সন্দেশখালি মহিলাদের জন্য অভিষেকের ঠিক করা রেট চার্ট এর বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন অনির্বাণ।
বর্তমানদিনে ভোটের ময়দানে লাইন লাইটে থাকা ভোট প্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম নাম হলো যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী ডা. অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি সরাসরি নাম উল্লেখ না করেই “কেউ যদি বলে হাইকোর্ট তুলে দেওয়া উচিত, তার হাতে চুষি নিয়ে বসে যাওয়া উচিত, রাজনীতি করা উচিত না এবং নির্বাচিত প্রতিনিধি হওয়া উচিত না। নর্থ কোরিয়ায় চলে যেতে পারে”। এই ধরনের কথার মাধ্যমে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
তৃণমূল কংগ্রেস সন্দেশখালিতে বাংলার মহিলা, মা বোনেদের অপমান করেছে। রেট চার্ট তৈরি করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী ডা.অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বলতে ঘৃণা করছে তবুও বলতে বাধ্য যে সন্দেশখালীর মা বোনেদের রেট চার্ট ঠিক করে দিয়েছেন ভাইপো। যা খুবই লজ্জাজনক বিষয়। তিনি বলেন যে এমন কুরুচিকর ভাষা কাম্য নয় জনপ্রতিনিধিদের থেকে। কপালে এই কি আছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ হয়ে? প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন সংবাদমাধ্যমে অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, বিজেপি ইডি সিবিআই আনছে না তদন্ত করার জন্য এটা কোর্ট থেকে পাঠানো হচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময় হয়ে গেছে রাস্তায় বসার। এটাই হবে আগামী দিনে। খুব দেরি নেই। ভাইপো রাস্তায় বসে থাকবে। ১০ বছরে কি করেছে মোদি সরকার এই প্রশ্নের উত্তরে জনপ্রতিনিধি অনির্বাণ বলেছেন, কি করেছে না করেছে মোদি সরকার সেই কৈফিয়ত দেব না অভিষেককে। মোদি সরকার ১৭ টা রাজ্যে কি করেছে, কি কি পরিবর্তন করেছে তা সকলেই দেখতে পারছেন। রাজনীতি নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন জ্ঞানই নেই, সে বিচার ব্যবস্থার বিপরীত, কোন অভিজ্ঞতা নেই সেই নিয়ে। কারণ বারবার তার কথাবার্তা আর তার আচরণে এটা ফুটে উঠে, যার কারণে তার কথার জবাব দেওয়া ভিত্তিহীন।
এছাড়াও তিনি বলেন যে, তৃণমূল ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না, সব টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, তৃণমূলের কাছে এর হিসেব চাওয়া হয়েছে। কারোর বাপের টাকা না এই টাকাটা, দেশের জনসাধারণের টাকা এটা, অধিকারের টাকা। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সাথে প্রতারণা করছে তৃণমূল।