প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর আজারবাইজান। অজানা কিছু তথ্য
নিউজ ডেস্কঃ কিছুদিন আগেই রাশিয়ার দুই পার্শ্ববর্তী দেশ আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়া যুদ্ধে জরিয়ে পরে। যার ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হয় এই দুই দেশই। তবে আর্মেনিয়াকে হারিয়ে কিছুটা স্থান দখল করে ইসলামিক দেশ আজারবাইজান। তবে জানেন কি প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর পৃথিবীর এই দেশ।
আজারবাইজান
এশিয়া মহাদেশের আজারবাইজান থাকলেও তেল সম্পদে সমৃদ্ধ লাভ করেছে দেশটি। দেশটির অনেক মাটিতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে আগুন জলে প্রতিবছর প্রচুর পর্যটক এই আগুন দেখতে আসেন। চার হাজার বছর ধরে এই আগুন জ্বলে আসছে বৃষ্টি, বরফেও এই আগুন কখনো নেভেনি। আগুন জ্বলার কারণে প্রাকৃতিক গ্যাসের ভান্ডার রয়েছে এই দেশে। দেশটিতে কোন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই বললেই চলে। বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে দিয়ে কার্পেট বোনা তাদের অন্যতম সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে। প্রাচীনকাল থেকে কার্পেট বোনা চলে আসছে এই দেশে। এখানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা বাধ্যতামূলক।
মহিলাদের পোশাক-আশাক জীবনযাত্রা ইউরোপিয়ানদের মত যার জন্য একে মিনি ইউরোপ বলা হয়। পুরুষের চেয়ে মহিলাদের সংখ্যা একটু বেশি তাই প্রতিটি কর্ম ক্ষেত্রে মহিলারা পুরুষের তালে কাজ করে চলছে, বরং বলা যায় পুরুষদের কর্মক্ষেত্রের সংখ্যা মহিলাদের তুলনায় অনেক কম। এখানকার হাতেগোনা কয়েকটি মহিলা হয়তো পর্দা পরে যেটি অন্যান্য মুসলিমদের সঙ্গে মেলে না কারণ এখানকার মহিলারা সবাই পশ্চিমি পোশাক পড়ে থাকেন।
আজারবাইজানে তৈল স্নান বিশ্বজোড়া নাম রয়েছে, কারণ অনেকের মতে এই স্নান করলে নাকি শক্তি পাওয়া যায়, তাই বিদেশী পর্যটকরা এই স্নান করতে এখানে ঘুরতে আসে। এখানে কোন শিশুর জন্ম হলে তাকে নোনা জলে স্নান করানো হয় কারণ তারা এটা বিশ্বাস করে এটা করলে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
আজারবাইজানে সবথেকে উত্তম ঘোড়ার দাম খুব বেশি হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কাদার আগ্নেয়গিরি মাটডল আজারবাইজানে অবস্থিত। একটি উৎসব পালন করা হয়ে থাকে যার নাম নরুত, এখানে সবাই আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে এই উৎসব পালন করে থাকে এবং এই উৎসবে তাদের সাথে কি কি ঘটেছে বা কি কি হয়েছে সমস্ত বিষয় আলোচনা করে থাকে এবং তারসাথে নাচ-গান হয়ে থাকে।
আজারবাইজানে সবাই যে কোন জাগায় মদ্যপান করতে পারে। দুনিয়ার সবথেকে বড় কেএফসি রেস্টুরেন্ট এখানে অবস্থিত এবং পোলাও হচ্ছে আজারবাইজানের জাতীয় খাবার।