অফবিট

কিভাবে তৈরি হয়েছিল ইতালির মতো দেশ? ভ্যাটিকান সিটি তৈরির পেছনে কে ছিলেন?

উনবিংশ শতাব্দীতে ইউরোপে জাতীয়তাবাদ প্রবল আকারে বৃদ্ধি পায় যার কারনে অনেক নতুন নতুন দেশ তৈরি হয় এবং অনেক পুরোনো সাম্রাজ্যও ভেঙে যায়। ইতালির সংযুক্তিকরন ইউরোপের জাতীয়তাবাদের কারনেই হয়। উনবিংশ শতকে ইউরোপে অনেক ছোট ছোট রাজ্য যুক্ত হয়ে ইতালির গঠন সেসময় ইউরোপের রাজনৈতিক ও সামাজিক পটভূমিতে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছিল। ইতালির ইতিহাসে এই সংযুক্তিকরনকে রিসোরজিমিন্তো বলা হয় যার অর্থ পুনরুত্থান। ইতালির ভূমি একটা সময় বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিশাল রোমান সাম্রাজ্যের অংশ ছিল, সেসময় ইতালির খ্যাতি বিশ্বব্যাপী ছিল। রিসোরজিমিন্তোর আরও একটি অর্থ এই অতীতের শ্রেষ্ঠত্বের পুনরায় জাগরন। 

ইতালিয়ান ভূমি একটি পেনিনসুলা বা উপদ্বীপ। নির্দিষ্ট কোনও ভূমির তিনদিকে সমুদ্র এবং আরেকদিক মূল ভূভাগের সাথে সংযুক্ত থাকলে তাকে পেনিনসুলা বা উপদ্বীপ বলে। যেমন আমাদের দেশ ভারতবর্ষও একটি পেনিনসুলা, কারন ভারতের তিনদিকে রয়েছে সমুদ্র দক্ষিনে ভারত মহাসাগর, পূর্বে বঙ্গোপসাগর, পশ্চিমে আরব সাগর এবং উত্তরে হিমালয় পার্বত্যঞ্চল। ভারতবর্ষকে পৃথিবীর বৃহত্তম উপদ্বীপ বলা হয়। ইতালিরও তিনদিকে সমুদ্র রয়েছে এবং উত্তরে রয়েছে আল্পস পর্বতমালা। উনবিংশ শতাব্দীর আগে ইতালিয়ান উপদ্বীপ ছোট ছোট অনেক প্রদেশে বিভক্ত থাকলেও ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহাসিক কারনে এইসব প্রদেশগুলো সংযুক্ত হওয়া ছিল সময়ের দাবী। ইতালির সংযুক্তিকরনে সবচেয়ে বড় অনুঘটকের কাজ করে ফ্রান্সের শাসক নেপোলিয়ন বোনাপার্ট। ফ্রান্সের দক্ষ সমারিক জেনারেল ছিল নেপোলিয়ন বোনাপার্ট যিনি ১৭৯৯ সালের মধ্যে ইতালির অনেক প্রদেশ দখল করেন। ১৮০৪ সালে ফ্রান্সের শাসক হয়ে নেপোলিয়ন ইতালির এসব প্রদেশকে ফ্রান্সের সাম্রাজ্যের সাথে যুক্ত করে। নেপোলিয়ন ইতালির এসব অঞ্চলে বানিজ্যিক কর কম করে এবং নতুন আইন তৈরি করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা মজবুত করে। নেপোলিয়নের উদ্দেশ্য ছিল ইতালির এসব প্রদেশকে স্থায়ী ভাবে ফ্রান্সের অংশ করা। কিন্তু নেপোলিয়ন তার অজান্তেই ইতালিতে জাতীয়তাবাদ চেতনার বৃদ্ধি ঘটায়, সাথে সাথে ফরাসি বিপ্লবও ইতালির জাতীয়তাবাদ প্রসারে সহায়তা করে। তবে নেপোলিয়নের রাজত্ব বেশীদিন চলেনি। 

১৮১৪ সালে ওয়াটারলুর যুদ্ধে হেরে যাওয়ার পর নেপোলিয়নের পুরো সাম্রাজ্য ভেঙে পড়ে। ১৮১৫ সালে ওয়াটারলু যুদ্ধে জয়ী পক্ষ ভিয়েনা কংগ্রেসের আয়োজন করে। ব্রিটেন, প্রুশিয়া, রাশিয়া, ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়ার প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে যোগদান করে। এই সম্মেলনে নেপোলিয়নের আক্রমনের পূর্বে ইতালির যে সীমানা ছিল সেটাই রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তবে ইতালিকে স্বাধীন হিসাবে ঘোষনা করা হয়নি এই সম্মেলনে কারন ইউরোপের বড় বড় শক্তিগুলোর ভয় ছিল ইতালিকে স্বাধীন করা হলে আরও একটি শক্তিশালী দেশের উদ্ভব হবে ইউরোপে। ইতালিয়ান প্রদেশ গুলোকে অস্ট্রিয়া ও ফ্রান্সের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। যেমন লমবার্ডি ও ভেনিসকে দেওয়া হয় অস্ট্রিয়ার হ্যাবসবার্গ সাম্রাজ্যকে, পার্মা, মডার্না ও তুসকেনি প্রদেশকেও পরোক্ষভাবে অস্ট্রিয়ার নিয়ন্ত্রনেই রাখা হয়। নেপেলস ও সিসিলি প্রদেশকে দেওয়া হয় ফ্রান্সের বারবোন সাম্রাজ্যকে। রোম সরাসরি পোপের অধীনে ছিল। 

ইতালিয়ান অঞ্চলের মানুষদের ভিয়েনা কংগ্রেসের অধিবেশনের উপর আস্থা ছিল অনেক কিন্তু ইতালির বিভিন্ন প্রদেশকে যখন ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয় তখন ইতালি জুড়ে জাতীয়তাবাদ চেতনা আরও দ্রুত বাড়তে শুরু করে। ইতালিয়ানরা বুঝে যায় তারা ঐক্যবদ্ধ না হলে ইতালিয়ান মানুষদের জন্য একটি দেশ গঠন কখনও সম্ভব হবেনা। ইতালি গঠনের জন্য জাতীয়তাবাদিরা দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করে বিদ্রোহ এবং কূটনীতি। ইতালির সংযুক্তিকরনে তিনজন গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তি হলেন জিউসেপ ম্যাজিনি, জিউসেপ গ্যারিবাল্ডি এবং কাউন্ড ক্যাভোর। ম্যাজিনি ও গ্যারিবাল্ডি বিদ্রোহের পথ বেছে নেয় এবং ক্যাভোর কূটনীতির পথ অবলম্বন করে। 

১৮০০ থেকে ১৮৩১ সালের মধ্যে ইতালিতে একাধিক গোপন সংস্থা তৈরি হয়েছিল যাদের কার্বোনারি বলা হয়। এদের লক্ষ্য ছিল উত্তর ইতালি থেকে অস্ট্রিয়া এবং দক্ষিন ইতালি থেকে ফ্রান্সকে হটানো। এইসব সংস্থাগুলো সাধারন মনুষকে বিদেশী শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে উৎসাহিত করে যার কারনে ১৮২০, ১৮৩১ এবং ১৮৪৮ সালে ইতালির বিভিন্ন অঞ্চলে অস্ট্রিয়া ও ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হয় যদিও এইসব বিদ্রোহ সফল হয়নি। জিউসেপ ম্যাজিনিকে ইতালির সংযুক্তিকরনের হৃদপিন্ড বলা হত, তিনি প্রথমে কার্বোনারির সদস্য ছিলেন কিন্তু ১৮৩১ তিনি কার্বোনারি থেকে আলাদা হয়ে গিয়ে ইয়ং ইতালি নামে সংগঠন তৈরি করেন। ম্যাজিনি গনতান্ত্রিক ইতালি গঠনের স্বপ্ন দেখতেন। 

১৮৩১ সালে বিদ্রোহে যুক্ত থাকার অপরাধে ম্যাজিনিকে ফ্রান্সে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কিন্তু ফ্রান্স থেকেও তিনি জাতীয়তাবাদ লেখা গোপনে ইতালিতে পাঠাতে থাকে যা সাধারন মানুষকে জাতীয়তাবাদে উদ্ভুদ্ধ করতো। ১৮৪৮ সালে ম্যাজিনি রোম দখল করে গনতান্ত্রিক রোমের স্থাপনা করে যদিও নেপোলিয়ন তৃতীয়র অধীনে ফ্রান্সের সেনাবাহিনী রোম দখল করে নেয়। এরপর ম্যাজিনিকে আমেরিকাতে নির্বাসনে পাঠানো হয়। আমেরিকাতেই ১৮৭২ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। জিউসেপ ম্যাজিনি বিশ্বের অনেক দেশ জাতীয়তাবাদ বিকাশের অনুপ্রেরনা ছিলেন। যেমন ভারতের বীর সাভারকরও ম্যাজিনি থেকে অনুপ্রানিত ছিলেন। স্বয়ং মহাত্মা গান্ধী ইয়ং ম্যাজিনির ইতালি থেকে অনুপ্রানিত হয়ে ইয়ং ইন্ডিয়া জার্নাল শুরু করেছিলেন। জিওসেপ ম্যাজিনির পর ইতালির সংযুক্তিকরনে আরও এক গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তি হলেন জিওসেপ গ্যারিবাল্ডি। গ্যারিবাল্ডিও ম্যাজিনির থেকে অনুপ্রানিত হয়ে ইয়ং ইতালিতে যোগদান করেছিলেন। গ্যারিবাল্ডিকেও ইতালি থেকে বের করে দিয়ে দক্ষিন আমেরিকা পাঠিয়ে দিয়েছিল প্রশাসন। সেখানে গ্যারিবাল্ডি গোরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষন নিয়ে ইতালির সংযুক্তিকরনে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখেন। কূটনৈতিক পদ্ধতিতে ইতালির সংযুক্তিকরনের চেষ্টা শুরু করা কাউন্ট ক্যাভোরের আসল নাম ছিল ক্যামিলো বেনসো। 

ইতালিয়ান রাজা ভিক্টর ইমানুয়েল দ্বিতীয়ের অধীনে পিডমোন্ট সার্ডিনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ইতালিতে সেসময় সার্ডিনিয়া একমাত্র প্রদেশ ছিল যেটি কারও অধীনে ছিলনা স্বাধীন ছিল। বলা হয় ইতালির সংযুক্তিকরনের পিছনের প্রধান মস্তিষ্কই ছিল কাউন্ট ক্যাভোরের। তিনি রিসোরজিমিন্তো দ্বিতীয় নামে একটি পত্রিকা শুরু করেছিলেন। ক্যাভোরের লক্ষ্য ছিল সমস্ত ইতালিয়ান প্রদেশকে পিডমোন্ট সার্ডিনিয়ার অধীনস্থ করে একটি শক্তিশালী দেশ গঠন। ক্যাভোর সার্ডিনিয়া প্রদেশের ব্যাপক পরিকাঠামো উন্নয়ন শুরু করে যাতে বাকী সমস্ত ইতালিয়ান প্রদেশের লোক সার্ডিনিয়াকে আদর্শ মনে করে। ১৮৫৩ থেকে ১৮৫৬ পর্যন্ত ক্রিমিয়ার যুদ্ধ হয় যাতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও অটোমান সাম্রাজ্য লড়াই করছিলো। এই যুদ্ধের সাথে সার্ডিনিয়ার কোনও ভূমিকাই ছিলনা কিন্তু ক্যাভোর রাজা ভিক্টর ইমানুয়েল দ্বিতীয়কে রাজি করিয়ে এই যুদ্ধে অংশ নেয়, যুদ্ধে রাশিয়া পরাজিত হয়। এরপর প্যারিসে শান্তি সম্মেলনে কাউন্ট ক্যাভোর সার্ডিনিয়ার প্রতিনিধি হিসাবে অংশ নেয় সেখানে ক্যাভোর উত্তর ইতালিয়ান প্রদেশে অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে ফ্রান্স ও ব্রিটেনের সমর্থন আদায় করেন। ক্যাভোর ফ্রান্সের শাসক নেপোলিয়ন তৃতীয়র সাথে সার্ডিনিয়ার এক রাজকন্যার বিয়ে দিয়ে কুটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে, এছাড়া ফ্রান্স সীমান্তের কাছে নিস ও স্যাভোয় শহর দুটিকেও নেপোলিয়নকে দিয়ে দেয় ক্যাভোর। 

