লাইফস্টাইল

জটিল রোগ সারাতে যেভাবে মধু ব্যবহার করবেন

নিউজ ডেস্কঃ মধু না চিনি। ব্যাপারটা বুঝতে পারলেন না তো? আসলে উপকার বেশী কিসে? কখনও ভেবে দেখেছেন? বেশিরভাগ মানুষই বলে থাকেন যে চিনি খাওয়া শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন যে মধুর বেশিরভাগটাই চিনি দিয়ে তৈরি।

তবে চিনির চেয়ে মধু বেশি উপকারী কি? মধু অনেক জটিল রোগ সারাতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর চিনি শরীরের ক্ষতি করে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে মধুর বেশিরভাগটাই চিনি। তবে এই দুইয়ের মধ্যে তুলনা করা হয়ে থাকে তাহলে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে বেশিরভাগ মানুষই মধুকে বেছে নিয়েছেন। সেক্ষেত্রে মধুর বিষয়ে কিছু ভুলভ্রান্তি ত্যাগ করা উচিৎ। মানুষের দেহে খাদ্যকে ভেঙে মধু গ্লুকোজ তৈরি করে শক্তির যোগান দিতে। পাশাপাশি কার্বহাইড্রেটকে ভেঙ্গে কাজ করতে হয় দেহকে।

চিনির হাফ বা অর্ধেকই হল গ্লুকোজ আর বাকি অর্ধেক ফ্রুকটোজ। চিনি সংগ্রহ করা হয় ফল থেকে আর তা ভেঙে গ্লুকোজে পরিবর্তিত হয়। আবার মধুর বেশিরভাগটাই চিনি। সেক্ষেত্রে এর মাত্র ৩০ শতাংশ গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজের মাত্রা ৪০ শতাংশেরও কম থাকে। তবে জটিল ধরনের চিনি ও ডেক্সট্রিন নামের এক প্রকারের স্টার্চি ফাইবারে আছে ২০ শতাংশ। এসব উপাদানকে ভেঙে গ্লুকোজ করে দেহকে অনেকবেশি কাজ করে। এসবের পরেও ক্যালোরি খুব কম পরিমানে দেহতে আসে। পাশাপাশি মধুতে বেশ কিছু ক্ষতিকর পদার্থ থাকে।

তবে সবথেকে বেশী যার উপর নির্ভর করে তাহল মৌমাছি। কারন এই পতঙ্গ এক ফুল থেকে অন্য কী কী ফুলে যায় পাশাপাশি মধুটি কোন এলাকা তার উপরে। এছাড়াও মধুতে জিঙ্ক, সেলেনিয়ামের মতো খনিজের পরিমাণ এবং ভিটামিন অনেক কম আছে। তবে মধু প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হওয়ার কারনে এটি সংরক্ষণ করার জন্য কৃত্রিম পদার্থ ব্যবহার করতে হয় না। সর্বশেষ এটি বলা যেতে পারে যে দেহকে কম কাজ করে বেশি ক্যালোরি উৎপাদন করতে গেলে চিনি সেক্ষেত্রে বেশি উপকারী। তবে আলাদা স্বাদের মিষ্টি খেতে চাইলে মধু ব্যবহার করা যেতে পারে। যদিও এই নিয়ে নির্দিষ্ট কোন সমাধানে পৌঁছতে পারা যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *