অফবিট

সাহারা মরুভূমির নীল চোখ কেন এত রহস্যময়?

নিউজ ডেস্ক – সাহারা মরুভূমি নিজেই নিজের মধ্যে এক রহস্যে ঘেরা। বহু প্রত্নতাত্তিকেরা এই রহস্যময় দেশে একাধিক ইতিহাস উন্মোচন করতে যান। তবে সাহারা মরুভূমি হল একমাত্র মরুভূমি যেটি পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘতম এবং খুব উষ্ণ। কিন্তু এ ছাড়াও সাহারা মরুভূমির আরেকটি বিশিষ্টতা রয়েছে।  এই মরুভূমির মধ্যে লুকায়িত একাধিক রহস্যের মধ্যে অন্যতম হলো সাহারার নীল চোখ। এটি Richat Structure নামেও পরিচিত। এটি প্রায় ৫০ বর্গকিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে অবস্থিস্ত। 

সাহারা মরুভূমির নীল চোখ যাকে বলা হয় সেটি দেখতে অনেকটা, মানুষের চোখের মতোই। মহাকাশ থেকে এটি স্পষ্ট দেখা যায়।মোবাইলের মানচিত্র থেকেও দেখতে পাওয়া যায়।  এই বৃহদাকৃতির নীল চোখকে ঘিরে অনেক রহস্য জরিয়ে রয়েছে, কিন্তু এই রহস্য উন্মোচনে এখনো সম্পূর্ণরূপে সফলতা পাননি বিজ্ঞানীরা। 

তবে বর্তমানে এই বিষয়ে রিসার্চ চললেও বিজ্ঞানীরা তিনটি থিওরি বের করেছে। সম্পূর্ণ না হলেও এই থিওরির মাধ্যমে কিছুটা সাহারা মরুভূমির চোখের সম্পর্কে জানা যায়। যেমন – 

I) Ancient Astronauts Theory(প্রাচীন এলিয়েন) :- এই থিয়োরি অনুযায়ী এটি একটি এলিয়েন বেস ক্যাম্প, যারা অনেক পূর্বে পৃথিবীতে এসেছিলো পৃথিবীর মানুষের মধ্য জ্ঞানের সঞ্চার করেছে। UFO ল্যান্ডিং-র এক বিশেষ আকৃতি। মানুষের DNA পরিবর্তন করে একটি পরিকল্পিত বুদ্ধিমান প্রাণী বানিয়েছে। যদিও এটাই সত্য Ancient Astronauts Theory ও Evaluation Theory দুটি সম্পর্ণ বিপরীতমুখী মতবাত। Evaluation Theory ঈশ্বরের অস্তিত্বকে সরাসরি বহিস্কার করে দেয়। Ancient Astronauts Theory ঈশ্বরকে এলিয়েন  রূপে বর্ণনা করে। 

II) আটলান্টিক শহর :- এই শহরের বিজ্ঞানীদের বর্ণনা অনুযায়ী ৭টি বিশাল মহাপ্রাচীর দিয়ে ঘেরা ছিল আটলাসটিস শহর।  বৈজ্ঞানিক পক্ষ থেকে গবেষণা থেকে পাওয়া যায় এখানে যে শিলা গুলি ছিল জলের নীচে বহুদিন থাকার ফলেই সৃষ্টি হওয়া সম্ভব। কারণ পৌরাণিক শহর ট্রয়ের অস্তিত্বের  ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। তাই হয়তো আটলান্টিসও কোনো মিথ নয় সত্যি একটি বাস্তবিক শহর, যাকে ঘিরে মিথ বানানো হয়েছে।

III) বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ :- এই থিওরি অনুযায়ী এটি একটি বড় ঝিলের মধ্যেকার অংশ। তামানরাসত্মা নদী সাহারা মুরুভূমির মধ্যে হারিয়ে যাওয়ায় তার সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হারিয়ে গিয়েছে। তাই বিজ্ঞানীদের মতে একটা বড় ঝিলেরই অংশ হলো এই জাইন্ড ব্লু আইস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *