অফবিট

চীন, জাপানেও রয়েছে পানকৌড়ি। এই পাখী থেকে কি ধরনের পণ্য তৈরি করে জানেন?

নিউজ ডেস্কঃ ইংরেজিতে এরা কর্মোরেন্ট ও শ্যাগ নামে পরিচিত। গ্রামাঞ্চলে এটি পানিউড়ি, পানিকাবাডি, পানিকাউর, পানিকহুর, পানিকাউয়া, পানিকুক্কুট নামেও পরিচিত। জলের পাখি পানকৌড়ি ভারতে সবার কাছে অত্যন্ত পরিচিত। গায়ের কালো রঙের জন্য একে জলের কাক নামেও ডাকা হয়।

এই ডুবুরি সত্তাকে কাজে লাগিয়ে চীন ,জাপান ,কোরিয়া, ভিয়েতনাম, কলম্বিয়ায় এদের দিয়ে শিকার করা হয়। পানকৌড়ির বিষ্টা থেকে উৎপন্ন সার একটি বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে যথেষ্ট প্রয়োগ হয়।

চীন, জাপান ও ভিয়েতনামে এদেরকে ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কখনো অনেক পর্যটক পানকৌড়ি পাখি দিয়ে মাছ শিকার দেখার জন্য দেখার জন্য এসব দেশে নদীতে ভ্রমণ করে।

মজার বিষয় হলো পানকৌড়ি জলের তলদেশে দীর্ঘক্ষন থাকার পর যখন উঠে এসে ঝোপঝাড় জঙ্গলে গাছের ডালপালা, গাছা ,বাঁশের খুঁটি বা লাঠিতে বসে সূর্যের দিকে উঁচিয়ে শুয়ে থাকে তখন এদেরকে দেখতে দারুন লাগে এবং জলে ডুব দিয়ে মাছ খাওয়ার দৃশ্য অত্যন্ত চমৎকার। কিছুক্ষণ পরপর করে জলাশয় এর গভীরে দ্রুতগতিতে ডুব দেয় আর মাছ ধরে নিয়ে এসে ভুস করে ভেসে উঠে গিলে ফেলে।দুর থেকে পানকৌড়ির এমন ডুবসাঁতার দেখলে মনে হয় ভ্রম হচ্ছে।

ডুবসাঁতারে অন্যতম সেরা এই পাখিটি হচ্ছে পানকৌড়ি। সাহিত্য শিল্প ও সংস্কৃতি নিয়ে বেশ আলোচনায় পাওয়া যায় ।বাংলায় দুরন্ত শৈশবে কেউ জলে বেশিক্ষণ ডুবালে বলা হতো ছেলেটি বা মেয়েটি পানকৌড়ির মত সারাক্ষন ডুব দিয়ে বেড়ায়।

মাছ ধরতে জাল, বড়শি তাদের ব্যবহার করা হয়। তবে সেটা জেনে অত্যন্ত আশ্চর্য লাগে যে এমন একটি মাছ যেটি দিয়ে অন্য মাছকে ধরা হয় অর্থাৎ সে মাছটি যখন আমরা বড়শিতে লাগিয়ে দিই সেটা অন্য মাছের একটি ভোজনের কাজ করে এবং অন্য মাছ খুব সহজে জালে ধরা পড়ে অর্থাৎ মাছ দিয়ে মাছ ধরা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *