অফবিট

বারুইপুর পশ্চিম কেন্দ্রে জমজমাট ভোটপ্রচার বিজেপি প্রার্থী ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের

আগামী ১ জুন অন্তিম পর্বের ভোটগ্রহন হবে দেশ জুড়ে। গত ১৯ এপ্রিল থেকে চলা সাধারন নির্বাচন শেষ হবে ১ জুন। লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফায় রাজ্যের নয়টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহন চলবে যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র। যাদবপুর কেন্দ্রের দিকে সব রাজনৈতিক দলেরই নজর রয়েছে। গত তিনবারের লোকসভা নির্বাচনে শাসকদলের পক্ষে থাকা যাদবপুরে হঠাৎই যেন উল্টো চিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর প্রধান কারন বিজেপি প্রার্থী ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্য বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের কারনে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে রীতিমতো ব্যাকফুটে শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেস। প্রার্থী মনোনীত হওয়ার পর থেকেই যেভাবে প্রথমদিন থেকে নির্বাচনী প্রচারে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন তিনি তাতে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি শাসকদলের থেকে এগিয়ে রয়েছে। প্রতিদিনই সকাল থেকে রাত অবধি বেশ কয়েকদফা জনসংযোগ কর্মসূচি করে চলেছেন বিজেপি প্রার্থী।

গতকাল সারাদিন বারুইপুর পশ্চিম কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত থাকেন অনির্বান বাবু। সোমবার তিনধাপে বারুইপুর পশ্চিমে নির্বাচনী প্রচারক্রম করেন তিনি। সকাল আটটার সময় প্রথমে দলীয় কর্মীদের সাথে নিয়ে মন্ডল ১ ও ২ এর কীর্তনখোলা থেকে রামগোপালপুর পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার করেন। অসংখ্য সাধারন মানুষের উপস্থিতিতে ডঃ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই প্রচারাভিযান বিরোধীদের মনে রীতিমতো ভয় সঞ্চার করে। দুপুর ২টো নাগাদ এই প্রচারযাত্রা চলে। এরপর মধ্যাহ্নভোজনের জন্য কিছুটা বিরতির পর পুনরায় বিকেল ৪:৩০ থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত মন্ডল ৪ এর বলরামপুর থেকে নাজিরপুর পর্যন্ত দ্বিতীয় দফার প্রচারাভিযান করেন ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রতিদিনের মতো কালও পথচলতি বহু মানুষের সাথে সৌজন্য বিমিময় করেন তিনি, স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছ থেকে আশীর্বাদও চান তিনি। বহু সাধারন মানুষ ডঃ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে বিজেপিকেই ভোট দেবে বলে জানায়। নির্বাচনী প্রচারের শেষে বেশ কিছু পথসভাও করেন বিজেপি প্রার্থী। পথসভা থেকে ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় মোদীর গ্যারান্টির কথা প্রচার করেন। তিনি বলেন মোদীর গ্যারান্টির একটি বড় উদাহারন সিএএ আইন। তিনি জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই শরনার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গেছে এবং প্রথম ব্যাচে বহু মানুষকেই ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। এই সব ভাইবোনেদের মধ্যে হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি ধর্মের মানুষ রয়েছেন যারা বহু বছর ধরে ভারতে বসবাস করছেন। এই সমস্ত মানুষরা ধর্মের ভিত্তিতে ভারত ভাগের শিকার হয়েছিল। সিএএ এর বিরোধতা করা নিয়ে ডঃ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন বিরোধীরা মহাত্মা গান্ধীর নাম নিয়ে ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছে যায় কিন্তু মহাত্মা গান্ধীর কথা তারা মানেনা। তিনি আরও জানান বিগত ৭০ বছর ধরে বহু পরিবার তাদের ধর্ম, সংস্কৃতি রক্ষা করবার জন্য, মহিলাদের সম্মান বাঁচানোর জন্য বাধ্যহয়ে ভারতবর্ষের এসে আশ্রয় নিয়েছিল কিন্তু কংগ্রেস দল কখনও এইসব মানুষদের কথা ভাবেনি। প্রসঙ্গত গত ১৫মে, বুধবার সিএএ আইন অনুযায়ী প্রথমধাপে ৩০০ এর বেশী ব্যক্তিকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *