অফবিট

রাধা এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিয়ে না হওয়ার পেছনে কি কারন রয়েছে?

নিউজ ডেস্কঃ শ্রীকৃষ্ণের নাম নিতে গেলে সবার আগে যেই নামটি আসে সেটি হল রাধা।রাধাকৃষ্ণ আমরা একসাথে উচ্চারন করি।এই রাধা এবং কৃষ্ণের একে অপরকে ভালবাসতেন। তাহলে কেন তাদের মধ্যে বিবাহ হয়নি? এছাড়াও কেনই বা কৃষ্ণের আগে রাধার নাম উচ্চারিত হয়?  এই সব প্রশ্ন ভক্তদের মনের মধ্যে উঠে।তাই কেন রাধা এবং শ্রীকৃষ্ণের বিবাহ হয়নি এবং কেনই  বা কৃষ্ণের আগে রাধার নাম উচ্চারিত হয় তার কারনটি জেনে নিন পুরান থেকে। 

রাধার বাবার নাম বৃষভানু মায়ের নাম কমলাবতি। বৃন্দাবন থেকে 8 কিলোমিটার দূরে বর্সানা গ্রামে তাঁর জন্ম হয়। কোন কোন পৌরাণিক সূত্র অনুযায়ী রাধা বিবাহিত ছিলেন না। তার সঙ্গে কৈশোরে বহু রাসলীলা থাকলেও কৃষ্ণ তাকে বিয়ে করেননি বলা হয়। রাধাকে বৃন্দাবনে রেখেই কংসকে নিধন করতে মথুরা চলে যান কৃষ্ণ। তিনি আর ফেরেননি পরে একাধিক বিয়ে করেন সন্তানের পিতা হন। মহাভারতের যুদ্ধে তিনি ভূমিকা নেন কিন্তু বৃন্দাবনে আর ফিরে আসেননি। রাধা তার জন্য অপেক্ষা করে কাটিয়ে গেছেন বছরের পর বছর লোকমুখে শোনা যায়। মথুরা যাওয়ার আগে কৃষ্ণকে প্রশ্ন করেন শ্রীরাধিকা যে কেন কৃষ্ণ তাকে বিয়ে করে মথুরা নিয়ে যাচ্ছেন না? উত্তরে কিছু না বলে এগিয়ে যান শ্রীকৃষ্ণ। তাতে রেগে আরো অধৈর্য হয়ে পড়েন রাধিকা। এরপরে বাসুদেব উত্তর দেন বিয়ে করার জন্য দুটো আলাদা আলাদা আত্মা বা সত্তার  দরকার হয় কিন্তু কৃষ্ণ রাধিকা কে বিয়ে করবেন কি করে তাহলে তো কৃষ্ণকে নিজের সঙ্গে নিজেকেই বিয়ে করতে হয় অর্থাৎ রাধাকৃষ্ণ আসলে একটাই সত্তা তারা এক আত্মা। 

অন্য একটি পৌরাণিক সূত্র থেকে জানা যায় রাধিকা ছিলেন আয়ান ঘোষের স্ত্রী এবং সম্পর্কে কৃষ্ণের মামী। একজন বিবাহিত নারী দ্বিতীয়বার বিয়ে হতে পারে না। আসলেই কৃষ্ণ হচ্ছেন ভগবান এবং রাধা তার পরম ভক্ত। নিখাদ এই ভক্তির সমার্থক শব্দ হলো প্রেম। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার পরম ভক্ত রাধিকাকে আশীর্বাদ করেন বলেন রাধার নাম সব সময় তার নামের আগে উচ্চারিত হবে। তাদের যুগলের মন্দির যেখানেই থাকবে বলা হবে রাধা কৃষ্ণের মন্দির কৃষ্ণ রাধার মন্দির নয়। তাই দেবী না হয়েও রাধিকা আমাদের মনে বাসা বেঁধে আছেন এবং তিনি আজও দেবী রূপে পূজিত হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *