অফবিট

সিঙ্গাপুর, আর্জেন্টিনার মত পৃথিবীর কোন দেশ গুলিতে নাগরিকত্ব পেতে খুব বেশী অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় না?

কোন দেশের নাগরিকত্ব পেতে হলে নিম্নতম নিয়ম অনুযায়ী সেই দেশে দীর্ঘ সময় ধরে বসবাস করতে হয় এবং বেশ কিছু আইনি কাজকর্ম করতে হয়। আমার দেখা গিয়েছে বিদেশে গ্রীন কার্ড পেলে সেই দেশে নাগরিকত্ব খুব সহজেই হয়ে যায়। সবথেকে সহজ পদ্ধতি হলো সেই দেশের কোন নাগরিককে বিয়ে করলে সহজেই নাগরিকত্বের পরিচয় পত্র পাওয়া যায়। কিন্তু এমন কয়েকটি দেশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে যেখানে নাগরিকত্ব পেতে হলে খুব বেশি ঝামেলা পোহাতে হয় না। সেই দেশ গুলি হল যথাক্রমে –

I) সিঙ্গাপুর :- এই দেশের নাগরিকত্ব পেতে হলে কমপক্ষে দু’বছর সেখানে বসবাস করা বাধ্যতামূলক। এমনকি কোন ব্যক্তি ব্যবসার খাতিরে কিংবা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেও তাকে সহজেই নাগরিকত্ব দিয়ে দেয় সেখানকার সরকার। তবে এই দেশের একটি নিয়ম হল একটি নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত ভিনদেশীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। তবে মনে রাখতে হবে যে সিঙ্গাপুর দ্বৈত নাগরিকত্বের অনুমতি দেয় না।  

II) আর্জেন্টিনা :- এই দেশের নাগরিকত্ব পাওয়া কিছুটা অর্থের ওপর নির্ভর করে।  কোন ভিনদেশী মানুষ প্রতি মাসে এক হাজার ডলার ইনকাম দেখাতে পারলেই আর্জেন্টিনার সরকার ভিনদেশী মানুষদের নাগরিকত্ব প্রদানের ব্যবস্থা রেখেছেন।  

III) কানাডা :- বহু মানুষই চাকরি সূত্রে কিংবা পড়াশোনার খাতিরে কানাডায় পাড়ি জমায়। সেক্ষেত্রে এই দেশে নাগরিকত্ব পাওয়া খুবই সহজ। ভিনদেশীদের জন্য এই দেশ নির্দিষ্ট ১২ ক্যাটাগরিতে সহজেই কাজের সুযোগ রেখেছে। এরপর ৫ বছরের মধ্যে কেবল ৭৩০ দিন সে দেশে অবস্থান করলেই নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। 

IV) পানামা :- অন্যান্য দেশের তুলনায় পানামায় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য ৫০টি সুযোগের ব্যবস্থা রেখেছে সে দেশের সরকার।  অর্থাৎ একটি পথ নয় হাজার পথ  রয়েছে নাগরিকত্ব অবলম্বনের ক্ষেত্রে। 

V) পেরু :-  পেরুতে টানা দু’বছর নাগাদ কোন ব্যক্তি তার ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পারলি কিংবা কোন সরকারি চাকরি অথবা স্কুল টিচার হলেও সেই ব্যক্তি নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবে।

VI) ব্রাজিল:- বেশ কিছু বাধা ধরা নিয়ম মেনে চললেই নাগরিকত্ব দেবে ব্রাজিল। 

VII) ক্যারিবিয়ান:- বেশ কিছু মোটা অঙ্কের টাকা সরকারকে দিলে সেই দেশে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি ও নাগরিকত্ব পেতে পারবে ভিনদেশীরা। 

VIII) নর্ডিক:- দেশ গুলোর নাগরিকত্ব আইন বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন। তবে তাদের সময়কাল ৫ বছরের বেশি হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা পূরণ করা খুব কঠিন হয় না।

IX) অস্ট্রেলিয়া:- অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্বের আইনও খুব একটা কঠিন নয়। 

X) আমেরিকা:- ফ্যামিলি ভিসার পাশাপাশি এবং ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে আসতে চলেছে আমেরিকা। এই ওয়ার্ক ভিসার মাধ্যমে ভিনদেশী শ্রমিকরা আমেরিকায় স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *