অফবিট

শেষ জীবনে যে ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন বিবেকানন্দ

নিউজ ডেস্কঃ বিবেকানন্দ। পুরো একটাজীবন হয়ত কম এই মানুষটা সম্পর্কে জানতে। মাত্র ৩৯ বছর বয়েসে যা করে গেছেন তা অনেক মুনিঋষির পক্ষেই যে সম্ভব ছিলনা তা একাধিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে গেছেন। তিনি প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করতেন, আগামি প্রজন্মের কথা ভাবতেন, ভারতবর্ষের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতেন। আর সেই কারনেই হয়ত নিজেকে নিয়ে ভাবার সময় পাননি বিবেকানন্দ। তাঁর চিন্তা ছিল সুদূর প্রসারি ভাবনা নিয়ে। আর এতো চিন্তা এবং ভাবনার কারনে এর প্রভাব পড়েছিল তাঁর শরীরের উপর।

বিখ্যাত লেখক “দ্য মন অ্যাজ মঙ্ক” বইতে স্বামীজির ৩১ ধরনের রোগের কথা বলে গেছেন। অনিদ্রা এবং যকৃতের সমস্যা থেকে শুরু করে কিডনি, মাইগ্রেন, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগ অর্থাৎ হার্টের সমস্যা পর্যন্ত ছিল এই মহান সন্নাসির।

স্বামীজির শরীরের কথা বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন যে “শরীরম ব্যাধিমন্দিরম” অর্থাৎ বিবেকানন্দের শরীর ব্যাধির মন্দিরে পরিনত হয়েছিল। স্বামীজি বলতেন যে ” গীতা পাঠের চেয়ে মাঠে গিয়ে ফুটবল খেলা ভালো”।

বিভিন্ন রোগের থেকে মুক্তি পেতে তিনি অ্যালাপথি থেকে শুরু করে হোমিওপ্যাথি এবং কখনও আয়ুর্বেদিক ওষুধের সাহায্য নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও সেভাবে লাভ হয়নি , কারন ঘুমের সমস্যার কারনে অর্থাৎ অনিদ্রার কারনে তাঁর কোনও শারীরিক সমস্যা গুলি থেকে মুক্তি পাচ্ছিলেন না। লিভারের সমস্যার কারনে তিনি ঠিকভাবে খেতেও পারতেন না তিনি তাঁর জীবনের শেষের দিকে।

১৮৮৭ সালের শেষের দিকে অত্যাধিক চিন্তার কারনে একাধিক রোগ গ্রাস করে তাঁকে। ঠিকমতো ঘুম না হওয়ার কারনে সমস্যা গুলি আরও বাড়তে থাকে। ১৯০২ সালে তিনি আবারও হৃদরোগে আক্রান্ত হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *