বাম আমলে কঙ্কালকান্ডের মতো নৃশংস, হাড়হিম করা ঘটনা। যাদবপুরবাসী সিপিআইএমের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কেই বেশী ভরসা করছেন!
বিজেপি, সিপিআইএম ও তৃনমূল কংগ্রেসের মধ্যে ত্রিমুখী নির্বাচনী লড়াইকে কেন্দ্র করে যাদবপুর বর্তমানে রাজ্য রাজনীতির শিরোনামে। যাদবপুরে হারানো জমি ফিরে পেতে বামেরা মরিয়া চেষ্টা করছে কিন্তু ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতোন দক্ষ প্রার্থীকে যাদবপুরে প্রার্থী করে বামেদের চেষ্টায় জল ঢেলে দিয়েছে বিজেপি। বাম আমলের দুর্নীতি ও অপশাসনের কারনে খোদ যাদবপুরেই আজ বামেদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে মানুষ।
বাম আমলে একাধিক অত্যাচারের মতো গড়বেতার কঙ্কালকান্ডের মতোন ঘটনার কথা কী কখনও ভুলতে পারে যাদবপুরবাসী???
২০১১ সালে হঠাৎই পশ্চিম মেদিনীপুরের বেনাচাপাড়া গ্রাম থেকে সাতটি কঙ্কাল সাতটি কঙ্কাল পাওয়া যায়। এই ঘটনা তৎকালীন সময়ে রাজ্যের রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন তৈরি করে। সেইসময় অভিযোগ ওঠে এগুলো তৃনমূল কংগ্রেস কর্মীদের কঙ্কাল যাদের অপহরন করেছিল সিপিআইএম। ফরেন্সিক পরীক্ষার পর জানা যায় নয় বছর আগে ওই মানুষগুলোর মৃত্যু হয়েছিল। অভিযোগের তীর ছিল নব্বইয়ের দশকে বামফ্রন্টের দাপুটে নেতা সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে। বাম আমলে ১৯৮৭ সাল থেকে টানা ২৯ বছর গড়বেতা পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক থাকা সুশান্ত ঘোষের মতো দাপট মেদিনীপুরে কারও ছিলনা। সেসময় বিরোধীশূন্য করবার জন্য কিছু তৃনমূল কর্মীকে হত্যার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। হাড় হিম করা এই ঘটনায় সেসময় মেদিনীপুর সহ গোটা রাজ্য জুড়ে সুশান্ত ঘোষ এবং সিপিআইএমের বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়। যার জেরে ২০১১ সালের আগস্ট মাসেই গ্রেফতার করা হয় সুশান্ত ঘোষকে। কিন্ত বাম জামানায় বহু ঘটনারই পোক্ত প্রমান পাওয়া যায়নি যার জন্য সুশান্ত ঘোষও পরে জামিন পেয়ে যায়। কিন্তু বেনাচাপাড়া গ্রামের মানুষ আজও সুশান্ত ঘোষকে ভুলতে পারেনি। এই ঘটনার পর থেকে দীর্ঘদিন সিপিআইএম বেনাচাপাড়ায় যেতে পারেনি, দীর্ঘদিন তাদের পার্টিঅফিসও বন্ধ পড়েছিল। কমরেডদের সাহস হয়নি ওই গ্রামে আর যাওয়ার। সেই পার্টি অফিসও এবার এলাকবাসী দখল করে নিয়েছে।
বেনাচাপাড়ার মতোন যাদবপুরবাসী আজও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা ১ ব্লকের বেনাচাপাড়া গ্রামের কঙ্কালকান্ডের মতো নৃশংস হাড়হিম করা ঘটনা মনে রেখেছে। বামফ্রন্ট আমলে কঙ্কালকান্ডের মতোন নৃশংসা ঘটনা যাদবপুরে যাতে কিছুতেই না হয় তার জন্য যাদবপুরবাসী সিপিআইএমকে পরাজিত করতে আগামী ১জুন বিজেপি প্রার্থী ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কেই ভোট দিতে চলেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। দিল্লিতে অবস্থিত ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের পরিচালক ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো নিপাট ভদ্রলোক ও বিনয়ী ব্যক্তি যাদবপুরের রাজনীতিতে আগে কখনওই দেখা যায়নি। তিনি নির্বাচনের আগে যেভাবে প্রচার করছেন তাতে স্থানীয় মানুষজন ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে সিপিআইএম ও তৃনমূল কংগ্রেসের তুলনায় বেশী ভরসা করছেন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করা ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় আন্তর্জাতিক স্তরেও যথেষ্ট প্রশংসিত একজন মানুষ। তার মতো মানুষকে যাদবপুরে প্রার্থী হিসাবে পেয়ে স্থানীয় মানুষজন গর্বিত। যাদবপুর লোকসভা নির্বাচনের ইতিহাসে ইতিপূর্বে অনেক বড় বড় প্রার্থী সেখানে জিতেছেন কিন্ত ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতোন এমন বলিষ্ঠ জনপ্রতিনিধি আগে কোনওদিন যাদবপুরবাসী দেখেননি। তাই আগামী ৪ জুন বিপুল ভোটে যাদবপুরে ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের যোগ্য নেতৃত্বে বিজেপি জিততে চলেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।