অফবিট

যুদ্ধের কথা আসলেই কেন মেয়েদের কথা সবার আগে আসে?

প্রাচীন কাল থেকেই প্রচলন হয়ে আসছে যুদ্ধের। আর যুদ্ধ মানে কোন দেশের অধিকার গ্রহণ করার পাশাপাশি রক্তাক্তের কাহিনী ও নারীদের নির্যাতন করার এক গুচ্ছ গল্প। তবে এখানেই প্রশ্ন আসছে যুদ্ধের সঙ্গে নারীদের কী সম্পর্ক! সেই প্রশ্নেই উঠে আসে অনেকের মনে। সঠিকভাবে বলতে গেলে যুদ্ধের সঙ্গে নারীদের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। যেমন রামধনু সঙ্গে সাতটি রং সেরকমই যুদ্ধের সঙ্গে নারী। তাহলে বিষয়টা একটু পরিষ্কারভাবে বিশ্লেষণ করা যাক। 

রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের সময় যখন চারিদিকে বোমাবারুদের ঝড় উঠেছিল, রক্তাক্ত হচ্ছিল বহু সাধারণ মানুষ ঘর বাড়ি ভাঙছিল অনেক দরিদ্রদের তখন এই যুদ্ধ বন্ধ করতে এক অনন্য পন্থা অবলম করেছিলেন একজন মধ্যবয়স্ক মডেল লিলি সামার্স। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই তিনি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার জন্য একাধিক পোস্ট করতেন। সেই পোস্টগুলি মাধ্যমে এটাই বোঝা যেত লিলি ইউক্রেন কে সমর্থন করেন। তবে এই যুদ্ধ খেলা বন্ধ করার জন্য রাশিয়ার যোদ্ধাদের কাছে এক অকল্পনিক প্রস্তাব রেখেছিলেন তিনি। তিনি জানিয়েছিলেন যে রাশিয়ার যে যোদ্ধারা পুতিনের কথা অমান্য করে হাত থেকে যুদ্ধাস্ত্র ফেলে দেবে তাদের সঙ্গে এক রাতের জন্য যৌন মিলনে আবদ্ধ হবেন তিনি। অন্যদিকে ইউক্রেনের যোদ্ধাদের জন্যেও প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। ব্যাড কিটি’ নামের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি লিখেছিলেন, প্রত্যেক রাশিয়ানের মৃত্যুর বিনিময়ে তিনি একটি করে নগ্ন ছবি দেবেন। শুধু তাই নয়, রাশিয়ার প্রতিটি ট্যাঙ্ক ধ্বংস হলে তিনি একটি করে নগ্ন ভিডিয়ো দেবেন আর রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ধ্বংস করলে তিনি সেই সেনার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক তৈরি করবেন। তবে মধ্যবয়স্ক মডেলের এই প্রস্তাব বাস্তবে কতটা ফলপ্রসু হয়েছে সেই সম্পর্কে কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।

তবে শুধুমাত্র ইউক্রেন কিংবা রাশিয়ার যুদ্ধেই নয়, শত শত বছর আগের যুদ্ধের চিরতরে নজর দিলে দেখা যাবে যুদ্ধ ময়দানে যুদ্ধারা প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করার পাশাপাশি যৌন মিলনে সহিংসতা রেখেছিলেন। যুগ যুগ ধরে যুদ্ধের বিরাট অংশ হিসেবে গণধর্ষণ, যৌনদাসত্ব কিংবা জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা বিশেষ যুদ্ধাস্ত্র। ভূখণ্ডের নারীদের ওপর বীভৎস ভয়ঙ্কর ইতিহাসের জন্ম দিয়ে আসছে মহাকাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *