অফবিট

দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মধ্যে ৮১ বছরের একজন বৃদ্ধার বাস যে দ্বীপে

নিউজ ডেস্ক – গোটা বিশ্বে পপুলেশনের দরুন কোথাও এক চিলতে শান্তি বা নিরিবিলি স্থান নেই। কিন্তু এমন এক দম্পতি রয়েছেন যারা গোটা একটি দ্বীপে নিজেরাই বসবাস করে। এমন একটি জায়গা  হল জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তর্বর্তী অঞ্চল। দীর্ঘদিন ধরে এই দ্বীপের সম্পর্কে বিতর্ক মূলক বিষয় থাকার কারণেই এই দ্বীপে বসবাস করতে চায় না কোন মানুষেরাই। তবে শুধুমাত্র ব্যতিক্রম ছিল এই দম্পতি। 

ঐতিহাসিক মতানুবাদ  অনুযায়ী দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মধ্যবর্তী স্থানে নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক সৃষ্টি হয় দুই দেশের মধ্যে। কার্যত দুই দেশই চায় স্থানটিকে নিজেদের দখলে। কিন্তু মতবিরোধিতার কারণে সেই পরিকল্পনা সফল হয় না কারোরই। বিষয়টা অনেকটা কাশ্মীরের মত দুই দেশের মধ্যে আংশিকভাবে রয়ে গিয়েছে এই দ্বীপটি। দক্ষিণ কোরিয়া এটিকে ডোকডো দ্বীপপুঞ্জ বলে অভিহিত করে যা পূর্ব সাগরে অবস্থিত, অন্যদিকে জাপান আবার এই দ্বীপপুঞ্জকে তকোশিমা নামে অভিহিত করে এবং এর সংলগ্ন সাগর জাপান সাগর নামে পরিচিত। তবে এই দুটি দেশের মধ্যে যথেষ্ট রেষারেষি থাকার কারণে জাপানিরা মনে করে দক্ষিণ কোরিয়া এই পাথরের দ্বীপটিকে অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে যা কিনা সপ্তদশ শতক থেকেই জাপানিদের সর্বভৌম অঞ্চল ছিল। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ানদের মতে এই দ্বীপের জলের নিচে এমন কিছু গ্যাস রয়েছে যার জন্য জাপানিরা এটিকে নিজেদের সীমানার মধ্যে নিয়ে যেতে চাইছে। যার কারণে দ্বীপটির নিয়ে সরকারি দ্বন্দ্ব থাকার কারণে এই দ্বীপে বসবাস করে না কোন মানুষ।তবে ভৌগোলিক অবস্থানের নিরিখে দেখতে গেলে এই দ্বীপপুঞ্জটি জাপান অপেক্ষা কোরিয়ারই বেশি কাছে।

তবে দম্পতিদের বিষয়ে সেই মহিলার জামাইয়ের বক্তব্য জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা আঞ্চলিক বিরোধের কারণে ১৯৯১ সালে নিজের স্বামীর সঙ্গে একটি নির্জন দ্বীপে বসবাস করতে শুরু করেন। তবে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই ৮১ বছর বয়সী মহিলা আগ্নেয়গিরি বেষ্টিত এই দ্বীপে একাই বসবাস করছেন। তবে মাঝেসাঝে এখানে পুলিশ অথবা পর্যটকরা ঘুরে যান দ্বীপটির থেকে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *