৬৫০ কুমারী মেয়ের রক্তে স্নান! যৌবন ধরে রাখতে আর কি কি করতেন এই রানী?
নিউজ ডেস্কঃ আমরা সকলেই জানি জন্মগ্রহণ করলে মৃত্যুবরণ করতেই হবে।এটাই হল প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু অমরত্ব কে না চায়?আমরা সকলেই চাই অমর হতে।এমনকি বিজ্ঞানীরাও এ নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে । যদিও তা এখনো সম্ভব হয় নি। তবে, শুনলে অবাক হবেন বেশ কিছু মানুষ কিন্তু অমরত্ব পাওয়ার চেষ্টা করেছেন অতীতে।
কিন সি উয়াঙ
সংযুক্ত চায়নার প্রথম বাদশা ছিলেন কিন সি উয়াঙ। অতীতে চায়না ছোট অংশে বিভক্ত ছিল এবং তিনি প্রথম এই ছয়টি অংশকে একত্র করে রাজত্ব শুরু করেন। কিন সি উয়াঙ এর কাছে বিপুল পরিমাণে ধন-সম্পদ এবং ক্ষমতা থাকলেও তিনি অমরত্বের আশায় ব্যাকুল ছিলেন। মৃত্যুর দুশ্চিন্তা তাকে গ্রাস করেছিল। আর সেই থেকেই শুরু হয় তার অমরত্ব লাভের খোঁজ। ।প্রাচীন চীনের কিছু পন্ডিত এর কাছ থেকে তিনি জানতে পেরেছিলেন এক দুর্লভ ফুলের কথা যা খেলে মৃত্যু কোনদিন তাকে স্পর্শ করতে পারবে না। এই খবর শুনে তিনি তার খুব কাছের এবং নবীর বেশ কয়েকজন সৈন্যকে ওই ফুলের সন্ধানে পাঠান কিন্তু আশ্চর্যজনক ব্যাপার হল ওই ফুলের সন্ধানে যাওয়া কোন ব্যক্তি আর ফিরে আসেনি কোন দিন। কিন্তু এতেও তার অমরত্ব লাভের আশা থেমে থাকেনি বরং বেশ কিছু জ্যোতিষীর কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন যে মার্কারি বা পারদ গ্রহণ করলে তিনি অমর হতে পারবেন। এর ফলে তিনি দিন-রাত পারদ পান করতে শুরু করেন। কিন্তু তিনি বুঝতে পারেননি যে এই পারথি তার পেটে বিষ হিসাবে জমা হচ্ছে। এর ফলে খুব স্বভাবতই মাত্র 49 বছর বয়সে তিনি মারা যান অমরত্ব লাভের আশায়।
এলিজাবেথ বাথোরি
পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে নির্মম কিছু ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন এলিজাবেথ বাথোরি। 1960 সালের 7ই আগস্ট হাঙ্গেরিতে তার জন্ম হয়। হাঙ্গেরির অভিজাত পরিবারের সন্তান এলিজাবেথ বাথোরির ছোটবেলা থেকেই বেশ কিছু অদ্ভুত অভ্যাস ছিল। তবে বৃদ্ধ বয়সে তার এই অদ্ভুত অভ্যাস ক্রমশ নির্মম অত্যাচারে পরিণত হয়।তিনি অমরত্ব লাভ করতে চেয়ে ছিলেন এবং সারা জীবন যৌবন ধরে রাখার জন্য তিনি কুমারী মেয়েদের রক্তে স্নান করতেন। এবং এই ভাবে অত্যাচার এর মাধ্যমে তিনি প্রায় 650 জনকে খুন করে ফেলেন। এই ঘটনা সকলের সামনে প্রকাশ পেলে হাঙ্গেরির রাজা তাকে গ্রেপ্তার করার আদেশ দেন এবং কারাগারের ছোট্ট কক্ষে চার বছর অতিবাহিত করার পর সেখানে তিনি মারা যান।
সেল্ফ মমিফাইঙ মঙ্ক
কিছু কিছু বৌদ্ধ ভিক্ষু বা মঙ্ক রা সারাজীবন বেঁচে থাকার জন্য অর্থাৎ অমরত্ব লাভের আশায় এক অদ্ভুত পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে। পৌঢ় বয়সে পৌঁছে তারা অনেক সময় খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে একটি কক্ষে ধ্যান করতে বসেন এবং তারা কখনোই ধ্যান ছেড়ে ওই ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন না ফলে ক্রমেই ওই ঘর তাদের কবর কক্ষে পরিণত হয়। মনে করা হয় তারা ধ্যানের মাধ্যমে এক গভীর ঘুমে চলে যান। এবং বৌদ্ধভিক্ষুদের মতে এই অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা সম্ভব নয় বরং মেডিটেশনের এই অবস্থাতেই তারা বেঁচে থাকে। এই মেডিটেশন কে তাদের ভাষায় তোকদম বলা হয়ে থাকে।