অফবিট

যৌন তাড়নার নিদর্শন এই দুই প্রজাতির পুরুষকে বলা হয়

নিউজ ডেস্ক –  শারীরিক খিদে মেটাতে অনেক পুরুষই নারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।  নারীদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার গুরুত্ব না দিয়ে নিজেদের কার্যসিদ্ধিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে এমন অনেক পুরুষকে দেখা যায়।  এক ধরনের প্রাণীকুলের পুরুষ রয়েছে যারা যৌনসঙ্গম করার কারণে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে।  হ্যাঁ এরকম প্রাণী দেখা যায়  অস্ট্রেলিয়ার বেশ কিছু অঞ্চলে। এদের দেহাকৃতি অনেকটা ছোট ইঁদুরের মত। কাল ধরনের লেজ,  ধূসর অ্যান্টেচিনুস আর রুপোলি-মাথা অ্যান্টিচিনুস – এই দুটি প্রজাতির পুরুষদের ক্ষেত্রেই এমন যৌন তাড়নার নিদর্শন দেখতে। 

কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির গবেষকদের গণনা অনুযায়ী,  এই প্রজাতির পুরুষরা ঘন্টার পর ঘন্টা নিজেদের সঙ্গিনীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত থাকতে পারে।  কোন কোন সময় এরা একটানা ১৪ ঘন্টা যৌন মিলন করতে পারে।  এই যৌন তাড়নার সময় একের পর এক সঙ্গী বদল করতে থাকে এই প্রজাতির পুরুষরা। মূলত দীর্ঘক্ষন ধরে কামাতুর অবস্থায় থাকার কারণে শরীরের থেকে অধিক পরিমাণে টেস্টোস্টেরন হরমোন খরিত হয়। কার্যত অধিক হরমোন ক্ষরণের ফলে শরীরের থেকে পশম উঠে যায় ধীরে ধীরে দেহের একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয় অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে এরা। জন্ম হওয়ার পর এক বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে না এরা। এই পুরুষদের শরীরে এতটা পরিমাণে যৌন খিদে থাকে যে  সেটি সম্পূর্ণ করতে করতে মৃত্যু হয় অবশেষে।   গত দু’বছর আগেও অস্ট্রেলিয়ার একাধিক জায়গায় এই প্রাণীর অস্তিত্ব পাওয়া যেত।  কিন্তু যৌন তাড়নার কারণে  এত সংখ্যক মৃত্যু ঘটছে যে কুইন্সল্যান্ডের  হাতেগোনা কয়েকটি অঞ্চলে খুব কষ্ট করে এদের অস্তিত্ব মেলে।  ভবিষ্যতে হয়ত বিলুপ্ত হয়ে যাবে এই প্রাণীরা এমনটাই অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *