অফবিট

ভারতবর্ষের আকর্ষণীয় ভৌতিক কেল্লা কোন রাজ্যে রয়েছে জানেন?

নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের আলবর জেলায় অবস্থিত ভানগড় কেল্লা যাকে এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে ভীতিকর স্থানগুলোর মধ্যে একটি মানা হয়ে থাকে।পাহারের কোলে অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা কেল্লা এক অভিশপ্ত কেল্লায় পরিণত হয়ে রয়েছে।যেটি দেখতে পৃথিবীর দূরদুরান্ত থেকে পর্যটকরা ভীর করে।কিন্তু সন্ধ্যে নামতেই বের করে দেওয়া হয় পর্যটকদের।এমনকি সরকারের নির্দেশ সন্ধ্যা ৬ তার পর ওই স্থানে প্রবেশ নিশেধ।তাই সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টার মধ্যেই কেল্লার ভেতর থেকে নিরাপত্তাকর্মীরা বের করে দেয় সমস্ত পর্যটকদের। এত অপূর্ব আকর্ষণীয় কেল্লা কেন অভিশপ্ত কেল্লায় পরিনত হয়েছিল? এর পিছনে কি কারন লুকিয়ে আছে?    

কথিত আছে যে রত্মাবলী নামে এক রাজকুমারী ছিলেন ভানগড়ে।তিনি ছিলেন অপূর্ব সুন্দরী এবং বুদ্ধিমতি।তাঁর রূপে মোহিত হয়ে যান।এই তান্ত্রিক তন্ত্র সাধনায় অত্যন্ত দক্ষ ছিল।তিনি কালো জাদু করে মানুষকে বশ করতে পারত।  কালোজাদুতে সিদ্ধহস্ত তান্ত্রিক রত্মাবলীকে বিবাহ করতে চান।তবে  রাজকুমারীকে বিয়ে করা সম্ভব নয়! তাই তাকে নিজের বশে আনতে তিনি নানান চেষ্টা করতে থাকেন। একদিন যখন রাজকুমারী রত্মাবলীর জন্য বিশেষ ধরনের সুগন্ধি তেল আনতে যাচ্ছিল তার দাসী। তখন সিন্ধিয়া তার মন্ত্রপড়া তেল  ওই দাসীর হাত দিয়ে রাজকুমারীর কাছে পাঠান। যাতে তার রহস্যময়  তেলের গন্ধে মোহিত হয়ে রাজকুমারী তার কাছে চলে আসে। কিন্তু যখন ওই দাসী  তেলের শিশি নিয়ে প্রাসাদে ফিরছিল তখন হঠাৎ করে তার হাত থেকে ওই তেলের শিশিটি  একটি বিশাল পাথরের ওপর পড়ে গিয়ে ভেঙে যায়। ওই শিশির  তেল একটি পাথরের উপর গড়িয়ে পড়ে । এরপর সেই যাদুই তেলের আবেশে পাথর  তান্ত্রিকের দিকে আকর্ষিত হয়।

এক সময় ওই পাথরটি তান্ত্রিকের ওপর চেপে বসার কারনে   মৃত্যু হয় ওই তান্ত্রিকের।  আবার অনেকে বলেন যে, ওই সুগন্ধি তেল সংগ্রহ করতে তার সখীদের সঙ্গে রাজকুমারী  নিজেই গিয়েছিলেন। তবে রাজকুমারী বুঝে ফেলে ওই তান্ত্রিকের উদ্দেশ্য।যার কারনে   রাজকুমারী ওই যাদুই তেলের শিশিটি একটি বড়ো পাথরের উপর আছার দিয়ে ভেঙে ফেলেন।এরপর ওই পাথরের কারনেই মৃত্যু ঘটে তান্ত্রিকের।

 কথিত আছে যে , তান্ত্রিকের মৃত্যুর পরের দিনের সূর্য ওই নগরের কেউ আর দেখেনি। এক রাতেই শেষ হয়ে যায় রাজকুমারী রত্মাবলীসহ নগরের সবাই। এরপর থেকেই ওই নগরী অভিশপ্ত স্থানে পরিণত হয় এবং ওই কেল্লাতে ঘুরে বেড়ায় সেই তান্ত্রিক এবং রত্মাবলীর অতৃপ্ত আত্মা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *