অফবিট

সীতাকে স্পর্শ করেনি রাবণ! মা সীতাকে অপহরন কেন করেছিলেন রাবন?

নিউজ ডেস্ক – লোকো ভাষ্যমতে বহু যুগ আগে মহাভারতে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ থেকেই সূত্রপাত ঘটেছিল নারী সমাজকে অসম্মান করার। নিজেদের সততা বজায় রাখতে এক নারী দ্রৌপদীকে পাশা খেলায় বন্দক  হিসাবে রেখেছিলেন পঞ্চপান্ডব। কার্যত সেই থেকেই শুরু হয় নারী সমাজের প্রতি লাঞ্ছনা ও বঞ্চনার একটি অধ্যায়। যেটি  পরবর্তীতে সমস্ত সীমা লংঘন করে সত্যযুগে রামায়ণের সময় লঙ্কাপতি রাবণ। সেই সময় সীতার মোহিত রূপে মজে গিয়ে তাকে অপহরণ করে রাক্ষসরাজ। কিন্তু অপহরণ করার পরেও সীতাকে স্পর্শ করার সাহস পায়নি রাবণ। লোকমুখে শোনা যায় সীতাকে লক্ষ্মী রূপে দেখার কারণে নিজের ঘরের আরাধ্যা করতেই সীতাকে অপহরণ করেছিল।

ঐতিহাসিকবীদ নথিপত্র ঘেঁটে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করেই ব্যক্ত করেছেন এই ঘটনার পেছনে লুকিয়ে থাকা রহস্য। পৌরাণিক মতে  সেই সময়কার যুগে মর্তলোকে যুদ্ধ জয় করে কৈলাসে ফিরেছিলেন রাবণ। সেই দীর্ঘ যুদ্ধ প্রহরের পর ক্লান্ত হয়ে কৈলাসেই রাত্রি যাপন করছিলেন কিন্তু দ্বিপ্রহরে হঠাৎই নিদ্রাভঙ্গ হয়ে যাওয়ায় চোখ খুলেই আকাশের চাঁদের মতো উজ্জ্বল করতে থাকা রম্ভার দিকে  কুদৃষ্টি পড়ে লঙ্কা পতির। এরপরই অপ্সরা রম্ভার নিকটে গিয়ে তার হাত ধরতেই লজ্জায় কুঁকড়ে যায় রম্ভা। এরপরই তাকে শয্যাসঙ্গিনী করার প্রস্তাব দিতে তার  ঘোর বিরোধিতা করে রম্ভা জানায় সম্পর্কে তার শ্বশুর হয় রাবণ। এই বিষয়ে অজ্ঞাত রাবণ বিস্মিত হলে নিজের সতীত্ব বাঁচাতে শেষ সম্বল টুকু প্রয়োগ করে রম্ভা। তখন রম্ভা জানায় তার বৈমাত্রেয় ভাই কুবেরের পুত্র নলকুবেরের ধর্মপত্নী। শাস্ত্রমতে ভ্রাতুষ্পুত্রের স্ত্রী নিজের কন্যার সমতুল্য। তাই যাতে শয্যাসঙ্গিনী করার ইচ্ছে রাবণ ত্যাগ করে বহু আকুতি মিনতি করে রম্ভা। কিন্তু রম্ভার কোন কথায় কর্ণপাত না করে রাবণ জানায় আমি এখন কামাসক্ত। আমাকে শাস্ত্রবাণী শুনিয়ে লাভ নেই। তাছাড়া দেবরাজ ইন্দ্র গুরুপত্নী গমন করেছিলেন। চন্দ্রদেবের চরিত্রও একই দোষে দুষ্ট। এই বলে তিনি রম্ভাকে জোরপূর্বক নিজের কক্ষে নিয়ে যান। এরপরেই দীর্ঘ এক সপ্তাহ যাবত নিজের কাম বাসনা পূর্ণ করে রাবণ। এরপরের নিজের কামনা পূর্ণ হয়ে গেলেই ছেড়ে দেয় রম্ভাকে। 

পরবর্তীতে সদ্য পর পুরুষের হাতে সতিত্ব খোয়ানো আলুথালু বেশে রম্ভা  নিজের স্বামী নলকুবেরের পায়ে পড়ে সম্পূর্ণ ঘটনাটি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে সব বিস্তারিত জানায়। সম্পূর্ণ ঘটনা শোনার পর নিজের স্ত্রীর মর্যাদা এবং পর পুরুষের ছোঁয়া লাগায় ক্রুদ্ধ হয়ে রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে নলকুবর কমন্ডুলু থেকে পবিত্র জল নিয়ে অভিশাপ দিয়ে বলেছিলেন  পরবর্তীতে কোন সতী নারীকে জোরপূর্বক  শোষণ করা বা তার সতীত্ব নষ্ট করতে গেলেই সেখানে তৎক্ষণাৎ মৃত্যু হবে রাবণের। কার্যত এই অভিশাপ বাণী দেওয়ার পর থেকেই মনের কামনা কোনদিনই কোন সতী নারীর উপর মেটাতে পারেননি রাবণ যার কারণে সীতাকে অপহরণ করে নিজের কাছে দীর্ঘদিন পঞ্চবটী বনে রাখলেও পবিত্র নারী সীতাকে কোন দিনে স্পর্শ করার সাহস হয়নি লঙ্কাপতি রাজের।

