শ্রীকৃষ্ণের মৃত্যু কেন হয়েছিল? মৃত্যু হলেও তাঁর কোন অঙ্গ পোড়েনি জানা আছে?
নিউজ ডেস্কঃ শ্রীকৃষ্ণ হলেন ভগবান বিষ্ণুর অবতার। সেইজন্যই শ্রীকৃষ্ণকে আমরা ভগবান রুপেই পুজা অর্চনা করে থাকি।তাই ভগবানেই কোন মৃত্যু নেই বলেই জানি। তারা বিলিন হয়ে যায় এবং যখন যখন ধর্মের বিলুপ্তি ঘটে তখন তখন ভগভান নানা অবতারে এসে ধর্মকে রক্ষা করে। তাই অনেকে মনে করে যে শ্রীকৃষ্ণের মৃত্যু হয়নি আবার অনেকে মনে করেন যে শ্রীকৃষ্ণের মৃত্যু হয়েছিল ও তার অন্তিম সংস্কার করা হয়েছিল এবং ওই অন্তিম সংস্কারের তার নাকি একটি অঙ্গ পড়েনি। সত্যিই কি শ্রীকৃষ্ণের অন্তিম সংস্কার হয়েছিল এবং তাতে কোন অঙ্গ পড়েনি? তাহলে জেনে নিন যে শ্রীকৃষ্ণের কিভাবে মৃত্যু ঘটেছিল এবং তার কোন অঙ্গ পড়েনি?
শ্রীকৃষ্ণ মহাভারতের যুদ্ধে পাণ্ডবদের পক্ষে থেকে তাদের পরামর্শ দিয়েছেন।যার ফলে পাণ্ডবরা জয়লাভ করেছিল এবং কৌরববংশের ধ্বংস হয়েছিল। যার ফলে গান্ধারী মনে করতে যে তার এই ১০০ পুত্রের মৃত্যুর জন্যে কৃষ্ণ দায়ী তাই গান্ধারী কৃষ্ণকে অভিশাপ দেয় যে সে তার বংশের ধ্বংসের কারন হয়ে দাঁড়াবে। এরপর একদিন দ্বারকা নগরীর রাজা শ্রীকৃষ্ণের সাথে দেখা করতে কয়েকজন ঋষি আসেন। তখন কৃষ্ণপুত্র সাম্ব ও তার কয়েকজন বন্ধু ওই ঋষিদের সাথে মজা করার জন্যে সাম্ব একটি গর্ভবতী নারীর রূপ ধারন করে। তারপর ওই ঋষিদের সামনে যান তারা আর ঋষিরা এই মজা বুঝতে পেরে সাম্বকে অভিশাপ দেয় যে সাম্ব এমন এক মুশলের জন্ম দেবে জাতে করে তাদের বংশ ধ্বংস হবে। তারপর সাম্বের বানানো কৃত্রিম পেটের থেকেই একটি মুশলের উৎপত্তি হল। এবং পরে ওর থেকে অনেক মুশলের তৈরি হয়। তারপর যদুবংশীদের মধ্যে একটি ছোট কারন নিয়ে বিবাদ শুরু হয় যার ফলে সব ধ্বংস হয়ে যায়।অন্যদিকে বলরাম নদীর তীরের গিয়ে প্রান ত্যাগ করেন।এরপর শ্রীকৃষ্ণ একটি গভীর জঙ্গলে একটি গাছের নিচে গিয়ে বসে। তার রক্তবর্ণ চরন দেখে এক ব্যাধ হরিন মনে করে তির নিক্ষেপ করে যার এর থেকেই শ্রীকৃষ্ণের জীবনের সমাপ্তি ঘটে। অনেকে মনে করে যে শ্রীকৃষ্ণের পবিত্র শরীর বৈকুণ্ঠে ফিরে যায় আবার অনেকে মনে করে যে শ্রীকৃষ্ণের অন্তিম কাজ করে পাণ্ডবরা।এবং তখন তার অন্তিম কাজ শেষ হওয়ার পরেও তার দেহ পুড়ে গেলেও তার হৃদপিণ্ডটি পুড়ে না। তাই এইসব তথ্য নিয়ে মত বিবাদ রয়েছে।