অফবিট

কেন বামেদের পরজীবি বলা হয়?

পরজীবি ব্যক্টেরিয়া যেমন প্রানীর শরীরে থেকে তাকে শুষে খায়, ঠিক তেমনি বামপন্থীরাও কোনও দেশে থাকার অর্থ সেই দেশের উন্নয়ন থমকে যাওয়া। প্রতিটি দেশের বামপন্থী সংগঠনের কাছে কার্ল মার্ক্স, ভ্লাদিমির লেনিন, মাও জে-ডং, চে গুয়েভারা, ফিদেল কাস্ত্রো সবচেয়ে বড় আদর্শ। নিজের দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে বামেদের কোনও নজর থাকেনা, তারা সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের নীতিতে বিশ্বাসী।

বামপন্থীদের পরজীবি বলা হয় তাদের ভণ্ডামি ও দ্বিচারিতার কারনে।

আজ থেকে দুইবছর আগে ইউরোপের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয় রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে। রাশিয়ার অতর্কিত আক্রমনে পূর্ব ইউক্রেন প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে, ইউক্রেনের বহু নাগরিক দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে বামেরা এই ঘটনায় পুরো চুপ। এমনকী চীন তাইওয়ান, হংকং এর বিরুদ্ধে অভিযানের হুমকী দেয় প্রায়ই, জিনজিয়াং প্রদেশে চীন স্থানীয় মুসলিমদের বিরুদ্ধে দমন পীড়ন চালায়। চীন ভারতের অরুনাচল প্রদেশকে তাদের বলে দাবী করে। কিন্ত বামপন্থী দলগুলো রাশিয়া ও চীনের বিরুদ্ধে তেমন কোনও প্রতিবাদই করেনি। অথচ এই বামেরাই আমেরিকার ভিয়েতনাম অভিযানের ব্যাপক প্রতিবাদ করেছিল। এই জন্য বামেদের মেরুদণ্ড হীন বলা হয়। মনে রাখা দরকার বামেরা নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোসকেও ছাড়েনি। নেতাজীর মতোন মহান ব্যক্তিকেও তোজোর কুকুর বলেছিল বামেরা।

নেতাজী জাপান ও জার্মানির সহায়তায় আজাদ হিন্দ বাহিনী গঠন করে ভারতবর্ষকে স্বাধীন করবার চেষ্টা করেছিল ব্রিটিশ শাসন থেকে। বামেদের কাছে এটা ছিল বড় অপরাধ। কারন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল জার্মানি ও জাপানের বিপক্ষে। তাই বামেদের কাছে দেশের স্বাধীনতার বদলে সোভিয়েত ইউনিয়নের অনুগত হয়ে থাকা বেশী প্রয়োজনীয় ছিল। এই কারনে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতি আনুগত্য প্রমানের জন্য ১৯৪০ এর দশকে কমিউনিস্টরা নেতাজীকে অপমান করার পাশাপাশি তাদের পত্রিকাতে নেতাজীকে নিয়ে বিদ্রূপ করতো। অথচ নেতাজী প্রথমে সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছেই সহায়তা চেয়েছিল ভারতকে সহায়তা করার জন্য কিন্তু কমিউনিস্ট রাশিয়া নেতাজীকে সহায়তা করেনি। কোনও বাম সংগঠন ভুলেও এই তথ্য মানুষকে জানায়নি। এই বামেরা এতটাই হিপোক্রিট যে নেতাজীর প্রতি কুমন্তব্যের সমালোচনা হওয়ায় তারা প্রকাশ্যে ক্ষমা চায়, কারন তারা জানতো ক্ষমা না চাইলে ভারতের রাজনীতিতে টিকে থাকা যাবে না। ১৯৭০ এর দশকে বামেরা কলকাতার রাস্তায় বহু ট্রাম ভাঙচুর করে ও ট্রামে আগুন লাগিয়ে দেয় কারন ট্রামের ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছিল। যেকোনও সভ্যদেশে সরকারের কোনও নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয় অহিংস ভাবে। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীও চিরকাল অহিংসতার কথাই বলেছেন কিন্তু বামেরা জোসেফ স্টালিন, মাও জেডং, ফিদেল কাস্ত্রো, চে গুয়েভারার হিংস্র কমিউনিস্ট আদর্শে বিশ্বাসী তারা আন্দোলনের নামে দেশের সম্পদ নষ্ট করতে দুবার ভাবেনা, যার জন্য তারা ট্রাম ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেয় কলকাতায়। তবে বর্তমানে জনগন বামেদের দ্বিচারিতা জেনে যাওয়ায় ভারতের রাজনীতি, প্রশাসনিক ব্যবস্থা থেকে বামেরা ক্রমশ লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *