কলকাতার যে পাঁচ তারা হোটেল অভিশপ্ত
নিউজ ডেস্কঃ দূরে কোথাও ঘুরতে গেলে আমরা সাধারণত ভালো করে খোঁজ খবর নিয়ে তবেই কোন হোটেলে রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নিই। কোন জায়গায় ঘুরতে গিয়ে যদি শুনি হোটেলের ভুতুড়ে জায়গা হিসাবে কুখ্যাতি আছে তবে, সাধারণত সেই হোটেল আমরা এড়িয়েই যাব।কিন্ত আরেক ধরনের মানুষ আছে বৈকি! যাদের অদ্ভুতুড়ে অলৌকিক জিনিসের ওপর চিরকালীন টান ।আর আপনিও যদি এই দ্বিতীয় প্রকারের মানুষের দলে পড়ে থাকেন তবে আপনার জন্য সুখবর বেশি দূরে খুঁজতে হবে না কলকাতাতেই আছে এমন এক ভয়ঙ্কর হোটেল ।
একাধিক সূত্রের মতে কলকাতায় ভুতুড়ে হোটেল নামে বেশ কুখ্যাত গ্র্যান্ড হোটেল। অবাক হলেন? ভাবছেন এত বড় একটি পাঁচতারা হোটেল আবার ভূতের আখড়া ?হ্যাঁ! ঠিকই শুনলেন। অবরেয় হোটেলস অ্যান্ড রিসোর্টস এর মালিকানায় থাকা এই হোটেলটি বর্তমানে অবরেয় গ্র্যান্ড নামেই পরিচিত।এই হোটেলটি কলকাতার জহরলাল নেহেরু রোডে অবস্থিত । এই হোটেলটা কিন্তু কম পুরোনো নয়, সেই ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই বিখ্যাত বিল্ডিং । আর বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই হোটেলটি ঘিরে শুরু হয়েছে একাধিক গুজব। যতই বলা হোক গুজব তবুও, বছরের পর বছর ধরে এই হোটেলে ভূতের উপস্থিতি নিয়ে মানুষের মনে আতঙ্ক আর কৌতূহলের শেষ নেই। শোনা যায় রাত বাড়লেই হোটেলের লবিতে শুরু হয় নানা ভুতুড়ে কান্ড কারখানা।এছাড়া ,হোটেলের বিভিন্ন ঘর থেকে নারী কন্ঠে কান্না , মানুষের হাঁটাচলার আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায় । রাত হলেই কখনো কখনো মনে হয় কক্ষের বাইরে কেউ যেন ছোটাছুটি করছে।এইরকমই অসংখ্য ভৌতিক ঘটনা এখানে প্রায়দিনই ঘটে ।
হোটেলে আগত অতিথিদের অভিযোগের ফলে কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করে কোনরকম সন্দেহভাজন জিনিস খুঁজে পাননি ।কিন্তু এরপরেও ভুতুড়ে কান্ড কারখানা কিন্তু থামেনি । ঘরের পাশে ফিসফিস আওয়াজ হঠাৎ দমকা হাওয়া ঘরে ঢুকে পড়া টেবিল থেকে গ্লাস মাটিতে পড়ে যাওয়া,জায়গা থেকেই যিনি সরে যাওয়া এই ধরনের ঘটনা এখনও ক্রমাগত ঘটে।
ঠিক কী কারণে এখানে এরকম ভৌতিক কান্ড কারখানা ঘটে তা নিয়ে অসংখ্য গুজব শোনা যায় ।অনেকেই ভৌতিক কাজের জন্য টেডি বেদাফোর আত্মা কে দায়ী করেন ।তিনি ছিলেন এক কিংবদন্তি পিয়ানোবাদক । ১৯৪৫ সালে তিনি বেড়াতে এসে কোনো এক অদ্ভুত কারণে কলেরায় মারা যান। মনে করা হয় সেই থেকেই এখানে শুরু ভৌতিক কান্ড।