অফবিট

না খেয়ে দিন কাটাতে হত। আজ পৃথিবীতে সেরা মডেল

নিউজ ডেস্ক প্রাচীন যুগ থেকেই চলে আসছে সমাজে বর্ণবিদ্বেষের একটি অংক। যে অংকে সর্বদাই সঠিক মাপ কাঠিতে পরেই গৌড় বর্ণ অধিকারীরা। কিন্তু কৃষ্ণাঙ্গদের  যেখানেই বিন্দুমাত্র স্থান হয় না। এটা শুধুমাত্র একটি সম্প্রদায়ের দোষ নয়। এর পেছনে নিচু মানসিকতার প্রমাণ দিয়েছে বহু যুগ ধরে। এমন একটি নিকৃষ্ট মানসিকতা সমাজে দাঁড়িয়ে নিজের কৃষ্ণকলি বর্ণের সঙ্গে গোটা পৃথিবীতে বিখ্যাত হয়েছে এক কৃষ্ণাঙ্গ গাত্রবর্ণের রূপবতী কন্যা। যার নাম ন্যাকিম গাটওয়েক। গৌরবর্ণের চাহিদাপূর্ণ সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা খুব একটা সহজ ছিল না কৃষ্ণবর্ণের এই কন্যার কাছে। বহু কাঁটা, ক্ষত সহ্য করে আজ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সফল হয়েছেন তিনি। এবার আসা যাক তার সংগ্রামী জীবনের কথায়।

ন্যাকিম গাটওয়েকের জীবনী বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে শৈশব জীবনে তিনি সুদানার বাসিন্দা ছিলেন। তবে অবশ্য সেখান থেকে পালিয়ে এসে দীর্ঘদিন যাবৎ নানান উদ্বাস্তু শিবির   কেনিয়া ও ইথিয়োপিয়ার শিবিরের দীর্ঘদিন থেকেছেন তিনি। কিন্তু এত দুঃখের মধ্যেও কখনো নিজের স্বপ্নকে বঞ্চিত করেননি। যার কারনে খিদে পেটেও স্বপ্ন দেখতেন এই কৃষ্ণকলি। তার স্বপ্ন ছিল আমেরিকা। তিনি ভাবতেন আমেরিকা গেলেই তার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। যেমন ভাবনা তেমনি কাজ। একদিন নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে আমেরিকায় পাড়ি জমালেন কৃষ্ণাঙ্গী কন্যা। তবে সেখানে গিয়ে আরও কঠিন বাস্তবের সম্মুখীন হলেন তিনি। জানতে পারলেন বর্ণবিদ্বেষ কাকে বলে। কারণ আমেরিকার শ্বেতাঙ্গ নাগরিকদের মধ্যে  নিজেকে বড্ড বেমানান লাগছিল ন্যাকিম গাটওয়েকের। তবে হিন্দি প্রবাদ অনুযায়ী একটি কথা রয়েছে,”আগার কিসি চিজ কো পুরি দিল সে চাহো তো পুরি কায়নাত উসসে মিলানেকি কোশিশ মে লাগ জাতি হে”। অর্থাৎ মন থেকে কিছু চাইলে সেটি প্রকৃতি দিতে বাধ্য। ঠিক সেইভাবেই দীর্ঘ সংগ্রাম করা ও বহু মানুষের কটু কথা শোনার পর নিজে প্রতিষ্ঠিত হতে সফল হয়েছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ কন্যা। যার কারণে রাতারাতি ২০  হাজার থেকে ইনস্টাগ্রামের ফলোয়ার্স পৌঁছেছিল ৩ লাখের কাছাকাছি। পাশাপাশি তাকে  বিদেশ থেকে বহু শুভেচ্ছা জানানো হয়। এমনকি মিনেসোটার বাসিন্দারা তাকে অন্ধকারের রানী বলে আখ্যায়িত করেন। যেটি ব্ল্যাক বিউটির কাছে অপমান নয় বরং প্রশংসনীয় একটি বাক্য। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *