অফবিট

বিশ্বের সবথেকে বড় বই এই দেশে রয়েছে। মায়ানমারের অবাক করা কিছু তথ্য

নিউজ ডেস্ক- পৃথিবীর সবথেকে বড় বই কোন দেশে রয়েছে জানেন? এশিয়ার দক্ষিণ পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত মায়ানমার, যার 20-25 বছর পূর্বে যার নাম ছিল বার্মা। মায়ানমারের সরকারি নাম প্রজাতান্ত্রিক ঐক্যতন্ত্রী মায়ানমার। মায়ানমারের রাজধানী হল নেপিডো ও বৃহত্তম নগরী ইয়াঙ্গুন। মায়ানমারের প্রায় 80% মানুষ বর্মী ভাষায় কথা বলে। মায়ানমার একটি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ 166 টি দেশের মধ্যে 133 তম স্থান পেয়েছে।

মায়ানমার দেশ সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য হলো-

1. মায়ানমার একসময় ধনী দেশ ছিল কিন্তু পরবর্তীতে এটি বিশ্বের সবচেয়ে গরিব দেশ গুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে ওঠে। এ দেশে প্রায় 87 শতাংশ মানুষ বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী আর বাকিরা অন্যান্য ধর্মের  বিশ্বাসী ।

2. মায়ানমারের দুই ধরনের মুসলিম দেখা যায় এক সেখানকার স্থানীয় মুসলিম যারা ইয়াংগণে বসবাস করে এবং দ্বিতীয় হল রোহিঙ্গা প্রজাতির মুসলিম।

3. 2010 সালের মায়ানমারের জাতীয় সংগীত ও পতাকার পরিবর্তন করে নতুন জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকার প্রবর্তন করা হয়।

4. মায়ানমার দেশে পাহাড়, পর্বত, সমভূমি, ঝরনা, ঝিল, নদী থাকলেও একটি মালভূমি  ও দেখা যায়।

5. মায়ানমারে কিছু জনজাতির মধ্যে লম্বা গলা মহিলাদের সৌন্দর্য বলে মনে করে।  কায়ান লাহাবি উপজাতির লোকেরা মনে করে লম্বা গলার মেয়েরা সব থেকে সুন্দর দেখতে হয় তার জন্য পাঁচ বছর বয়স থেকেই মেয়েদের গলায় পিতলের চুরি পড়ানো হয়।

6. বিশ্বের সবথেকে বড় বই মায়ানমারে রয়েছে। এই বইটির প্রত্যেকটা পৃষ্ঠা স্টোনের। এই পবিত্র বৌদ্ধ গ্রন্থে চৌদ্দশ সাতটি পাতা রয়েছে।

7. ব্রিটিশ শাসনকালে এই দেশটির নাম ছিল বার্মা পরবর্তীতে মায়ানমার নাম দেয়া হয়। এমনকি এই দেশের রাজধানী প্রথমে ছিল রঙ্গুন  পরবর্তীতে নেপিডো কে রাজধানী করা হয়। মায়ানমারের লোক এরা মনে করে নাম পরিবর্তন করলে ভবিষ্যতের ও পরিবর্তন হয়।

8. মায়ানমারের লোকদের মাঝে লুঙ্গি পরা খুবই সাধারন ব্যাপার। তার বেশিরভাগ লোক সবসময় লুঙ্গি পড়ে থাকতে দেখা যায়। রাস্তাঘাট এমনকি অফিসেও তারা লুঙ্গি পড়ে থাকে।

9. মায়ানমারের মানুষেরা গরুর মূত্র পান করে থাকে তারা মনে করে গরুর মূত্র খেলে শারীরিক যত ব্যাধি আছে সব নির্মূল হয়ে যাবে।

10. মায়ানমারে গর্ভবতী মহিলাদের কলা এবং মরিচ খাওয়া নিষিদ্ধ তারা মনে করে কলা খেলে বাচ্চা মোটা এবং মরিচ খেলে বাচ্চার  পশম ও চুল হবে না।

11. মায়ানমারে থানাকা নামক এক গাছের নির্যাস থেকে এক ধরনের গোলাপি পেস্ট তৈরি করে এবং এই গোলাপি রঙের পেস্টটি তারা নিজেদের মুখে লাগিয়ে রাখে। এটি তাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য এবং এই উপটান টি  সূর্যের হাত থেকে তাদের মুখমন্ডলি রক্ষা করে  এর উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *