অফবিট

যেমন খুশি তেমন সেজে পৃথিবীর কোন দেশে ঘুরে বেড়ানো যায় জানেন?

নিউজ ডেস্কঃ চারিদিকে করোনা নিয়ে আতঙ্ক। বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। অনেকেই ঘরে বসেই আতঙ্কে দিন গুনছেন। ভাবছেন করোনা আতঙ্ক কমলেই বেড়িয়ে আসবেন। তাদের গন্তব্যের অন্যতম স্থান হতে পারে লাস ভেগাস।

কেমন হয় যদি এমন কোন শহরে আপনাকে পাঠানো হয়,যেখানে আপনি যা ইচ্ছা তাই করতে পারবেন। যেখানে যেমন খুশি সেজে  ঘুরে বেড়াতে পারবেন,যা ইচ্ছা তাই খেতে পারবেন? ভাবছেন, এমন ও কোন শহর পৃথিবীতে আছে নাকি? হ্যাঁ, যা খুশি তা করতে পারার এই শহরের নাম হল লাস ভেগাস। যা কিনা সিন সিটি বা পাপের শহর নামে ও পরিচিত।

কথায় আছে “হোয়াট হাপেন্স ইন ভেগাস স্টেস ইন ভেগাস।” এই লাইনটি ভেগাস এর আধুনিক পর্যটন ব্যবসায় অন্যতম এক গুরুত্বপূর্ণ ট্যাগ লাইন। এমনকি হলিউডের বিভিন্ন সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজ এই লাইনটি প্রায় ই শোনা যায়। শুধুমাত্র এই একটি লাইনের কারণে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ এখানে  ছুটে আসে। পর্যটকদের এই শহরের প্রতি ভালবাসার মূল কারণ হলো এই শহরের বাতাসে যেন মিশে আছে স্বাধীনতা। এখানে পর্যটকরা যা ইচ্ছা করতে পারে এমনকি নিজের দেশে করতে পারে না  এমন অনেক জিনিস ও এই শহরে খুব সহজেই করা সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রের 28 তম জনঘনত্ব পূর্ণ শহর এই লাস ভেগাস আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাত এই শহরের জুয়ার আসর,বহুমুখী বিনোদন, পতিতালয় ,অমান মদ্যপান প্রভৃতি কারণে। নেভাডা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত এই শহরটিই কিন্তু রাজ্যটির মূল অর্থনৈতিক স্তম্ভ। বিশ্বের বিনোদনের রাজধানী হিসেবে পরিচিত এই ভেগাসে চারদিকে দেখা যায় বড় বড় ক্যাসিনো ও হোটেল। এবং বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় বাণিজ্যিক সম্মেলন গুলোও কিন্তু প্রায়ই এখানে হয়ে থাকে।সংখ্যায় বলতে গেলে প্রতি বছর প্রায় এরকম 22000 সম্মেলন হয়ে থাকে এখানে। এই শহরের মানুষেরা এতটাই জুয়া আসক্ত যে অতীতে একবার এক হাসপাতালের বেশ কিছু কর্মীকে কাজ থেকে ছাঁটাই করতে হয়েছিল কারণ তারা রোগীদের জীবনের ওপর বাজি ধরেছিল জুয়া খেলার সময়। কোন রোগে কোন সময় মারা যাবে, এটাই ছিল তাদের বাজি।এমনকি এই জুয়া জেতার জন্য তারা হত্যা করে এক রোগীকে।

বিশ্বের এই বিনোদন নগরীতে পৃথিবীর সবথেকে বেশি সংখ্যক হোটেল দেখা যায় এবং এই প্রত্যেকটি হোটেল এতই বড় যে প্রত্যেকটি হোটেল তৈরিতে কত কোটি টাকা খরচ হয়েছে তার আন্দাজ ও  করা যায় না।এই সমস্ত হোটেলগুলি বিভিন্ন বিনোদনের জন্য উন্মুক্ত। প্রাপ্তবয়স্কদের বিনোদনের জন্য  বিপুল ব্যবস্থা রয়েছে সমস্ত হোটেলে।জুয়াখেলা এক আমাদের দেশে অবৈধ হলেও লেগেছে কিন্তু আপনি খুব সহজেই সবার সামনে খেলতে পারেন জুয়া।

লাস ভেগাসের  আসল সৌন্দর্য কিন্তু ফুটে ওঠে রাতে  এই শহরের জনসংখ্যা খুব বেশি না হলেও অসংখ্য হোটেল থাকার ফলে এবং এখানকার জীবনযাপন খুবই বিখ্যাত হওয়ার ফলে এখানে সারারাত ধরে জ‌্ব‌লে থাকে প্রচুর আলো আর তার ফলে মহাকাশ থেকেও পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে উজ্জ্বল দেখায় এই স্থানটিকে।

তবে জানেন কি মাত্র এক শতাব্দি আগেও লাগবে গেসিলো মরুভূমি ঢাকা এক অঞ্চল কিন্তু বিংশ শতাব্দীর শেষে এই লাস ভেগাস তৈরি হল সবচেয়ে  দ্রুত উন্নয়নশীল একটি অঞ্চলে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কাঁচের তৈরি পিরামিডটি এই অঞ্চলে অবস্থিত। তবে, লাস ভেগাসের সবটাই কিন্তু বাইরে থেকে যতটা চকচকে দেখায় ততটা নয়। এখানেও কিন্তু রয়েছে দারিদ্র্য কিন্তু সেই দারিদ্রকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে খুব সন্তর্পনে যাতে তা বাইরের কোন পর্যটক এর চোখে না পড়ে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *