অফবিট

ভারতবর্ষ ছাড়াও পৃথিবীর আর কোথায় কোথায় হিন্দুধর্মের প্রাধান্য আছে জানেন?

নিউজ ডেস্ক –  হিন্দু ধর্ম হল এমন একটি ধর্ম যা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছে। পাশাপাশি এর উৎপত্তি বহু বছর আগের। যার কারণে মৌর্যযুগ তথা তার আগে থেকে বহু মানুষ হিন্দুদের দেব-দেবী প্রতিষ্ঠা ও পুজো করে আসছেন। এমনই তার কয়েকটি নিদর্শন রয়েছে যে গোটা বিশ্বে কোন না কোন অংশে হিন্দু মন্দিরের অবস্থান আছে। বিদেশ বিভূঁইয়ে প্রত্যেকটি পরোতে পরোতে রয়েছে হিন্দুদের ধর্মের ছোঁয়া। যার কারণে ভারত বর্ষ ছাড়াও বহু বিদেশে পূজিত হয় হিন্দুদের দেব দেবতা। 

১) আঙ্কোরভাট, কম্বোডিয়া – ভারত ছাড়িয়ে কম্বোডিয়াতে দ্বাদশ শতকে দ্বিতীয় সূর্য বর্মনের আমলে প্রায় ১৬২ হেক্টর জায়গা জুড়ে নির্মিত হয় এই মন্দিরটি। এটি মূলত হিন্দুদের দেবতা বিষ্ণু দেবের মন্দির। ১৯৯২ সালে বিষ্ণু মন্দির টি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ নামে বিবেচিত হয়। তবে বিদেশের মাটিতে থাকা এমন দেশের মন্দিরে গেলে সিংহভাগ মানুষ ভুলে যায় সে দেশে রয়েছে না বিদেশে। 

২) পশুপতিনাথ মন্দির, কাঠমান্ডু – নেপালের কাঠমান্ডুতে বাগমতী নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে প্রায় ৬২৪ হেক্টর জুড়ে অবস্থিত রয়েছে হিন্দু মন্দির। এটি মূলত শিবের মন্দির। তবে মন্দির চত্বরটি এত বড় যে সেখানে শিব মন্দির ছাড়াও রয়েছে ৫১৮টি ছোট ছোট মন্দির,  আশ্রম ও শিলালিপি। প্রত্যেক চতুর্থীতে এখানে মহাসমারোহে আরাধনা করা হয় শঙ্করের। সেই পুজোর সময় এখানে জমায়েত হয় বহু মানুষ। তবে বিদেশি মন্দির গুলির মধ্যে এই মন্দিরটি ও ইউনেস্কো হেরিটেজের অন্তর্গত।

৩) তানাহ লট মন্দির, বালি – ইন্দোনেশিয়ার বালি অঞ্চলে অবস্থিত আছে  হিন্দু ধর্মের মন্দির। যেটি মূলত সাগর দেবতার মন্দির। হিন্দু ধর্মে দেবতার নাম  ‘দেওয়া বরুণা’। এই দেবতার মানতা সহ মন্দির চত্বরে আকৃতি ও প্রকৃতি এতটাই আকর্ষণীয় যে বছরের প্রত্যেকটা দিন এখানে মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। 

৪)  রাধামাধব ধাম, টেক্সাস – নর্থ আমেরিকার অবস্থিত টেক্সাসে হিন্দু ধর্মের নিদর্শন হিসেবে একটি মন্দির রয়েছে। এটি মূলত গোকুলের কৃষ্ণের মন্দির। মন্দিরটির নাম বর্ষণ ধাম। এখানে প্রত্যেক বছর জন্মাষ্টমীতে গোপালের মহাসমারোহ করে পুজো দেওয়া হয়।   বিদেশ বিভূঁইয়ে এরকম হিন্দু ধর্মের ব্রজধাম থাকায় প্রত্যেকটি তিথিতে উত্তর আমেরিকার অধিকাংশ মানুষ ভিড় জমায় এই মন্দিরে।

৫) শ্রীকৃষ্ণ মন্দির, মস্কাট –  মস্কাটে বৃহৎ পরিসর জুড়ে রয়েছে শ্রীকৃষ্ণের মন্দির। তবে জানা যায়  ১৯৮৭ সালে একদল বণিক ব্যবসায়ী সেখানে গিয়ে বহুদিন থেকেছেন। কার্যত সেই কারণেই ওই সময় কালে কৃষ্ণ মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তারা। বর্তমানে যে মন্দিরের নবরাত্রি দিন পুজো আয়োজনে পাশাপাশি উৎসবে মেতে ওঠে স্থানীয়রা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *