পদক্ষেপ না নিলে… বিরাট বিপদের মুখে বন্য প্রাণীরা
নিউজ ডেস্কঃ মানুষ দিনে দিনে নিজেকে এত শক্তিশালী মনে করছেন যে প্রবল শক্তিশালী প্রাণীরাও এবার বিলুপ্ত হতে বাধ্য হচ্ছে। প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকার যে কৌশল করে জন্ম নিচ্ছে প্রাণীরা। আজ সে কৌশল নিয়ে প্রাণীরা বেঁচে থাকতে পারছে না মানবজাতির জন্য। তারাও আজকাল বিপদের সম্মুখীন হয়ে গেছে। আর সেটা দ্রুত বিকাশের অন্যতম কারণ মানবসভ্যতা বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। যদি পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে বন্যপ্রাণীরা একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে এবং তার সাথে পৃথিবী তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবে।
জঙ্গল কেটে মানুষের প্রয়োজনীয় কাজে লাগানো, বন্যপ্রাণীদের খাদ্য সংকটের কারণে পরিস্থিতি ভয়ানক শুরু হয়েছে।ডাবলু ডাবলু এফ এর প্রতীক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে বন্য প্রাণীর সংখ্যা এত দ্রুত গতিতে কমে যাওয়ার সংখ্যা আগে কখনো দেখা যায়নি। যাকে আমরা নিজেদের ঘর বলে মনে করি সেখানে মানুষ নিজেদের স্বার্থ পূরণের জন্য অন্যদের বিপদে ফেলছে। এ পৃথিবী আমাদেরকে বিপদ সংকেত পাঠাতে বাধ্য হয়েছে।বিশ্ব বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত 50 বছরে দুই তৃতীয়াংশ কমে গিয়েছে। বন্য প্রাণীর সংখ্যা ধীরে ধীরে একেবারে বিলুপ্তির পথে চলে যেতে হয়েছে। আর বিশেষজ্ঞরা তাদের সব কিছুর জন্য দায়ী করেছেন মানবসভ্যতাকে। এই বিধ্বংসী মনোভাবকে ধিক্কার যা সর্বদাই প্রকৃতিকে ধ্বংস করে নিজের সবকিছু সাজাতে ব্যস্ত যা নিকি সম্পূর্ণ রুপে ক্ষণস্থায়ী।
পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণীরা বিশেষ কারণে এখন বন্যপ্রানীকে ধ্বংস প্রকৃতিকে ধ্বংস করছে। মানুষের এই কার্যে এইসকল ভয়ানক পরিস্থিতিতে বিপদের মুখে প্রতিটি প্রান্তে বিপদের ঝুঁকি ক্রমবর্ধমান বিপন্ন।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে পাখী, উভচর, স্থলচর, জলচর প্রাণীর 80% বিলুপ্ত হয়ে গেছে ।এভাবে ঊর্ধ্বগতিতে বিলুপ্তির পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। 1970 থেকে 2016 সাল পর্যন্ত সময়ে মধ্যে এই গবেষণা করা হয়।
জুলজিকাল সোসাইটি অফ লন্ডনের ডিরেক্টর এন্ড টেরির মতে যদি এখনই পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে সমস্ত বন্যপ্রাণী ধ্বংস হয়ে যাবে। তার ফলে পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে। বন্য প্রাণীদের খাদ্য সংকট দাবানলের মত। সেই কারণেই আজ এই পরিস্থিতি ।জঙ্গলের সাফ করে মানুষের প্রয়োজনীয় কাজে লাগানোর ফলে বন্যপ্রাণীরা আজ এসব সংকটে ভুগছে।