কয়েকশো বছর আগে কোন পথ দিয়ে রেশম পারাপার হত? যাবেন নাকি বেড়াতে?
এ এন নিউজ ডেস্কঃ শীতের শেষ হয়ে, বসন্তের শুরুর দিকে সকলের ইচ্ছা হয় ঘুরতে যাওয়ার। একটু ইচ্ছা করে কোথাও ঘুরতে যেতে বা বেড়াতে যেতে। বাইরে হালকা উত্তরে হওয়া বয় তাই দিক-বিদিক শূন্য হয়ে চলে যাওয়াই যেতে পারেন উত্তরবঙ্গের দিকে এইসময়।
তবে ঠিক উত্তরবঙ্গ নয়, সিল্ক রুট অর্থাৎ কয়েকশো বছর আগে যে পথ দিয়ে রেশম পারাপার করা হতো। এই রুটে র প্রথম গ্রাম টির নাম হলো রামেদুয়ার। জনমানবশূন্য একটি এলাকা দুপাশে সারি সারি পাইন গাছের জঙ্গল আর তার ঠিক মাঝ বরাবর একটা ঝকঝকে পাহাড়ি রাস্তা যে রাস্তা সোজা চলে গেছে ইচ্ছে গাঁও এবং সিলেরি গাঁও এর দিকে।এই জায়গার সৌন্দর্য প্রকাশের সাধারণত কোন ভাষা হয় না। এই সব অঞ্চলের বসতির জন্য কোনো হোটেলের ব্যবস্থা নেই স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের থাকার জায়গা টা কেই একটু বড় করে হোম স্টে হিসেবে ভাড়া দিয়ে দেয়। এই সিলেরি গাঁও এবং ইচ্ছে গাঁও এর উপরে যে গ্রাম টি তার নাম হলো জুলুক এবং কুপুপ। এইখান থেকেই সিল্ক রুটের মোট ৩২ টা টার্নিং পয়েন্ট পরিস্কার ভাবে দেখা যায়। এই গ্রামের ঠিক একটা পাহাড় উপরেই নাকি অবস্থিত চীন। সুতরাং সেলিং এবং পাল্টা সেলিং এর শব্দ প্রায়ই এই অঞ্চলে শোনা যায় গ্রামের মানুষ ও এতে বেশ অভ্যস্ত। এই গ্রামের পথে যেতেই পরে ‘ইয়াং হাসব্যান্ড রোড’ খুবই অদ্ভুত ধরণের নাম লোকমুখে প্রচলিত যে এই পথ দিয়েই নাকি হিউ এন সাং এদেশে এসেছিলেন।
কুপুপ লেকের ধার ঘেঁষে প্রায় ১৭ হাজার ফিট উপরে এরকম ধা চকচকে রাস্তা সাধারণত দেখা যায় না। এই পথ ই নাকি গিয়ে মিশেছে আবার লাসায়।