হজরত মুহাম্মদের বংশধর মনে করেন এই দেশের রাজবংশ। জর্ডানের অবাক করা কিছু তথ্য
নিউজ ডেস্ক- এমন দেশের নাম শুনেছেন যার দক্ষিণ থেকে উত্তরে পায়ে হেঁটেই পৌঁছানো যায়। জর্ডান মধ্যপ্রাচ্যের একটি রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এর রাজধানী ও সবথেকে বড় শহর হল আম্মা। জর্ডানের সরকারি ভাষা হল আরবি। দেশটির মোট আয়তন ৮৯,৩৪২ বর্গ কিমি। জর্ডান দেশের সরকারি নাম হেসমত কিংডম অফ জর্ডান। দেশটির উত্তরে সিরিয়া, উত্তরপূর্বে ইরাক, পশ্চিমে ইজরাইল ও পূর্ব দক্ষিনে সৌদি আরব রয়েছে।
জর্ডান দেশ সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য হলো
1. জর্ডান এমন একটি দেশ যার দক্ষিণ থেকে উত্তরে পায়ে হেঁটেই পৌঁছানো যায়। যা অন্য দেশে এটি সম্ভব নয়। এই দেশের Jordan trail সড়ক দিয়ে উত্তর থেকে দক্ষিনে 421 মাইল পায়ে হেঁটে দেশটি ভ্রমণ করা সম্ভব। এই যাত্রা টি সম্পূর্ণ করতে 40 দিন সময় লাগে। এই দেশের বেশিরভাগ অংশ মরু অঞ্চল ও বালুকাময়।
2. জর্ডান দেশে রয়েছে এক বহু পুরনো ইতিহাস। এখানকার সংস্কৃতির উল্লেখ রয়েছে বাইবেল এ। দেশটির ঐতিহাসিক নিদর্শন ও প্রাকৃতিক দৃশ্য অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এই দেশে বহু হলিউড মুভির শুটিং করা হয়েছে। এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলিকে হলিউড মুভি তে ভীষণ ভাবে ব্যবহার করা হয়।
3. এই দেশের প্রতিটি শহরে কিছু কিছু ইমারত রয়েছে যা প্রায় হাজার বছরের পুরানো।
4. জর্ডান একটি মুসলিম দেশ। যেখানে 93 শতাংশ মানুষ সুন্নি মুসলমান, 6%খ্রিস্টান ও 1%বাকি অন্য ধর্মে বিশ্বাসী লোক থাকেন। দেশের প্রত্যেকটি জায়গায় আপনি মসজিদ দেখতে পাবেন অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর মতো এদেশের মুসলমানরা ও ভীষণ ধর্ম প্রেমী।
5. জর্ডান দেশের বর্তমান শাসক হলেন কিং আব্দুল্লাহ। অতীত থেকে বংশ পরম্পরায় জর্ডানে এই রাজপরিবারের শাসন চলছে। এখানকার মানুষ তাদের রাজাকে ভীষণ সম্মান করেন। এমনকি রাজার অনুমতি ছাড়া এখানে একটা পাতাও পারেনা। অর্থাৎ এখানে যা চাইবেন তাই হয়ে থাকে। জর্দানের রাজবংশ নিজেদেরকে হজরত মুহাম্মদের পিতামহ হাশেমের বংশধর বলে মনে করে।
6. পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের মধ্যে পেত্রা জর্ডানে রয়েছে। ৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত এটি ছিল নাবাতীয় রাজ্যের রাজধানী। একটি প্রসিদ্ধ পুরাতাত্ত্বিক স্থল।
7. জর্ডান দেশের রাজধানী আম্মান একটি বহু পুরাতন শহর। বলা হয় এখানে 13th century PC থেকেই থেকেই মানুষ বসবাস করছে। আজও এই শহরটিতে রয়েছে বহু পুরনো জিনিসপত্র। এবং এই দেশে এখনও বহু জিনিসের সন্ধান এর কাজ চলছে।
8. এখানকার মানুষেরা খেতে খুবই পছন্দ করে। তাঁরা সাধারণত মাংসাহারী হয়। এবং পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে বেশি খেতে পছন্দ করা দেশগুলোর মধ্যে জর্ডান দেশ রয়েছে। এ ছাড়া এদেশে রয়েছে নানা ধরনের সুস্বাদু খাবার। খাওয়া-দাওয়া এখানকার সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে। এখানকার মানুষেরা Green tea ও খুব পছন্দ করে।