরু  হয় তখন  অশরীরী আক্রান্ত মানুষেরা এসে জড়ো হয় এবং তাদেরকে  শিকল দিয়ে বেধে রাখা হয়। তাই যারা ভুতে বিশ্বাস করেন না তারা এই মন্দিরে একবার ঘুরে আসুন।দেখবেন আপনারাও ভুতে বিশ্বাস করছেন। তবে এই মন্দিরে যাওয়ার আগে কিছু নিয়ম জেনে নেওয়া আপনাদের জন্য অত্যান্ত জরুরী।

এই মন্দিরে  যেতে হলে মাছ ,মাংস, মদ্যপান, পেয়াজ ও  রসুন খাওয়া যাবে না।

এই মন্দিরে পুজো দেওয়ার রীতিও অবাক করার মতো। এক বাক্স লাড্ডুর মধ্যে তিন দেবতাকে প্রথমে একটি করে নিবেদন করা হয়। তার পর বাকি লাড্ডু ছুঁড়ে দিতে হয় মন্দিরের আনাচে-কানাচে। অশরীরীদের জন্য। এছাড়া, মাত্র দুটি লাড্ডু পুরোহিতরা প্রসাদ হিসেবে দেয় সেটা ওখানেই খেয়ে আসতে হয়। এবং যদি কিছু  প্রসাদ বাকি থাকে তা মন্দিরের বাইরে পশু-  পাখিদের দিয়ে দিতে হয় ।কারন ওই প্রসাদ বাড়িতে নিয়ে আসা যায় না।  এমনকি  সঙ্গে নিয়ে যাওয়া ক্রিম ও পাউডার পর্যন্ত  বাড়ি ফেরত আনতে নেই ।  এছাড়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল যে  এই মন্দিরে  পুজো দিয়ে ফেরার সময়  কেউ যদি  পিছন থেকে ডাকে তাহলে পিছন ফিরে তাকাতে নেই। কারন সেই  ডাক  কোন পরিজনের নয় অতৃপ্ত আত্মাদের । অশুভ শক্তি  সবসময় কাউকে না কাউকে বশ করার জন্য উদবিগ্ন হয়ে থাকে ।তাই পিছনে তাকালে কোনও না কোনও অতৃপ্ত আত্মা এসে গ্রাস করে নেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *