ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধ মিটে যাওয়ার পর রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি আদৌ কি পুতিন থাকতে পারে?
রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের সাক্ষী রয়েছে গোটা পৃথিবী। এখনো পর্যন্ত সেই যুদ্ধের আবহাওয়া থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি দুটি দেশ। এমন পরিস্থিতিতে আগামী দিনেও কি রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি হিসেবে বজায় থাকবেন পুতিন এই নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে অনেকের মনে। তবে সম্প্রতি পুতিনের এই রুক্ষ মনোভাব দেখে তাকে সম্পূর্ণভাবে বিচার করা যায় না। রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি কি আসলে ভালো লোক নাকি খারাপ সেটা জানতে হলে কিছুটা পেছনে যেতে হবে।
রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্টান করার পরপরই তাকে ভালো লোক হিসেবে চিনতো গোটা রাশিয়া। সেই সময়কালটা ছিল ১৯৯৯-২০০৮ সাল। এই মেয়াদকালে রাশিয়ার মান মর্যাদা কিছুটা হলেও উদ্ধার করার পাশাপাশি অর্থনীতিতেও প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন তিনি। অর্থাৎ এক কথায় বলা যেতেই পারে একটা ডুবতে বসা দেশকে টেনে তুলেছিলেন পুতিন। ঠিক এই সময়কালটা রাশিয়ার মানুষ পুতিনকে যথেষ্ট সম্মান করার পাশাপাশি মাথায় তুলে রাখতেন।
পরবর্তীতে, দিমিত্রি মেদভেদেভের কারণে ৪ বছর ক্ষমতা থেকে বিরত ছিলেন পুতিন। এরপর যখন আবার ২০১২ সালে ক্ষমতায় আসেন তখন থেকে নিজের অপ্রকাশিত মূর্তি দেখাতে শুরু করেছিলেন তিনি। কোন এক বিকৃত মনোভাব থেকে একের পর এক ধ্বংসলীলা শুরু করেন তিনি। প্রথমে তার জাত ভাই জর্জিয়াকে আক্রমন করেন। এরপরই ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করেন। পাশাপাশি সিরিয়াকে ধ্বংসস্তূপ বানান। এই সব ছোটখাট ধ্বংসলীলা চালানোর পর সবচেয়ে বড় তান্ডব চালায় ২০২২ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি। সমস্ত হিসেব নিকেশ ভুল প্রমাণ করে নাৎসি বাদী আজভ ব্যাটালিয়ন মারিউপোলে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলে । যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন ৪২ বছর আগে আহমেদ শাহ মাসুদ পানশির উপত্যকায় ।
গোটা পৃথিবী কাপানো ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের পরেই যতই দিন গড়াচ্ছে ততই ইউক্রেন এলাকা উদ্ধার করছে । আর পুতিনের অবস্থান দুর্বল হচ্ছে । আদেও রাশিয়ার নিজস্ব কোন অস্তিত্ব থাকবে কিনা সেটি এখন বলা মুশকিল। তবে আগামী দিনে পুতিনের রাজনৈতিক জীবনে এবং তার স্বর্ণময় যুগের যে অবসান ঘটছে এটি বলা যেতে পারে।