অফবিট

সিটি অফ ভলকেন বলা হয়। গুয়েতেমালা দেশ সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য

নিউজ ডেস্ক: লাভ ম্যারেজ মানেই বিচ্ছেদ, অর্থাৎ আজকাল যদি প্রতিটা দেশে একটা সমীক্ষা করা যায় যে লাভ ম্যারেজ এবং অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের মধ্যে বিচ্ছেদ কোন ম্যারেজে বেশি? সেখানে লাভ ম্যারেজের নাম সবার আগে আসবে। তবে পৃথিবীতে এমনও দেশ আছে যা ঠিক তার উল্টো পথে হাটে। তাও আবার আমেরিকার মধ্যেই পরে।মধ্য আমেরিকাতে অবস্থিত দেশ গোয়াতেমালা যেটি মেক্সিকোর দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত। এর অফিশিয়াল নাম হল রিপাবলিক অফ গুয়াতেমালা। এবং রাজধানী হল গুয়াতেমালা সিটি। এবং এই দেশের ইতিহাস বহু পুরনো। গুয়াতেমালা এমন একটি যেটি আগ্নেয়গিরিতে ভরপুর।

গুয়াতেমালা দেশ সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য হলো:

1. গুয়াতেমালার অফিসিয়াল ভাষা স্পানিশ হলেও এখানে আরো 22 রকম ভাষায় কথা বলা হয়। এখানে প্রায় 100 কিলোমিটার অন্তর অন্তর আপনি ভাষার পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

2. এখানকার লোক খুব বেশি নারকেলের জল পান করতে পছন্দ করেন। তারা মনে করে প্রতিটি খাবার পদে নারকেলের শুকনো পাউডার মেশানোর ফলে খাবারটি আরো সুস্বাদু হয়ে যায়।

3. এছাড়াও এখানে সকাল হোক কিংবা সন্ধ্যা যেকোনো সময় আপনি নানা প্রকার সুস্বাদু নারকেলের জল পান করতে পারবেন।

4. গুয়েতেমালা দেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় ওজোন গ্যাস কেন্দ্রীভূতকরন দেশ। এছাড়াও গুয়াতেমালা কে সিটি অফ ভলকেন বলা হয়।

5. গুয়েতেমালা দেশের লোকেরা খুবই রোমান্টিক হয়ে থাকে যার জন্য এখানে প্রায় 70 শতাংশ মানুষ লাভ ম্যারেজ করে বিবাহ করেন। এবং এখানকার সব থেকে একটি ভালো বিষয় হলো এখানে বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যা অনেকটা কম।

6. এখানকার ছেলে মেয়েরা স্কুল জীবন থেকেই প্রেমিক-প্রেমিকা তৈরি করে এবং প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।

7. এখানকার মানুষেরা খুবই খোশমেজাজ প্রকৃতির হয়ে থাকে। গুয়েতেমালায় প্রতিবছর বহু সংখ্যক মানুষ ঘুরতে যান এবং পর্যটকদের সাথে এখানকার অধিবাসীরা হাসি মজা ও ভালো আচরণ করে এমনকি তারা কখনো কখনো প্রাঙ্ক ও করে থাকে তাদের সাথে।

8. এই দেশে প্রচুর পরিমাণে চকলেট ও কফি উৎপাদন করে। এখানে বিভিন্ন প্রকার চকলেট উৎপাদন করা হয়। এবং হাজার সংখ্যক মানুষ এই চকলেট তৈরির কারখানায় কাজ করে থাকে। এই দেশের কফি পুরো বিশ্বে রপ্তানি করা হয় এবং এটি  খুবই সুস্বাদু হয় থাকে।

9. গুয়েতেমালার লোকেরা সময় অপচয় করতে একদমই পছন্দ করেনা। তারা সবসময় কোন না কোন কাজে মধ্যে ব্যস্ত থাকেন। এই দেশের মানুষ অনেক বেশি hard-working হয়ে থাকে।

10. গুয়েতেমালার লোক অনেক ক্রিয়েটিভ হয় এবং তাদের ক্রিয়েটিভিটি শুধু কলা অর্থাৎ গান বা নাচে সীমাবদ্ধ নয় তাদের দৈনন্দিন জীবনে জড়িয়ে রয়েছে।

11. এখানকার প্রতিটি বাড়ি কালারফুল ও রঙ বেরঙের হয়ে থাকে। এমনকি এখানকার গৃহবধূরা তাদের ঘরবাড়ি কে খুব সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখে।

12. এখানকার মানুষেরা খুব ক্রিয়েটিভ হওয়ায় হলিউডের বিভিন্ন জনপ্রিয় মুভি এখানকার পরিচালক দ্বারা পরিচালনা করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *