অফবিট

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুকুটে ময়ূরের পালক থাকার পেছনে কি কারন রয়েছে?

নিউজ ডেস্কঃ হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী বিশ্বকর্মা হলেন দেবতাদের শিল্পী। তাই তাঁকে দেবশিল্পী বলা হয়। এই দেবশিল্পী দেবতাদের জন্য নানা ধরনের অস্ত্রসস্ত্র এমনকি প্রাসাদও বানিয়েছেন।তাই যেকোনো জিনিস তৈরিতে দক্ষ ছিলেন বিশ্বকর্মা। তাহলে এবার প্রশ্ন হল যে  কেন বিশ্বকর্মা নিজের জন্য যান্ত্রিক বাহন না বানিয়ে হাতিতে তাঁর বাহন করেছিলেন? কি জানেন না তো।না জানলে সময় এর নষ্ট না করে জেনে নিন এর কারনটি।  

পুরান অনুযায়ী বিশ্বকর্মা হলে একজন মহাবীর। তাই দেবতা মহাবীর হলে তার সাথে থাকা তাঁর বাহনকেও এমন হতে হবে  যাতে তাকে বহন করার ক্ষমতা থাকে তাঁর মধ্যে এবং সাথে অমোঘ ক্ষমতার অধিকারী।তাই হাতি হল এই স্থলভুমির এমন একটি প্রাণী যার মতো শক্তিযুক্ত প্রাণী আর দুটি নেই।তাই এই স্থলভুমিতে হাতি অন্যতম শক্তিমান প্রানী হওয়ার কারনেই হাতি দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার বাহন হবার যোগ্যতা অর্জন করে।

এছাড়াও অন্য একটি মতামত অনুসারে বলা যে  হাতির একটি শুড় আছে  কিন্তু কোন হাত নেই। হাতির এই  শুড়কে কর বলা হয়। এইজন্য  হাতির আরেকটি নাম ‘করী’।এই কর’ শব্দটির উৎপত্তি হয় ‘কৃ’ ধাতু থেকে। হাতি এই শুড় দিয়েই তার সমস্ত কাজ যেমন- জল পান করা, খাবার সংগ্রহ করা, ইত্যাদি করে অর্থাৎ হাতি তার শুড়কে নানারকম ভাবে ব্যবহার করে।আর এর ফলে প্রকাশ পায় তার শিল্পকর্ম অর্থাৎ হাতি তার শুড় দিয়ে শিল্পের মাধ্যমেই কর্ম সংস্থান করে।তাই বিশ্বকর্মা যেহেতু কর্মের দেবতা এবং হাতি তার শুড় দিয়ে নানান কর্ম সিদ্ধ করে।এই কারনেই  বিশ্বকর্মার বাহন হলেন হাতি।

অন্য আরেকটি মতামত অনুসারে বলা যে  হাতি কাজ করার সময় একদম শান্ত অবস্থায় থাকে।অর্থাৎ কাজ করার সময় শান্ত অবস্থায় থাকলে কাজের মাধ্যমেই শিল্পের বিকাশ হয়। তাই বিশ্বকর্মা যেহেতু সূক্ষ শিল্পকর্ম থেকে বৃহৎ প্রাসাদ নির্মাণ করেন তাই এইসব কাজ করার জন্য দরকার নিপুনতা, দৈহিক ক্ষমতা এবং মাথা ঠান্ডা রাখার ধৈর্য্য।আর বিশ্বকর্মা এই সকলগুনের অধিকারি তাই তার বাহনের মধ্যেও এই গুনগুলি থাকতে হবে।  আর এই সকল গুন আছে হাতির মধ্যে।তাই হাতি বিশ্বকর্মার বাহন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *