পৃথিবীর যে দেশে ১৪৫ টি দেশে মাসাজ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালানো হচ্ছে
নিউজ ডেস্ক – ম্যাসাজ এমন একটি জিনিস যা কয়েকঘন্টা নিলেই সারা দিনের সমস্ত ক্লান্তি মিটে যায়। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকমের ম্যাসাজ প্রক্রিয়া হলেও সবচেয়ে ভালো ম্যাসেজটি খ্যাতি অর্জন করেছে থাইল্যান্ডে। থাই ম্যাসাজ হলো পুরো পৃথিবী বিখ্যাত। শুধু তাই নয় একটি আবিষ্কার করা হয়েছে আনুমানিক ২০০০ বছর আগে। যার কারণে বর্তমানে ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকায় খুব শীঘ্রই থাইল্যান্ডের নুয়াদ থাই ম্যাসেজটির নাম নথিভূক্ত হতে চলেছে। সকলের মনে এমন প্রশ্ন জাগতেই পারে যে কি এমন আছে এই ম্যাসেজে! তবে যারা এই ম্যাসেজের স্বাদ পাননি তারা এই ধরনের প্রশ্ন করতে পারবেন। কারণ যে ব্যক্তি একবার এই ম্যাসাজ পেয়েছেন সে বারবার তা পেতে মুখিয়ে থাকেন।
জানা গিয়েছে প্রায় ২ হাজার বছর পুরনো এই মেসেজটি চল শুরু হয়েছিল দা রেসলিং বুদ্ধা স্কুলের ওয়াট ফো মন্দির কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে। যেখান থেকে দীর্ঘদিন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ম্যাসাজের প্রশিক্ষণ নিয়ে বেরিয়েছে প্রায় ২ লক্ষের মতো মেসেজ এক্সপার্টরা। যারা বর্তমানে ১৪৫টি দেশে ম্যাসেজ থেরাপির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ চালাচ্ছে।
তবে পৃথিবী বিখ্যাত এই নুয়াদ থাই ম্যাসেজটি রহস্য হলো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে হাতের আঙ্গুল, কোনুই, পায়ের পাতা ইত্যাদি আক্যুপাংচার পয়েন্টগুলিকে স্ট্রেচ এবং টুইস্ট করলে নিমেষেই দূর হয়ে যায় সকল ক্লান্তি। কারণ মাংসপেশী টুইস্টিংয়ের মাধ্যমে দেহে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় পাশাপাশি যেকোনো মাংসপেশির অর্থাৎ মাসল পেইন থাকলে সেই উপশম দূরবর্তী হয়। যার কারণে একজন ক্লান্ত-বিধ্বস্ত মানুষ আমার জানা হয়ে উঠতে সক্ষম হন। নুয়াদ থাই ম্যাসেজের এই সকল জাদুকরী ট্রিক্সের কারণেই আজ পৃথিবী খ্যাত।