অফবিট

সর্বপ্রথম অনলাইনে ভোট পৃথিবীর কোন দেশে চালু হয়েছিল?

নিউজ ডেস্কঃ ভোট বা নির্বাচন। ভারতবর্ষে এই ভোটের বাজারে মানুষের একাধিক কীর্তিকলাপ সামনে আসতে থাকে, আসলে নিজের গদির লড়াইয়ে একটুও পিছু হাটতে রাজি নয় কেউ। তবে কখনও ভেবে দেখেছেন যে ভোটের সময় অর্থাৎ যদি গরমের সময় বা বর্ষার সময় যদি ভোট হয় তখন ভোট দিতে যাওয়াটা কতোটা অস্বস্তিকর, তবে শুনলে অবাক হবেন যে পৃথিবীতে এমন দেশও রয়েছে যেখানে ভোট ঘরে বস অনলাইনেই দিতে পারবেন।

ইউরোপ মহাদেশের একটি অংশে রয়েছে এস্তোনিয়া। খ্রিষ্টধর্ম দেশটির প্রধান ধর্ম হলেও এই দেশে অনেক মানুষ খ্রিস্ট ধর্ম বিশ্বাস করে না। এস্তোনিয়ায় পূর্ণবয়স্ক নাগরিকরা ঘরে বসে অনলাইনে এ দেশের জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকেন। অনলাইনে ভোট দেওয়া সর্বপ্রথম এস্তোনিয়ায় চালু হয়েছিল।

অর্থনৈতিকভাবে দ্রুত বর্ধনশীল হওয়ার কারণে এস্তোনিয়াকে বাল্টিকের বাঘ হিসাবে বিহীত করা হয়। এস্তোনিয়াকে সুন্দরীদের দেশ বলা হয় কারণ ১.১ মিলিয়ন দেশবাসী দের মধ্যে ৭৪ সুপার মডেল আছে এই দেশে। সুন্দরীদের জন্য বিখ্যাত দেশের মানুষের উচ্চতায় বিশ্বের তৃতীয় স্থান সর্বাধিক। এখানে গড়ে মহিলাদের উচ্চতা ১৬৯ সেন্টিমিটার,পুরুষদের১৪০ সেন্টিমিটার।

এখানে এক একটা শহরে আলাদা আলাদা ঋতু বিচরণ করে। এস্তোনিয়ার জনসাধারণকে এস্তোনিয়ান নামে ডাকা হয়।

এস্তোনিয়ায় তেল উত্তোলন এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা দেশকে শক্তি উৎপাদনের আন্তনির্ভর করেছে। বৈদ্যুতিক চাহিদা মেটাতে সম্পূর্ণভাবে পারদর্শী হয়ে থাকে এস্তোনিয়া দেশটি। একটি প্রজেক্টের অন্তর্গত দেশের কম্পিউটার এবং নেটওয়ার্কে অবকাঠামোর ওপর ব্যাপকভাবে নিজের উদ্যোগেই প্রকল্পের নাম রাখা হয় টিগরিহুপে। 

বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে দিয়ে যত দেশ রয়েছে তাদের মধ্যে এই দেশে সঠিক বেতন প্রদানের মারফত মাতৃকালীন দুটি এজেন্সি দেওয়া হয়।

এস্তোনিয়াতে একটা তর্ক বেঁধে থাকে কোন শহরের বিখ্যাত ক্রিসমাস গাছ সর্বপ্রথম স্থাপিত হয়  তালিম না রিগা।  ক্রিসমাস গাছকে সুন্দরভাবে সাজানো হয় লিমুনিয়াতে।

প্রতি ১০০ জন মহিলার তুলনায় ৮৭ পুরুষ আছে, মানে মহিলাদের সংখ্যা বেশি। তাই অনেক সময় মহিলারা সঠিক পুরুষ পায় না বিয়ের জন্য। এস্তোনিয়ার জাতীয় খাবার আলু, গ্রোটস্ট এবং মাংসের সহযোগিতায় প্রস্তুত মুলগিপুড।

রাতের অন্ধকারে রিফ্লেক্টর পরা বাধ্যতামূলক। এগুলো প্লাস্টিকের তৈরি ফলক। যেগুলি অন্ধকারে পড়ে থাকলে গাড়িচালকদের সুবিধা হয় যারা মূলত সাইকেল-আরোহী তাদের অনুমান করা যায়। এস্তোনিয়ার পঞ্চাশ হাজার মানুষ ব্যক্তিগত জিনের ম্যাপ রাখেন তাতে  বংশ ক্রমিক কোন রোগের আবাস পেতে সুবিধা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *