ভারতবর্ষের কোন মেট্রোপলিটন শহরে ভূতুড়ে তাণ্ডব দেখা যায়?
নিউজ ডেস্কঃ ভূত বা অলৌকিক কান্ড কারখানা আমাদের বরাবরই আকৃষ্ট করে। হলিউড হোক বা বলিউড কিংবা টলিউড ভূতের গল্প নিয়ে সিনেমা নেহাত কম তৈরি হয়নি। তবে ভূতের আস্তানার কথা বললেই প্রথমেই মনে পড়ে শহরের ভিড়ভাট্টা পেরিয়ে ,কোন পরিত্যক্ত জনবসতি শূন্য জায়গার কথা। শহরের আলোর রোশনাই এর মধ্যে থাকলে ভূতের ভয় টাও যেন কমই লাগে। তাই যদি বলেই মেট্রোপলিটন শহর মিরাটেই মিলতে পারে অশরীরীর সাক্ষাৎ, তাহলে মনে অবিশ্বাস জাগবেই। কিন্তু একথা সত্যি।
মিরাটের জিপি ব্লক এমনই একটি ভৌতিক জায়গা। মিরাট এর এই জায়গাটি কে কেন্দ্র করে লোকমুখে শোনা যায় নানা ভৌতিক কাহিনী। এই দ্বিতল বাড়িতে নাকি প্রায়ই অশরীরী আত্মার অস্তিত্ব অনুভব করা যায়। স্থানীয়দের মতে এই বাড়িতে নাকি প্রায়ই দেখা যায় চার পাঁচজনকে একসাথে মদ্যপান করতে। এছাড়াও এক রহস্যময়ী নারীর দেখাও মাঝেমাঝে পাওয়া যায় এখানে। শোনা যায় লাল শাড়ি পরিহিতা এই মহিলাকে প্রায়ই এই বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় অনেক সময় তার সাথে দেখা যায় এক পুরুষ কেও। তবে কে এই রহস্যময়ী নারী বা ওই 4-5 জন লোক বা কে সে সম্পর্কে কোনো সঠিক খোঁজ পাওয়া যায়নি। অনেকেই এই বাড়ির ভৌতিক ইতিহাস স্বীকার করতে চায় না। তবে এই গল্প কথার সত্যতা পরীক্ষা করতে গিয়ে এক স্কুলছাত্র সেখানে রাত্রি বাস করতে গেলে পরদিন তাকে অজ্ঞান অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায়।
এই বাড়িটার বয়স ও নেহাত কম নয়। বহু প্রাচীন এই বাড়িটি ১৯৩০ সাল থেকেই পুরোপুরি পরিত্যক্ত। বিশেষজ্ঞদের মতে এই বাড়িটি হয়তো আগে একটি আর্মি ক্যাম্প ছিল। কিন্তু তারপর কিভাবে এটি ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হলো তার সম্পর্কে কেউই পরিষ্কারভাবে কিছু জানাতে পারে না। আর রহস্যময়ী সেই নারীই বা কে যাকে উদাসীনভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় এই বাড়িতে তা নিয়েও ওঠে নানা প্রশ্ন। কৌতুহলী নাও দীর্ঘদিন ধরে আর্মি ক্যাম্পের সাথে ওই নারীর কি সম্পর্ক তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। যদিও তার কোনো উত্তর মেলেনি তবে, ভৌতিক গল্পের আড়ালে যেই বাড়িকে ঘিরে কোন ট্র্যাজিক কাহিনী জড়িয়ে আছে বলেই স্থানীয়দের বিশ্বাস।