নিউজ ডেস্ক – লোকো ভাষ্যমতে বহু যুগ আগে মহাভারতে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ থেকেই সূত্রপাত ঘটেছিল নারী সমাজকে অসম্মান করার। নিজেদের সততা বজায় রাখতে এক নারী দ্রৌপদীকে পাশা খেলায় বন্দক  হিসাবে রেখেছিলেন পঞ্চপান্ডব। কার্যত সেই থেকেই শুরু হয় নারী সমাজের প্রতি লাঞ্ছনা ও বঞ্চনার একটি অধ্যায়। যেটি  পরবর্তীতে সমস্ত সীমা লংঘন করে সত্যযুগে রামায়ণের সময় লঙ্কাপতি রাবণ। সেই সময় সীতার মোহিত রূপে মজে গিয়ে তাকে অপহরণ করে রাক্ষসরাজ। কিন্তু অপহরণ করার পরেও সীতাকে স্পর্শ করার সাহস পায়নি রাবণ। লোকমুখে শোনা যায় সীতাকে লক্ষ্মী রূপে দেখার কারণে নিজের ঘরের আরাধ্যা করতেই সীতাকে অপহরণ করেছিল।

ঐতিহাসিকবীদ নথিপত্র ঘেঁটে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করেই ব্যক্ত করেছেন এই ঘটনার পেছনে লুকিয়ে থাকা রহস্য। পৌরাণিক মতে  সেই সময়কার যুগে মর্তলোকে যুদ্ধ জয় করে কৈলাসে ফিরেছিলেন রাবণ। সেই দীর্ঘ যুদ্ধ প্রহরের পর ক্লান্ত হয়ে কৈলাসেই রাত্রি যাপন করছিলেন কিন্তু দ্বিপ্রহরে হঠাৎই নিদ্রাভঙ্গ হয়ে যাওয়ায় চোখ খুলেই আকাশের চাঁদের মতো উজ্জ্বল করতে থাকা রম্ভার দিকে  কুদৃষ্টি পড়ে লঙ্কা পতির। এরপরই অপ্সরা রম্ভার নিকটে গিয়ে তার হাত ধরতেই লজ্জায় কুঁকড়ে যায় রম্ভা। এরপরই তাকে শয্যাসঙ্গিনী করার প্রস্তাব দিতে তার  ঘোর বিরোধিতা করে রম্ভা জানায় সম্পর্কে তার শ্বশুর হয় রাবণ। এই বিষয়ে অজ্ঞাত রাবণ বিস্মিত হলে নিজের সতীত্ব বাঁচাতে শেষ সম্বল টুকু প্রয়োগ করে রম্ভা। তখন রম্ভা জানায় তার বৈমাত্রেয় ভাই কুবেরের পুত্র নলকুবেরের ধর্মপত্নী। শাস্ত্রমতে ভ্রাতুষ্পুত্রের স্ত্রী নিজের কন্যার সমতুল্য। তাই যাতে শয্যাসঙ্গিনী করার ইচ্ছে রাবণ ত্যাগ করে বহু আকুতি মিনতি করে রম্ভা। কিন্তু রম্ভার কোন কথায় কর্ণপাত না করে রাবণ জানায় আমি এখন কামাসক্ত। আমাকে শাস্ত্রবাণী শুনিয়ে লাভ নেই। তাছাড়া দেবরাজ ইন্দ্র গুরুপত্নী গমন করেছিলেন। চন্দ্রদেবের চরিত্রও একই দোষে দুষ্ট। এই বলে তিনি রম্ভাকে জোরপূর্বক নিজের কক্ষে নিয়ে যান। এরপরেই দীর্ঘ এক সপ্তাহ যাবত নিজের কাম বাসনা পূর্ণ করে রাবণ। এরপরের নিজের কামনা পূর্ণ হয়ে গেলেই ছেড়ে দেয় রম্ভাকে। 

পরবর্তীতে সদ্য পর পুরুষের হাতে সতিত্ব খোয়ানো আলুথালু বেশে রম্ভা  নিজের স্বামী নলকুবেরের পায়ে পড়ে সম্পূর্ণ ঘটনাটি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে সব বিস্তারিত জানায়। সম্পূর্ণ ঘটনা শোনার পর নিজের স্ত্রীর মর্যাদা এবং পর পুরুষের ছোঁয়া লাগায় ক্রুদ্ধ হয়ে রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে নলকুবর কমন্ডুলু থেকে পবিত্র জল নিয়ে অভিশাপ দিয়ে বলেছিলেন  পরবর্তীতে কোন সতী নারীকে জোরপূর্বক  শোষণ করা বা তার সতীত্ব নষ্ট করতে গেলেই সেখানে তৎক্ষণাৎ মৃত্যু হবে রাবণের। কার্যত এই অভিশাপ বাণী দেওয়ার পর থেকেই মনের কামনা কোনদিনই কোন সতী নারীর উপর মেটাতে পারেননি রাবণ যার কারণে সীতাকে অপহরণ করে নিজের কাছে দীর্ঘদিন পঞ্চবটী বনে রাখলেও পবিত্র নারী সীতাকে কোন দিনে স্পর্শ করার সাহস হয়নি লঙ্কাপতি রাজের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *