মেয়েরা কেন কুকুর ছানাদের বেশী প্রিয়?
নিউজ ডেস্ক – পৃথিবী হচ্ছে একটি বৈচিত্র্যময় দেশ। এখানে প্রতিনিয়ত ঘটে এক অদ্ভুত ঘটনা। এছাড়াও পৃথিবীর বুকে এমন কিছু রয়েছে যা মানুষের স্বপ্নাতীত। কেমনি কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে আজ এই প্রতিবেদনে।
১) গরুর দুধ কম বেশি সকলেই খেয়ে থাকে। বিশেষ করে শিশুদের খাদ্যের তালিকায় প্রথম স্থানে থাকে গাভীর দুধ। তবে দেখা গিয়েছে দুধেল গাভীর দুধ দোয়ানোর সময় যদি হালকা সুরের গান বাজানো হয় তাহলে প্রতি দিনের তুলনায় বেশি পরিমাণ দুধ দেয় গাভী। বিষয়টি নিছকই কাল্পনিক বা গুজব নয় রীতিমত বিজ্ঞানসম্মতকর বিষয়।
২) উট পাখি সম্পর্কে হয় চিড়িয়াখানায় নয় বিজ্ঞানে বইয়ের পাতায় সকলেই দেখে থাকে। উট পাখির ডানা থাকলেও বর্তমানে পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় না রাখার একটি নিষ্ক্রিয় অঙ্গের পরিণত হয়েছে। কিন্তু পৃথিবীর বুকে এমন কিছু পুরুষ উটপাখি রয়েছে যারা অবিকল সিংহের মতো আওয়াজ করতে পারে।
৩) উন্নত সমাজের মানুষ সব সম্প্রদায়ের ভাষা শিখে নিলেও কোনদিন জন্তুদের কথোপকথন বুঝে উঠতে সক্ষম হয় না। তাই মুরগির ছানারা তাদের মায়ের সাথে এক বিশেষ ভাষায় কথা বলে। যা শুধুমাত্র তারাই বুঝতে পারে কোন সাধারণ মানুষের পক্ষে সেটি বোঝা কাম্য নয়।
৪) কোন জীবেরা মূলত মুখের মাধ্যমে আহার গ্রহণ করে থাকে। তবে এক ধরনের প্রজাপতি রয়েছে যারা পায়ের মাধ্যমে ফুলের থেকে রেনু সংগ্রহ করে নিজেদের আহার মেটায়।
৫) গবেষণা করে দেখা গেছে একটি মাছির গড় আয়ু ২৮ দিন। তবে এই কয়েকদিনের জীবন কালে মাছিটি কোনদিনও ঘুমায় না। প্রতিনিয়তঃ নিজের কাজ করে শেষদিন একেবারে নিদ্রায় বিলীন হয়।
৬) মূলত কমবেশি স্তন্যপায়ী প্রাণীদের শরীরিক গঠন প্রায় সমান। তবে একটি ভিন্ন প্রজাতির এমন ক্যাঙ্গারু রয়েছে যাদের মূলত শরীরে তিনটি যৌনাঙ্গ বর্তমান।
৭) বিশেষজ্ঞদের মতে একটি তিমি মাছের হৃদপিন্ডের ওঠানামা করা এক মিনিটে প্রায় ৯ বার হয়ে থাকে।
৮) শুকরের শরীরেও রয়েছে ওর্গাজম। যা সক্রিয় থাকে মাত্র ৩০ মিনিট। বিভিন্ন পরীক্ষা করে গবেষকরা এটি প্রমাণিত করেছেন।
৯) ছোটবেলা থেকেই কুকুর ছানারা মেয়েদের প্রতি দুর্বল হয়। দেখা গিয়েছে খেলা করার সময় কুকুর পুরুষ ছানারা যতই শক্তিশালী হোক না কেন তারাও সর্বদা মেয়ে কুকুর ছানা দের কাছে পরাজিত হয়ে তাদের জিতিয়ে দেয়।
১০) দেখা গিয়েছে একটি কুকুর অন্য কুকুরের থেকে আলাদা করা হয় তাদের নাকের ছাপ দিয়ে। কারণ গবেষকদের মধ্যে একটি কুকুরের নাকের ছাপ একটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের আঙুলের ছাপের সমান। কার্যত এই চাপের মাধ্যমে কোনটি বৃহত্তম শক্তিশালী ও কোনটি দুর্বলতা তার নির্ধারণ করা হয়।
১১) কোয়ালারা গাছে জড়িয়ে থাকে দিনের অর্ধেকটা সময়। বিষয়টি অন্যদের কাছে হাস্যকর হলেও গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যখন গোয়ালারা গাছের সংস্পর্শে এসে তাদের আবিষ্ট করে রাখে তখন তাদের শরীরের ৬৮ শতাংশ উষ্ণতা কমে যায়।
১২) চিংড়ি মাছকে মূলত জলের পোকা হিসেবেই মানা হয়। তবে চিংড়ি মাছ আর পাঁচটি সাধারণ মাছের মতো জলে সাঁতার কাটে না। তারা জলে উল্টো স্রোতে সাঁতার কাটতে পছন্দ করে।
১৩) শিম্পাঞ্জি হল মানব জাতির আদি পূর্বপুরুষ। যার কারণে শিম্পাঞ্জি ও মানুষের ডিএনএ পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে তাদের ডিএনএতে মিল রয়েছে প্রায় ৯৮.৪ শতাংশ।
১৪) মানুষের মতো প্রাণীরা নিজেদের ত্বকের যত্ন নিতে পারে না। তাই জলহস্তির গাত্র থেকে এমন এক ধরনের পদার্থ নিঃসরণ হয় যা তাদের মশ্চারাইজিংয়ের কাজ করে। এর ফলে দীর্ঘক্ষন জলে থাকলেও তাদের ত্বকে কোনো রকম চর্মরোগ হয় না।
১৫) মানুষের মতো জন্তুদের ছানাদের কেউ হাঁটাচলা শেখায় না। তাই জিরাফের ক্ষেত্রে দেখা গেছে সদ্যোজাত সন্তানকে জন্ম দেওয়ার প্রায় দুই ঘণ্টার মধ্যেই জিরাফের ছানা হাঁটতে পারে।
১৬) অন্য দিকে নজর দিলে দেখা যাবে জননের সময় একটি সিংহী প্রায় ১০০ বার সঙ্গমে লিপ্ত হতে পারে।