ইতালির সংযুক্তিকরনের জন্য নিস ও স্যাভোয় শহরকে বলিদান দেওয়া হয়। ইতালির পূর্ন সংযুক্তিকরন তিনটি ধাপে হয়। প্রথম ধাপে ১৮৫৮-৫৯ এ উত্তর ইতালির লমবার্ডি ও ভেনিস শহরের লোকেদের ক্যাভোর অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের জন্য উজ্জীবিত করে। অস্ট্রিয়া সার্ডিনিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে দেয়। ক্যাভোর লমবার্ডিকে অস্ট্র্রিয়ার হাত থেকে মুক্ত করে কিন্ত ভেনিস তখনও অস্ট্রিয়ার অংশ ছিল। লমবার্ডিকে দেখে উত্তর ইতালির পার্মা, মডার্না ও তুসকেনি প্রদেশের মানুষও অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করে। অস্ট্রিয়া এসব অঞ্চলে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কিন্তু ফ্রান্স ও ব্রিটেনের চাপে অস্ট্রিয়া সেনা পাঠানো থেকে বিরত থাকে। ঠিক হয় এই তিন প্রদেশে গনভোট হবে। অবশেষে গনভোটে এই তিন প্রদেশের মানুষ সার্ডিনিয়াতে যুক্ত হওয়ার পক্ষে ভোট দেয়। এভাবে প্রথম ধাপে ভেনিস ছাড়া সমস্ত উত্তর ইতালি সার্ডিনিয়াতে যুক্ত হয়। উত্তর ইতালিকে দেখে দক্ষিন ইতালির সিসিলি ও নেপলসের মানুষও বিদ্রোহ ঘোষনা করে বারবোন সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে। কিন্তু এখানে সরাসরি সেনা পাঠাতে পারতোনা ক্যাভোর কারন বারবোন সাম্রাজ্যকে নেপোলিয়ন তৃতীয়র সমর্থন ছিল। যার কারনে দ্বিতীয় ধাপে ক্যাভোর এখানে অন্যরকম পরিকল্পনা করে। 

ক্যাভোর ১৮৬০ সালে গ্যারিবাল্ডিকে দক্ষিন আমেরিকা থেকে এক হাজারের বেশী সেনা ও যুদ্ধজাহাজ নিয়ে দক্ষিন ইতালিতে পাঠায়। ১৮৬০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে সিসিলি ও নেপলসে বারবোরকে পরাস্ত করে গ্যারিবাল্ডি ও এই দুই প্রদেশও সার্ডিনিয়াতে যুক্ত হয়। এভাবে ১৮৬০ সালের মধ্যে রোম ও ভেনিস বাদে সমস্ত ইতালিয়ান প্রদেশ সার্ডিনিয়াতে চলে আসে। এবার শুরু হয় তৃতীয় ধাপ। কিন্তু ১৮৬১ সালে মৃত্যু হয় কাউন্ট ক্যাভোরের। তখন ইতালির সংযুক্তিকরনের শেষ ধাপের দায়িত্ব নেয় রাজা ভিক্টর ইমানুয়েল দ্বিতীয় স্বয়ং। ১৮৬৬ সালে প্রুশিয়া ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে যুদ্ধ হয়, এই যুদ্ধে সার্ডিনিয়া প্রুশিয়াকে সহায়তা করে এবং যুদ্ধে প্রুশিয়া অস্ট্রিয়াকে পরাজিত করে। এরপর প্রুশিয়া ভেনিসকে সার্ডিনিয়াকে দিয়ে দেয়। অর্থাৎ এরপর শুধু বাকী ছিল রোম। রোম ছিল পোপের অধীনে এবং পোপের সুরক্ষার জন্য ফ্রান্সের সম্রাট নেপোলিয়ন তৃতীয়র একটি সেনাবাহিনী সবসময় মোতায়েন ছিল। এরকম অবস্থায় রোম আক্রমনের অর্থ সরাসরি ফ্রান্সের বিরোধীতা করা। যার কারনে ইমানুয়েল দ্বিতীয় সুযোগের অপেক্ষা করতে থাকে। তবে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সুযোগ এসে যায়। ১৮৭১ সালে প্রুশিয়া ও ফ্রান্সের যুদ্ধ হয়, নেপোলিয়ন তৃতীয় রোম থেকে তার সেনাবাহিনীকে যুদ্ধে নিয়ে আসে। এই যুদ্ধে ফ্রান্স পরাজিত হয়, নেপোলিয়ন তৃতীয়কে সিংহাসন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এই সুযোগে ইমানুয়েল দ্বিতীয় রোম দখল করে নেয়। তবে পোপকে সম্মান জানিয়ে রোম থেকে কিছুটা এলাকা নিয়ে পোপের নিয়ন্ত্রনে দেওয়া হয়। এই এলাকাকে ভ্যাটিকান সিটি বলা হয়। এভাবে স্বাধীন ইতালি দেশ গঠন হয় যার শাসক হয় ভিক্টর ইমানুয়েল দ্বিতীয় এবং ইতালির রাজধানী হয় রোম। আজও ভ্যাটিকান সিটি রোমের মধ্যেই পোপের নিয়ন্ত্রনে একটি ছোট স্বাধীন দেশ হিসাবে রয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *